Ajker Patrika

বর্ষায় নৌকা, শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো

হোসাইন ময়নুল, উল্লাপাড়া
আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২২, ১২: ৩৮
বর্ষায় নৌকা, শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ফুলজোর নদীর ওপর বেতবাড়ী পূর্ব সাতবাড়িয়া খেয়াঘাটে একটি সেতু নির্মাণের দাবি বহুদিনের। এখানে নদী পারাপারে ১২ গ্রামের বাসিন্দাদের ভরসা বর্ষাকালে নৌকা আর শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো। স্থায়ী সেতু না থাকায় তাঁদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।

এলাকাবাসী জানান, শুকনো মৌসুমে তাঁরা নিজেদের বাড়ির বাঁশ দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো তৈরি করেন। এই সাঁকো দিয়ে পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ১২ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে উপজেলা পরিষদ, পৌরবাজার, সাব রেজিস্ট্রি অফিস, হাসপাতাল, ডাকঘর, মডেল থানা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন জায়গায় যেতে হচ্ছে।

এ ছাড়া উপজেলা শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরাও ফুলজোর নদী পার হতে এই বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করছে।

বর্ষাকালে এসব গ্রামের মানুষ নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হন। এ সময় নৌকাডুবির ঘটনাও ঘটে। এ ছাড়া পানিতে পড়ে অনেক শিক্ষার্থীর বইখাতা ভিজে যায়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, জনপ্রতিনিধিদের কাছে অনেকবার এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণের জন্য দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু তাঁরা দেব-দিচ্ছি করে শুধু সময় পার করেছেন।

সাতবাড়িয়া গ্রামের কৃষক সানোয়ার হোসেন জানান, তাঁদের এলাকায় শীত মৌসুমে প্রচুর সবজি উৎপাদন হয়। তবে এসব সবজি শহরে নিয়ে যেতে না পারায় সঠিক মূল্য থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। কারণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে কোনো ধরনের গাড়িতে সবজি বহন করা যায় না। তাই স্থানীয় বাজারে স্বল্প মূলে বিক্রি করতে হয়।

উল্লাপাড়া সরকারি আকবর আলী কলেজের শিক্ষার্থী সাজু হোসেন বলে, বর্ষার দিনে নৌকায় পারাপার হতে গিয়ে স্রোতের কারণে অনেক দিন নৌকা ডুবে গেছে। এতে প্রাণে বাঁচলেও আহত হয়েছেন অনেকে। আর শুকনো মৌসুমে অনেক সময় বাঁশের সাঁকো থেকে পিছলে নদীতে পড়ে শিক্ষার্থীদের বই-খাতা ও পোশাক ভিজিয়ে স্কুলে আসতে দেখা যায়।

এ ব্যাপারে পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম ফিরোজ বলেন, খেয়াঘাটে একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর। কিন্তু পরিষদ তহবিলে সেতু নির্মাণের জন্য এত অর্থের সংস্থান নেই। বর্তমানে একটি প্রকল্প তৈরি করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উল্লাপাড়া কার্যালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে অধিদপ্তরের প্রধান উপজেলা প্রকৌশলী আবু ছায়েদ বলেন, বেতবাড়ি পূর্ব সাতবাড়িয়া খেয়াঘাটে প্রকৌশলীদের পাঠিয়ে একটি প্রাক্কলন তৈরি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত