সম্পাদকীয়
ঢাকায় বসবাস শুরু করার আগে ছেলেবেলায় ফতুল্লায় কেটেছিল রফিকুন নবী তথা রনবীর জীবন। তিনি তখন একেবারেই ছোট। সুদূর উত্তরাঞ্চল থেকে আসার পর ফতুল্লাতেই স্থিত হয়েছিল তাঁদের পরিবার। এরপর তিপ্পান্ন সালের প্রথম দিক থেকে ঢাকায় বসবাস শুরু।
বাবা ছিলেন পুলিশ। ওসি হিসেবে প্রথম পোস্টিং হয়েছিল ফতুল্লায়। সেই ফতুল্লায় একবার গাড়িচাপা পড়েছিলেন রফিকুন নবী।
বাড়ির পেছনে যে পাকা রাস্তাটা, তাতে মোটরগাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি চলত। ব্যস্ত সরু রাস্তা। সে রাস্তা একা পার হওয়ার কথা নয়। কিন্তু একা একাই সেটা পার হচ্ছিলেন শিশু রফিকুন নবী। জেদ তাঁকে রাস্তা পার করাচ্ছিল। পাড়ার পাঁচজন ডাকাবুকো ছেলে রফিকুন নবীকে ‘পিচ্চি’ অভিধা দিয়ে তাঁকে ফেলেই গুলতি দিয়ে পাখি মারার জন্য রাস্তার অন্য পারের ধানখেতে গিয়েছিল পাখি শিকার করতে। রফিকুন নবীর জেদ চাপল, তিনিও রাস্তা পার হয়ে ধানখেতে যাবেন। ফলে ব্যস্ত রাস্তা পার হতে গিয়ে গাড়ির তলায়!
বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতেই পারত। গাড়ির তলা থেকে যারা তাকে টেনে তুলল, তাদের কথা কানে আসছিল রনবীর। তারা বলছিল, ‘দেখতে দেখতে গাড়িটা খুব জোরে ব্রেক কষল আর সঙ্গে সঙ্গে দেখলাম, ফুড়ুৎ কইরা বাচ্চাটা তলায় চইলা গেল। আমরা তো ভাবলাম, মইরা শ্যাষ। টাইনা বাইর কইরা দেহি, কথা কয়। ওসি স্যারের কপাল কারে কয়!’
মজার ব্যাপার হলো, এই দুর্ঘটনা রফিকুন নবীকে ঢাকা শহর দেখার সুযোগ তৈরি করে দেয়। গাড়িটার ছিল রিকশার মতো স্পোকওয়ালা সরু চাকা, কাপড়ের ছাদ ছিল ওপরে।
গাড়িটি চালাচ্ছিলেন এক বৃদ্ধ। পাশে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। তাঁরা দুজনই রনবীকে প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন, তারপর স্টিমারঘাট বা রেলস্টেশনের ফার্স্ট ক্লাসের যাত্রীদের রিফ্রেশমেন্ট রেস্তোরাঁয় ভরপেট খাইয়েছেন। এরপর পৌঁছে দিয়েছেন বাড়িতে।
এরপর যখনই সময় হতো, সেই গাড়িতে করে তাঁরা রফিকুন নবীকে ঘুরে দেখিয়েছেন ঢাকা শহর। সদরঘাট, হাইকোর্ট, নবাববাড়ি, কার্জন হল—সবই ওই ভদ্রলোকের কল্যাণে দেখা হয়ে যায় রনবীর।
সূত্র: রফিকুন নবী, কাজল ঘোষ সম্পাদিত স্মৃতির ঢাকা, পৃষ্ঠা ২৭৯-২৮৯
ঢাকায় বসবাস শুরু করার আগে ছেলেবেলায় ফতুল্লায় কেটেছিল রফিকুন নবী তথা রনবীর জীবন। তিনি তখন একেবারেই ছোট। সুদূর উত্তরাঞ্চল থেকে আসার পর ফতুল্লাতেই স্থিত হয়েছিল তাঁদের পরিবার। এরপর তিপ্পান্ন সালের প্রথম দিক থেকে ঢাকায় বসবাস শুরু।
বাবা ছিলেন পুলিশ। ওসি হিসেবে প্রথম পোস্টিং হয়েছিল ফতুল্লায়। সেই ফতুল্লায় একবার গাড়িচাপা পড়েছিলেন রফিকুন নবী।
বাড়ির পেছনে যে পাকা রাস্তাটা, তাতে মোটরগাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি চলত। ব্যস্ত সরু রাস্তা। সে রাস্তা একা পার হওয়ার কথা নয়। কিন্তু একা একাই সেটা পার হচ্ছিলেন শিশু রফিকুন নবী। জেদ তাঁকে রাস্তা পার করাচ্ছিল। পাড়ার পাঁচজন ডাকাবুকো ছেলে রফিকুন নবীকে ‘পিচ্চি’ অভিধা দিয়ে তাঁকে ফেলেই গুলতি দিয়ে পাখি মারার জন্য রাস্তার অন্য পারের ধানখেতে গিয়েছিল পাখি শিকার করতে। রফিকুন নবীর জেদ চাপল, তিনিও রাস্তা পার হয়ে ধানখেতে যাবেন। ফলে ব্যস্ত রাস্তা পার হতে গিয়ে গাড়ির তলায়!
বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতেই পারত। গাড়ির তলা থেকে যারা তাকে টেনে তুলল, তাদের কথা কানে আসছিল রনবীর। তারা বলছিল, ‘দেখতে দেখতে গাড়িটা খুব জোরে ব্রেক কষল আর সঙ্গে সঙ্গে দেখলাম, ফুড়ুৎ কইরা বাচ্চাটা তলায় চইলা গেল। আমরা তো ভাবলাম, মইরা শ্যাষ। টাইনা বাইর কইরা দেহি, কথা কয়। ওসি স্যারের কপাল কারে কয়!’
মজার ব্যাপার হলো, এই দুর্ঘটনা রফিকুন নবীকে ঢাকা শহর দেখার সুযোগ তৈরি করে দেয়। গাড়িটার ছিল রিকশার মতো স্পোকওয়ালা সরু চাকা, কাপড়ের ছাদ ছিল ওপরে।
গাড়িটি চালাচ্ছিলেন এক বৃদ্ধ। পাশে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। তাঁরা দুজনই রনবীকে প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন, তারপর স্টিমারঘাট বা রেলস্টেশনের ফার্স্ট ক্লাসের যাত্রীদের রিফ্রেশমেন্ট রেস্তোরাঁয় ভরপেট খাইয়েছেন। এরপর পৌঁছে দিয়েছেন বাড়িতে।
এরপর যখনই সময় হতো, সেই গাড়িতে করে তাঁরা রফিকুন নবীকে ঘুরে দেখিয়েছেন ঢাকা শহর। সদরঘাট, হাইকোর্ট, নবাববাড়ি, কার্জন হল—সবই ওই ভদ্রলোকের কল্যাণে দেখা হয়ে যায় রনবীর।
সূত্র: রফিকুন নবী, কাজল ঘোষ সম্পাদিত স্মৃতির ঢাকা, পৃষ্ঠা ২৭৯-২৮৯
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫