খান রফিক, বরিশাল
বরিশালের কীর্তনখোলা, মেঘনা, আড়িয়াল খাঁ নদীতে দিনরাত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ ছোট নৌযান। ঝুঁকি নিয়ে রাতবিরাতে নদী পাড়ি দেওয়া এসব ট্রলার, স্পিডবোট চলাচল অবৈধ। তারপরও প্রশাসনের চোখের সামনে অদক্ষ চালক দিয়ে এ সব নৌযান ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে বিভিন্ন নৌপথে।
বিশেষ করে বরিশালের চরমোনাইতে বছরের দুটি বার্ষিক মাহফিল চলার সময় এ ধরনের ছোট নৌযানে ঝুঁকি নিয়ে হাজারো মানুষ গন্তব্যে ছোটেন। খেয়াঘাটগুলোতেও যাত্রী পারাপার চলে বেপরোয়াভাবে। যে কারণে মঙ্গলবার মধ্যরাতে আড়িয়াল খাঁ নদে ঝরে গেছে ৩ মুসল্লির প্রাণ। গত ৫ বছরে এমন একাধিক দুর্ঘটনা ঘটলেও বাড়েনি সচেতনতা। চরমোনাই মাহফিল আয়োজক কমিটি এ জন্য রাতে ঝুঁকি নিয়ে অসচেতনভাবে ছোট নৌযান চলাচলকে দায়ী করেছে।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘চরমোনাই-সংলগ্ন নদীতে দুর্ঘটনার কারণ খোঁজার লোক রয়েছেন। এসব ট্রলার নদীতে চলাচলের বৈধতা নেই। স্পিডবোটের ক্ষেত্রেও বিশেষ রুটে লাইফ জ্যাকেট বেঁধে চলতে পারবে।’ তাঁরা এসব অবৈধ ছোট নৌযান ঝুঁকি নিয়ে চলাচল বন্ধে প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছেন।
জানা গেছে, চরমোনাই থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে আড়িয়াল খাঁ নদে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ট্রলার দুর্ঘটনায় ৩ মুসল্লি নিহত হন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ২ জন। বরিশাল নৌ ফায়ার স্টেশনে কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বলেন, ‘গভীর রাতে আড়িয়াল খাঁ নদে ঢাকা থেকে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মুসল্লিবাহী ট্রলারটি ডুবে গেছে।’
এর আগে ২০২১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি চরমোনাইর বার্ষিক মাহফিল শেষে মুসল্লিবোঝাই দুটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কীর্তনখোলা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো নিখোঁজ বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ট্রলার দুটিতে শতাধিক যাত্রী ছিলেন। ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী থাকায় দুটি ট্রলারই নদীতে ডুবে গিয়েছিল।
এর আগে ২০১৮ সালের ১০ মার্চ কীর্তনখোলা নদীর চরমোনাই লঞ্চঘাটে ট্রলার ডুবে ৬ জনের মৃত্যু হয়। ট্রলারটিতে চরমোনাই মাহফিলে অংশগ্রহণকারী মুসল্লিরা ছিলেন।
চরমোনাই ইউপির চেয়ারম্যান সৈয়দ জিয়াউল করিম বলেন, ‘মাহফিল চলাকালে দুর্ঘটনা এড়াতে ছোট নৌযানগুলোকে রাতে না চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনকে এ বিষয়ে বলাও হয়েছে, কিন্তু মানুষ অস্থির মানসিকতার। তাড়াহুড়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতি মুহূর্ত খেয়াঘাটগুলো ঝুঁকিতে থাকে। মাহফিলের বয়ানে পীর সাহেব সতর্ক করেন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষের সচেতনতা কম।’ চেয়ারম্যান জিয়াউল বলেন, ‘মাহফিলের স্বেচ্ছাসেবক প্রধান মুনির হোসাইনকে মঙ্গলবার রাতেই সতর্ক করা হয়েছে, কোনো খেয়াঘাটে যেন মুসল্লিরা তাড়াহুড়া না করেন। আর প্রশাসনের সঙ্গে সব সময় তিনি নিজেই যোগাযোগ রেখে চলছেন।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চরমোনাই পাড়ি দিতে নগরীর বেলতলা খেয়াঘাটসহ আশপাশের একাধিক খেয়াঘাটে মাহফিলের সময় প্রতি মিনিটে ট্রলার ছেড়ে যায়। ট্রলারগুলোতে যাত্রী থাকে টইটুম্বুর। এ ক্ষেত্রে সাধারণ যাত্রীরা চরম আতঙ্কে থাকেন বলে চরমোনাই ইউনিয়নের একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে চরমোনাই মাহফিল পরিচালনা কমিটির নির্বাহী পরিচালক মুফতি এছাহাক মো. আবুল খায়ের বলেন, মঙ্গলবার রাতে ট্রলার দুর্ঘটনায় নৌ ও থানা-পুলিশ যথেষ্ট সহায়তা করেছে। তবে এত রাতে ট্রলার নিয়ে উত্তাল নদী অতিক্রম করার অনুমতি নেই। দুর্ঘটনার মূল কারণ কুয়াশা। বরগুনাগামী যে লঞ্চটি ট্রলারে আঘাত দিয়েছে, সেটিও কুয়াশার কারণে হয়তো ট্রলারটি দেখেনি।’
বরিশাল নৌ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসনাত জামান বলেন, ট্রলারডুবির ঘটনায় মোট কতজন যাত্রী ছিলেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিখোঁজ থাকায় উদ্ধার চলছে।
বরিশালের কীর্তনখোলা, মেঘনা, আড়িয়াল খাঁ নদীতে দিনরাত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ ছোট নৌযান। ঝুঁকি নিয়ে রাতবিরাতে নদী পাড়ি দেওয়া এসব ট্রলার, স্পিডবোট চলাচল অবৈধ। তারপরও প্রশাসনের চোখের সামনে অদক্ষ চালক দিয়ে এ সব নৌযান ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে বিভিন্ন নৌপথে।
বিশেষ করে বরিশালের চরমোনাইতে বছরের দুটি বার্ষিক মাহফিল চলার সময় এ ধরনের ছোট নৌযানে ঝুঁকি নিয়ে হাজারো মানুষ গন্তব্যে ছোটেন। খেয়াঘাটগুলোতেও যাত্রী পারাপার চলে বেপরোয়াভাবে। যে কারণে মঙ্গলবার মধ্যরাতে আড়িয়াল খাঁ নদে ঝরে গেছে ৩ মুসল্লির প্রাণ। গত ৫ বছরে এমন একাধিক দুর্ঘটনা ঘটলেও বাড়েনি সচেতনতা। চরমোনাই মাহফিল আয়োজক কমিটি এ জন্য রাতে ঝুঁকি নিয়ে অসচেতনভাবে ছোট নৌযান চলাচলকে দায়ী করেছে।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘চরমোনাই-সংলগ্ন নদীতে দুর্ঘটনার কারণ খোঁজার লোক রয়েছেন। এসব ট্রলার নদীতে চলাচলের বৈধতা নেই। স্পিডবোটের ক্ষেত্রেও বিশেষ রুটে লাইফ জ্যাকেট বেঁধে চলতে পারবে।’ তাঁরা এসব অবৈধ ছোট নৌযান ঝুঁকি নিয়ে চলাচল বন্ধে প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছেন।
জানা গেছে, চরমোনাই থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে আড়িয়াল খাঁ নদে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ট্রলার দুর্ঘটনায় ৩ মুসল্লি নিহত হন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ২ জন। বরিশাল নৌ ফায়ার স্টেশনে কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বলেন, ‘গভীর রাতে আড়িয়াল খাঁ নদে ঢাকা থেকে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মুসল্লিবাহী ট্রলারটি ডুবে গেছে।’
এর আগে ২০২১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি চরমোনাইর বার্ষিক মাহফিল শেষে মুসল্লিবোঝাই দুটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কীর্তনখোলা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো নিখোঁজ বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ট্রলার দুটিতে শতাধিক যাত্রী ছিলেন। ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী থাকায় দুটি ট্রলারই নদীতে ডুবে গিয়েছিল।
এর আগে ২০১৮ সালের ১০ মার্চ কীর্তনখোলা নদীর চরমোনাই লঞ্চঘাটে ট্রলার ডুবে ৬ জনের মৃত্যু হয়। ট্রলারটিতে চরমোনাই মাহফিলে অংশগ্রহণকারী মুসল্লিরা ছিলেন।
চরমোনাই ইউপির চেয়ারম্যান সৈয়দ জিয়াউল করিম বলেন, ‘মাহফিল চলাকালে দুর্ঘটনা এড়াতে ছোট নৌযানগুলোকে রাতে না চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনকে এ বিষয়ে বলাও হয়েছে, কিন্তু মানুষ অস্থির মানসিকতার। তাড়াহুড়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতি মুহূর্ত খেয়াঘাটগুলো ঝুঁকিতে থাকে। মাহফিলের বয়ানে পীর সাহেব সতর্ক করেন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষের সচেতনতা কম।’ চেয়ারম্যান জিয়াউল বলেন, ‘মাহফিলের স্বেচ্ছাসেবক প্রধান মুনির হোসাইনকে মঙ্গলবার রাতেই সতর্ক করা হয়েছে, কোনো খেয়াঘাটে যেন মুসল্লিরা তাড়াহুড়া না করেন। আর প্রশাসনের সঙ্গে সব সময় তিনি নিজেই যোগাযোগ রেখে চলছেন।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চরমোনাই পাড়ি দিতে নগরীর বেলতলা খেয়াঘাটসহ আশপাশের একাধিক খেয়াঘাটে মাহফিলের সময় প্রতি মিনিটে ট্রলার ছেড়ে যায়। ট্রলারগুলোতে যাত্রী থাকে টইটুম্বুর। এ ক্ষেত্রে সাধারণ যাত্রীরা চরম আতঙ্কে থাকেন বলে চরমোনাই ইউনিয়নের একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে চরমোনাই মাহফিল পরিচালনা কমিটির নির্বাহী পরিচালক মুফতি এছাহাক মো. আবুল খায়ের বলেন, মঙ্গলবার রাতে ট্রলার দুর্ঘটনায় নৌ ও থানা-পুলিশ যথেষ্ট সহায়তা করেছে। তবে এত রাতে ট্রলার নিয়ে উত্তাল নদী অতিক্রম করার অনুমতি নেই। দুর্ঘটনার মূল কারণ কুয়াশা। বরগুনাগামী যে লঞ্চটি ট্রলারে আঘাত দিয়েছে, সেটিও কুয়াশার কারণে হয়তো ট্রলারটি দেখেনি।’
বরিশাল নৌ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসনাত জামান বলেন, ট্রলারডুবির ঘটনায় মোট কতজন যাত্রী ছিলেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিখোঁজ থাকায় উদ্ধার চলছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪