সমির মল্লিক, খাগড়াছড়ি
দেশে আবার করোনা সংক্রমণ বাড়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পর্যটন শহরখ্যাত খাগড়াছড়িতে। গত বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হওয়া বিধিনিষেধের কারণে কমে গেছে পর্যটকের সংখ্যা। অনেকে বুকিং বাতিল করে দিয়েছেন। কমে গেছে পর্যটনকেন্দ্রিক বেচাকেনা। এতে নতুন করে লোকসানের শঙ্কায় পড়েছেন সংশ্লিষ্টরা। পর্যটকদের পাহাড় ভ্রমণে সাবধানতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়ে প্রচার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালাচ্ছে প্রশাসক।
পর্যটননির্ভর খাগড়াছড়িতে পাহাড়, অরণ্য, ঝিরি-ঝরনা ও উপত্যকা দেখতে প্রতিবছর শীত মৌসুমে প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটে। এ সময়টিকে পর্যটন মৌসুম হিসেবে বিবেচনা করেন সংশ্লিষ্টরা। গত দুই মৌসুমের পর এবার করোনা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় বিপুল পর্যটকের আগমনের অপেক্ষায় ছিলেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তবে নতুন করে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি ও সরকারি বিধিনিষেধের কারণে কমে গেছে পর্যটকের সংখ্যা।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিবছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত পাহাড়ে পর্যটকের প্রচুর সমাগম হলেও এখন প্রায় শূন্য। আলুটিলা রহস্যময় সুড়ঙ্গ, ঝুলন্ত ব্রিজ, তারেং, রিছাং ঝরনাসহ বিভিন্ন দর্শনীয় কেন্দ্রে এখন সুনসান নীরবতা। খাগড়াছড়ি ও সাজেক ভ্যালি ভ্রমণে কম পর্যটক আসায় লোকসান গুনছেন পরিবহন শ্রমিকেরা।
খাগড়াছড়ি-সাজেক পরিবহন কাউন্টারের পরিচালক আরিফ হোসেন বলেন, ‘আগে দিনে অন্তত আমাদের ২০০টা জিপ ও চান্দের গাড়ি খাগড়াছড়ি-সাজেকে যাতায়াত করত। এখন ৩০টাও যাচ্ছে না। করোনা সংক্রমণ বাড়ার পর থেকে কমে গেছে পর্যটকের সংখ্যা। বেশির ভাগ পরিবহনচালক ও সহকারী বেকার সময় কাটাচ্ছেন।’
খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকে পর্যটক বহন করেন অটোরিকশাচালক মো. নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ পর্যটক কমে গেছে। দৈনিক শাপলা চত্বর থেকে সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে অন্তত ৫০টি সিএনজি গাড়ি পর্যটক পরিবহন করত। আজকে (গতকাল সোমবার) গেছে মাত্র দুটি গাড়ি। আমরা এখন অনেকটা বেকার সময় পার করছি।’
করোনার প্রভাবে খাগড়াছড়ি ও সাজেক ভ্যালিতে অনেক হোটেল-রিসোর্টের বুকিং বাতিল হয়ে গেছে। খাগড়াছড়ির আবাসিক হোটেল গাইরিংয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রান্ত বিকাশ ত্রিপুরা, ‘কয়েক বছরের মতো এবারও পর্যটকসমাগম কম। অনেক বুকিং বাতিল হয়ে গেছে। করোনার সংক্রমণ বাড়ার সময় থেকে আমাদের হোটেলেও ৫০টি বুকিং কক্ষ বাতিল করেছেন পর্যটকেরা।’
খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ইউনিট ব্যবস্থাপক এ কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ বাড়ার পর আমাদের বেশকিছু বুকিং বাতিল হয়ে গেছে। অনেক সময় পুরো মোটেলই ফাঁকা থাকছে। মাঝেমধ্যে এক-দুটি কক্ষে অতিথি থাকে।’
এদিকে আগত পর্যটকদের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরফান উদ্দিন বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ বাড়ার পর থেকেই মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আমরা কাজ করছি। রোববার বিকেলে জেলা পরিষদ পার্কে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় মাস্ক না পরার কারণে পাঁচজনকে দণ্ডবিধির ১৮৬০-এর ২৬৯ ধারায় জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রে মাস্ক না পরায় পর্যটকদের সতর্ক করা হয়।’
দেশে আবার করোনা সংক্রমণ বাড়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পর্যটন শহরখ্যাত খাগড়াছড়িতে। গত বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হওয়া বিধিনিষেধের কারণে কমে গেছে পর্যটকের সংখ্যা। অনেকে বুকিং বাতিল করে দিয়েছেন। কমে গেছে পর্যটনকেন্দ্রিক বেচাকেনা। এতে নতুন করে লোকসানের শঙ্কায় পড়েছেন সংশ্লিষ্টরা। পর্যটকদের পাহাড় ভ্রমণে সাবধানতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়ে প্রচার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালাচ্ছে প্রশাসক।
পর্যটননির্ভর খাগড়াছড়িতে পাহাড়, অরণ্য, ঝিরি-ঝরনা ও উপত্যকা দেখতে প্রতিবছর শীত মৌসুমে প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটে। এ সময়টিকে পর্যটন মৌসুম হিসেবে বিবেচনা করেন সংশ্লিষ্টরা। গত দুই মৌসুমের পর এবার করোনা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় বিপুল পর্যটকের আগমনের অপেক্ষায় ছিলেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তবে নতুন করে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি ও সরকারি বিধিনিষেধের কারণে কমে গেছে পর্যটকের সংখ্যা।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিবছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত পাহাড়ে পর্যটকের প্রচুর সমাগম হলেও এখন প্রায় শূন্য। আলুটিলা রহস্যময় সুড়ঙ্গ, ঝুলন্ত ব্রিজ, তারেং, রিছাং ঝরনাসহ বিভিন্ন দর্শনীয় কেন্দ্রে এখন সুনসান নীরবতা। খাগড়াছড়ি ও সাজেক ভ্যালি ভ্রমণে কম পর্যটক আসায় লোকসান গুনছেন পরিবহন শ্রমিকেরা।
খাগড়াছড়ি-সাজেক পরিবহন কাউন্টারের পরিচালক আরিফ হোসেন বলেন, ‘আগে দিনে অন্তত আমাদের ২০০টা জিপ ও চান্দের গাড়ি খাগড়াছড়ি-সাজেকে যাতায়াত করত। এখন ৩০টাও যাচ্ছে না। করোনা সংক্রমণ বাড়ার পর থেকে কমে গেছে পর্যটকের সংখ্যা। বেশির ভাগ পরিবহনচালক ও সহকারী বেকার সময় কাটাচ্ছেন।’
খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকে পর্যটক বহন করেন অটোরিকশাচালক মো. নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ পর্যটক কমে গেছে। দৈনিক শাপলা চত্বর থেকে সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে অন্তত ৫০টি সিএনজি গাড়ি পর্যটক পরিবহন করত। আজকে (গতকাল সোমবার) গেছে মাত্র দুটি গাড়ি। আমরা এখন অনেকটা বেকার সময় পার করছি।’
করোনার প্রভাবে খাগড়াছড়ি ও সাজেক ভ্যালিতে অনেক হোটেল-রিসোর্টের বুকিং বাতিল হয়ে গেছে। খাগড়াছড়ির আবাসিক হোটেল গাইরিংয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রান্ত বিকাশ ত্রিপুরা, ‘কয়েক বছরের মতো এবারও পর্যটকসমাগম কম। অনেক বুকিং বাতিল হয়ে গেছে। করোনার সংক্রমণ বাড়ার সময় থেকে আমাদের হোটেলেও ৫০টি বুকিং কক্ষ বাতিল করেছেন পর্যটকেরা।’
খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ইউনিট ব্যবস্থাপক এ কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ বাড়ার পর আমাদের বেশকিছু বুকিং বাতিল হয়ে গেছে। অনেক সময় পুরো মোটেলই ফাঁকা থাকছে। মাঝেমধ্যে এক-দুটি কক্ষে অতিথি থাকে।’
এদিকে আগত পর্যটকদের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরফান উদ্দিন বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ বাড়ার পর থেকেই মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আমরা কাজ করছি। রোববার বিকেলে জেলা পরিষদ পার্কে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় মাস্ক না পরার কারণে পাঁচজনকে দণ্ডবিধির ১৮৬০-এর ২৬৯ ধারায় জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রে মাস্ক না পরায় পর্যটকদের সতর্ক করা হয়।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৯ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪