নাজিম আল শমষের, ঢাকা
এক দিন আগেই শেষ হলো ফ্রেঞ্চ ওপেন। সেটি জিতে নিজেকে আরেক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন স্প্যানিশ টেনিস মহাতারকা রাফায়েল নাদাল। এবার টেনিসপ্রেমীরা অপেক্ষায় উইম্বলডনের। জনপ্রিয়তায় ক্রিকেট-ফুটবলের পেছনে থাকলেও টেনিস পছন্দ করেন, বাংলাদেশে এমন সমর্থকের সংখ্যা নেহাত কম নয়। ক্রিকেট-ফুটবলের মতো জনপ্রিয় খেলার আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের নিয়মিত অংশগ্রহণ থাকলেও টেনিসের উজ্জ্বল দুনিয়ায় বাংলাদেশকে খুঁজে পাওয়াই কঠিন।
ছেলেদের পেশাদার টেনিসের এটিপি র্যাঙ্কিংয়ে (সিঙ্গেল কিংবা ডাবল) গতকালও যেমন বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড়ের নামই খুঁজে পাওয়া গেল না। মেয়েদের ডব্লুটিএ র্যাঙ্কিংয়েও নেই বাংলাদেশের কোনো প্রতিনিধি। শেষ কবে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক টেনিস টুর্নামেন্ট হয়েছে, সেটাই তো মনে করতে পারেন না খোদ ফেডারেশন কর্মকর্তারা। কোচ-খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা জানা গেল, বাংলাদেশ সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলেছে ২০১১ সালে, ডেভিস কাপে। আর টেনিসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য ১৯৯৫ সালে মাদ্রাজ এসএ গেমসে ব্রোঞ্জ জয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর রমনার লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সসহ শুধু ঢাকাতেই কোর্ট আছে ৫০-এর কাছাকাছি। ৬৪ জেলা মিলিয়ে সারা দেশে কোর্টের সংখ্যা প্রায় ১০০ হলেও এসব কোর্টে খেলার মতো অর্ধেকও পেশাদার খেলোয়াড় নেই। অধিকাংশ সময়ে সরকারি কর্মকর্তা কিংবা অপেশাদার খেলোয়াড়েরাই খেলে থাকেন এসব কোর্টে। বেশ ব্যয়বহুল এই খেলায় তবু যে কজন নিজেদের আগ্রহে এগোতে চেয়েছেন, পৃষ্ঠপোষক আর সঠিক পরিচর্যার অভাবে তাঁরা এখন আর এগোনোর সাহস পান না। এমনও জানা গেছে, টেনিস তারকা হওয়ার স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিয়ে এক খেলোয়াড় হয়েছেন মোটরযন্ত্রাংশের ব্যবসায়ী। রমনা পার্কের টিকিট বিক্রি করে আরেক খেলোয়াড়ের নেই ২০ হাজার টাকা দামের টেনিস র্যাকেট কেনার সামর্থ্য!
একটা সময় টেনিসে খেলোয়াড় তুলে আনার বড় উৎস ছিল স্কুল পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। ২০১৬ সালে সর্বশেষ স্কুল পর্যায়ে প্রতিভা অন্বেষণের পর ফেডারেশনের আগ্রহের অভাবে থমকে আছে কার্যক্রমটি। তৃণমূলে কার্যক্রম কমে যাওয়ায় টেনিসে এখন তীব্র খেলোয়াড়সংকট বলে জানালেন কোচ সাজ্জাদ মাহমুদ। ঢাকার এলিট টেনিস একাডেমির কোচ সাজ্জাদ আজকের পত্রিকার কাছে দেশের টেনিসের করুন দশাই তুলে ধরলেন, ‘ঢাকায় প্রায় ৫০টি কোর্ট আছে। কিন্তু ৫০ জন খেলোয়াড়ও নেই। খেলাটা সেভাবে ছড়িয়ে দেয়া হয়নি। দেশের শিক্ষা কার্যক্রমে টেনিস বলে কিছু নেই। রাগবির মতো নতুন খেলা পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অথচ টেনিস পুরোনো খেলা হয়েও ঠাঁই পায়নি সেখানে। শিশুরা যদি টেনিস না খেলে আমরা খেলোয়াড় পাব না।’
ভবিষ্যতের টেনিস তারকা উঠে না আসার পেছনে দায় ফেডারেশনকেই দিলেন কোচ-খেলোয়াড়েরা। এই বছরের শুরুতে জুনিয়র ডেভিস কাপ খেলতে তিন কিশোরের শ্রীলঙ্কা যাওয়ার কথা থাকলেও সাফল্য আসবে না এই যুক্তিতে সেই সফর বাতিল হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খেলোয়াড় জানালেন, ‘টেনিসের অবস্থা ভালো না। পৃষ্ঠপোষক, টুর্নামেন্ট কিছুই নেই। এভাবে চললে আর এগোনোর রাস্তা নেই।’
শত প্রতিবন্ধকতা আর অভাবের বেড়াজাল কাটিয়ে যাঁরা উঠে আসছেন, তাঁদের সামনে বড় বাধা কোচ-সংকট। ভালো মানের স্থানীয় কোচরা পেশাগত অনিশ্চয়তায় পাড়ি জমাচ্ছেন বিদেশে। করোনা-বাধার পর চীনা সীমান্ত উন্মুক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশের কোচদের প্রধান গন্তব্য হচ্ছে চীন। বাংলাদেশি কোচদের মেধা আর পরিশ্রমে এগোচ্ছে আরেক দেশের টেনিস। যেমন বাংলাদেশি কোচ আখতার হোসেনের গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে এবারের ফ্রেঞ্চ ওপেনের চতুর্থ রাউন্ড পর্যন্ত খেলা চীনা নারী টেনিস তারকা কিনওয়েন ঝ্যাংয়ের ক্যারিয়ারে। বাংলাদেশে কেন ভালো মানের কোচরা থাকতে চান না, সেই প্রশ্নে চীন থেকে ফোনে আখতার বললেন, ‘বাংলাদেশ থেকে আমরা ১৫-২০ জন কোচ চীনে কাজ করছি। চীনে চাকরির নিরাপত্তা আছে। বাংলাদেশে একজন কোচ হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে যদি মাত্র ৫-১০ হাজার টাকা পান, কেন তাঁরা এই কাজ করবেন? আর ফেডারেশন আমাদের তেমন মূল্যায়নও করেনি। আমরা যারা দেশের বাইরে কাজ করছি, তাদের সঙ্গে তারা কোনো যোগাযোগই করে না। আমরা চাই, দেশের জন্য কিছু করি। আমরাও চাই বাংলাদেশের একজন টেনিস খেলোয়াড় গ্র্যান্ড স্লামে খেলুক।’
টেনিসের বিখ্যাত কোচ কার্লোস রদ্রিগেজের সহকারী হিসেবে ৯ বছর কাজ করেছেন আখতার হোসেন। আখতারদের মতো কোচরা ছড়িয়ে আছেন চীন, শ্রীলঙ্কায়। মেধাবী কোচরা দেশের বাইরে চলে যাওয়ায় বাংলাদেশে সনদধারী কোচদের সংখ্যা হাতে গোনা।
ধুঁকতে থাকা টেনিসকে আরও তলানিতে নামিয়েছে ফেডারেশন কর্মকর্তাদের অন্তর্দ্বন্দ্ব। ১৩ বছর ধরে নির্বাচন ছাড়াই টেনিস চলেছে পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন অ্যাডহক কমিটির হাত ধরে। নির্বাচিত কমিটি না থাকলেও আইটিএফের (ইন্টারন্যাশনাল টেনিস ফেডারেশন) নির্দেশিত ফরম্যাট অনুসরণ করলে অন্তত খেলোয়াড়ের অভাব হতো না বলে মনে করেন স্থানীয় টেনিস কোচরা। আরও জানা গেছে, আইটিএফ থেকে অনুদান এলেও এর কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়। বিষয়টি নিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বললেন, ‘করোনার কারণে দুই বছর জেটিআই (অনূর্ধ্ব-১৪ প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি) প্রোগ্রামের অনুদান আসেনি। করোনার আগে আমরা ফেডারেশনের অবকাঠামো উন্নয়নে হাত দিয়েছিলাম। করোনা শুরু হলে কাজও আটকে ছিল। টাকা এখন আবার আসা শুরু হয়েছে, তবে পরিমাণ খুব অল্প।’
দেশের মলিন টেনিসের একটি ইতিবাচক খবর, দীর্ঘ ১৮ বছর পর ২৬ জুন ফেডারেশনের নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ হয়েছে। টেনিস ফেডারেশনের সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী দ্বীন আশাবাদী, নির্বাচনের পর দ্রুত পাল্টে যাবে টেনিসের ভবিষ্যৎ, ‘বড় একটা পরিবর্তন আসবে দেশের টেনিসে, যেটা কেউ কল্পনাও করতে পারবে না। আমি খুবই আশাবাদী। আমরা চেষ্টা করব প্রতি মাসে একটা করে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে, যেন খুদে খেলোয়াড়েরা উৎসাহিত হয় টেনিসে আসতে।’
এক দিন আগেই শেষ হলো ফ্রেঞ্চ ওপেন। সেটি জিতে নিজেকে আরেক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন স্প্যানিশ টেনিস মহাতারকা রাফায়েল নাদাল। এবার টেনিসপ্রেমীরা অপেক্ষায় উইম্বলডনের। জনপ্রিয়তায় ক্রিকেট-ফুটবলের পেছনে থাকলেও টেনিস পছন্দ করেন, বাংলাদেশে এমন সমর্থকের সংখ্যা নেহাত কম নয়। ক্রিকেট-ফুটবলের মতো জনপ্রিয় খেলার আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের নিয়মিত অংশগ্রহণ থাকলেও টেনিসের উজ্জ্বল দুনিয়ায় বাংলাদেশকে খুঁজে পাওয়াই কঠিন।
ছেলেদের পেশাদার টেনিসের এটিপি র্যাঙ্কিংয়ে (সিঙ্গেল কিংবা ডাবল) গতকালও যেমন বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড়ের নামই খুঁজে পাওয়া গেল না। মেয়েদের ডব্লুটিএ র্যাঙ্কিংয়েও নেই বাংলাদেশের কোনো প্রতিনিধি। শেষ কবে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক টেনিস টুর্নামেন্ট হয়েছে, সেটাই তো মনে করতে পারেন না খোদ ফেডারেশন কর্মকর্তারা। কোচ-খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা জানা গেল, বাংলাদেশ সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলেছে ২০১১ সালে, ডেভিস কাপে। আর টেনিসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য ১৯৯৫ সালে মাদ্রাজ এসএ গেমসে ব্রোঞ্জ জয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর রমনার লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সসহ শুধু ঢাকাতেই কোর্ট আছে ৫০-এর কাছাকাছি। ৬৪ জেলা মিলিয়ে সারা দেশে কোর্টের সংখ্যা প্রায় ১০০ হলেও এসব কোর্টে খেলার মতো অর্ধেকও পেশাদার খেলোয়াড় নেই। অধিকাংশ সময়ে সরকারি কর্মকর্তা কিংবা অপেশাদার খেলোয়াড়েরাই খেলে থাকেন এসব কোর্টে। বেশ ব্যয়বহুল এই খেলায় তবু যে কজন নিজেদের আগ্রহে এগোতে চেয়েছেন, পৃষ্ঠপোষক আর সঠিক পরিচর্যার অভাবে তাঁরা এখন আর এগোনোর সাহস পান না। এমনও জানা গেছে, টেনিস তারকা হওয়ার স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিয়ে এক খেলোয়াড় হয়েছেন মোটরযন্ত্রাংশের ব্যবসায়ী। রমনা পার্কের টিকিট বিক্রি করে আরেক খেলোয়াড়ের নেই ২০ হাজার টাকা দামের টেনিস র্যাকেট কেনার সামর্থ্য!
একটা সময় টেনিসে খেলোয়াড় তুলে আনার বড় উৎস ছিল স্কুল পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। ২০১৬ সালে সর্বশেষ স্কুল পর্যায়ে প্রতিভা অন্বেষণের পর ফেডারেশনের আগ্রহের অভাবে থমকে আছে কার্যক্রমটি। তৃণমূলে কার্যক্রম কমে যাওয়ায় টেনিসে এখন তীব্র খেলোয়াড়সংকট বলে জানালেন কোচ সাজ্জাদ মাহমুদ। ঢাকার এলিট টেনিস একাডেমির কোচ সাজ্জাদ আজকের পত্রিকার কাছে দেশের টেনিসের করুন দশাই তুলে ধরলেন, ‘ঢাকায় প্রায় ৫০টি কোর্ট আছে। কিন্তু ৫০ জন খেলোয়াড়ও নেই। খেলাটা সেভাবে ছড়িয়ে দেয়া হয়নি। দেশের শিক্ষা কার্যক্রমে টেনিস বলে কিছু নেই। রাগবির মতো নতুন খেলা পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অথচ টেনিস পুরোনো খেলা হয়েও ঠাঁই পায়নি সেখানে। শিশুরা যদি টেনিস না খেলে আমরা খেলোয়াড় পাব না।’
ভবিষ্যতের টেনিস তারকা উঠে না আসার পেছনে দায় ফেডারেশনকেই দিলেন কোচ-খেলোয়াড়েরা। এই বছরের শুরুতে জুনিয়র ডেভিস কাপ খেলতে তিন কিশোরের শ্রীলঙ্কা যাওয়ার কথা থাকলেও সাফল্য আসবে না এই যুক্তিতে সেই সফর বাতিল হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খেলোয়াড় জানালেন, ‘টেনিসের অবস্থা ভালো না। পৃষ্ঠপোষক, টুর্নামেন্ট কিছুই নেই। এভাবে চললে আর এগোনোর রাস্তা নেই।’
শত প্রতিবন্ধকতা আর অভাবের বেড়াজাল কাটিয়ে যাঁরা উঠে আসছেন, তাঁদের সামনে বড় বাধা কোচ-সংকট। ভালো মানের স্থানীয় কোচরা পেশাগত অনিশ্চয়তায় পাড়ি জমাচ্ছেন বিদেশে। করোনা-বাধার পর চীনা সীমান্ত উন্মুক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশের কোচদের প্রধান গন্তব্য হচ্ছে চীন। বাংলাদেশি কোচদের মেধা আর পরিশ্রমে এগোচ্ছে আরেক দেশের টেনিস। যেমন বাংলাদেশি কোচ আখতার হোসেনের গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে এবারের ফ্রেঞ্চ ওপেনের চতুর্থ রাউন্ড পর্যন্ত খেলা চীনা নারী টেনিস তারকা কিনওয়েন ঝ্যাংয়ের ক্যারিয়ারে। বাংলাদেশে কেন ভালো মানের কোচরা থাকতে চান না, সেই প্রশ্নে চীন থেকে ফোনে আখতার বললেন, ‘বাংলাদেশ থেকে আমরা ১৫-২০ জন কোচ চীনে কাজ করছি। চীনে চাকরির নিরাপত্তা আছে। বাংলাদেশে একজন কোচ হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে যদি মাত্র ৫-১০ হাজার টাকা পান, কেন তাঁরা এই কাজ করবেন? আর ফেডারেশন আমাদের তেমন মূল্যায়নও করেনি। আমরা যারা দেশের বাইরে কাজ করছি, তাদের সঙ্গে তারা কোনো যোগাযোগই করে না। আমরা চাই, দেশের জন্য কিছু করি। আমরাও চাই বাংলাদেশের একজন টেনিস খেলোয়াড় গ্র্যান্ড স্লামে খেলুক।’
টেনিসের বিখ্যাত কোচ কার্লোস রদ্রিগেজের সহকারী হিসেবে ৯ বছর কাজ করেছেন আখতার হোসেন। আখতারদের মতো কোচরা ছড়িয়ে আছেন চীন, শ্রীলঙ্কায়। মেধাবী কোচরা দেশের বাইরে চলে যাওয়ায় বাংলাদেশে সনদধারী কোচদের সংখ্যা হাতে গোনা।
ধুঁকতে থাকা টেনিসকে আরও তলানিতে নামিয়েছে ফেডারেশন কর্মকর্তাদের অন্তর্দ্বন্দ্ব। ১৩ বছর ধরে নির্বাচন ছাড়াই টেনিস চলেছে পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন অ্যাডহক কমিটির হাত ধরে। নির্বাচিত কমিটি না থাকলেও আইটিএফের (ইন্টারন্যাশনাল টেনিস ফেডারেশন) নির্দেশিত ফরম্যাট অনুসরণ করলে অন্তত খেলোয়াড়ের অভাব হতো না বলে মনে করেন স্থানীয় টেনিস কোচরা। আরও জানা গেছে, আইটিএফ থেকে অনুদান এলেও এর কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়। বিষয়টি নিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বললেন, ‘করোনার কারণে দুই বছর জেটিআই (অনূর্ধ্ব-১৪ প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি) প্রোগ্রামের অনুদান আসেনি। করোনার আগে আমরা ফেডারেশনের অবকাঠামো উন্নয়নে হাত দিয়েছিলাম। করোনা শুরু হলে কাজও আটকে ছিল। টাকা এখন আবার আসা শুরু হয়েছে, তবে পরিমাণ খুব অল্প।’
দেশের মলিন টেনিসের একটি ইতিবাচক খবর, দীর্ঘ ১৮ বছর পর ২৬ জুন ফেডারেশনের নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ হয়েছে। টেনিস ফেডারেশনের সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী দ্বীন আশাবাদী, নির্বাচনের পর দ্রুত পাল্টে যাবে টেনিসের ভবিষ্যৎ, ‘বড় একটা পরিবর্তন আসবে দেশের টেনিসে, যেটা কেউ কল্পনাও করতে পারবে না। আমি খুবই আশাবাদী। আমরা চেষ্টা করব প্রতি মাসে একটা করে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে, যেন খুদে খেলোয়াড়েরা উৎসাহিত হয় টেনিসে আসতে।’
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
৯ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪