সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় অকেজো হয়ে পড়েছে ৮টি স্লুইসগেট। ফলে এগুলো কোনো কাজে আসছে না কৃষকদের। এতে আগামী বর্ষা মৌসুমে বন্যা ও বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার শঙ্কায় আতঙ্কিত কৃষকেরা।
এদিকে অকেজো স্লুইসগেটগুলো সংস্কারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী এস এম তারেক।
স্থানীয় কৃষকেরা বলেন, সীতাকুণ্ডের কুমিরা, বাঁশবাড়িয়া, মুরাদপুর, বাড়বকুণ্ড, সৈয়দপুর ও বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের জলাবদ্ধতা নিরসনে নির্মিত স্লুইসগেটগুলো দীর্ঘদিন অকেজো রয়েছে। এতে গত বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণে অধিকাংশ ধানখেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলনও কম হয়েছে। স্লুইসগেটগুলো সংস্কার না করা হলে ভবিষ্যতে ফসলের আরও ক্ষতি হবে।
মুরাদপুর ইউনিয়নের গোপ্তাখালী গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ এরশাদ বলেন, গত বছর জলাবদ্ধতায় তাঁর বীজতলার সব চারা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এতে বাধ্য হয়ে তিনি চড়া ধামে বীজ কিনে দ্বিতীয়বারের মতো ধানের চারা রোপণ করেন।
একই এলাকার কৃষক মো. দিদারুল আলম বলেন, বর্ষার আগে যদি স্লুইসগেটগুলো সংস্কার করা না হয়, তাহলে বৃষ্টি ও বন্যায় ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তা ছাড়া গত বছর আমনখেত পানিতে ডুবে থাকায় ধানের ভালো ফলন হয়নি। এ বছর স্লুইসগেটগুলো সংস্কারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ না নিলে অনেক কৃষক পরিবারকে না খেয়ে থাকতে হবে।
এলাকার কৃষকেরা জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯৮০ সালের শেষ দিকে চাষাবাদের প্রয়োজনে এসব স্লুইসগেট স্থাপন করেছিল। সেই সময় এলাকার খালগুলো প্রতিবছর খনন করা হতো। ১৯৯০ সালের শেষের দিক পর্যন্ত এসব স্লুইসগেট রক্ষণাবেক্ষণে পানি উন্নয়ন বোর্ড দায়িত্ব পালন করত। তবে পরবর্তী সময় এসব নিয়োজিত জনবল প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এরপর থেকে স্লুইসগেটগুলো হয়ে পড়ে অভিভাবকহীন ও পরিত্যক্ত।
জানা গেছে, সাগরের জোয়ারের পানি যাতে স্লুইসগেট অতিক্রম করে খাল দিয়ে লোকালয়ে আসতে না পারে, সে জন্য প্রত্যেকটি খালের মুখে জোয়ার নিয়ন্ত্রক স্থাপন করা কথা ছিল। তবে কোনোটিতে এসব স্থাপন করা হয়নি। প্রায় প্রতিটি স্লুইসগেট এখন লোহা চোরদের টার্গেট। যে যেভাবে পারছে লোহার পাত খুলে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া অকেজো এসব স্লুইসগেটের নিচের অংশে মাটিসহ বিভিন্ন আবর্জনা জমে ভরাট হয়ে গেছে।
কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোর্শেদ হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন স্লুইসগেটগুলো অকেজো রয়েছে। এতে সীমাহীন ভোগান্তিতে রয়েছেন কৃষকেরা। স্লুইসগেটগুলো সংস্কারে পানি উন্নয়ন বোর্ড উদাসীন মনোভাব দেখাচ্ছে। এ কারণে প্রতিবছর এ ভোগান্তি বাড়ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, স্লুইসগেটগুলো সংস্কারের জন্য ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী এস এম তারেক বলেন, ‘সীতাকুণ্ডের ৮টি স্লুইসগেট সংস্কারের জন্য যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন, তা আমাদের নেই। তবে অকেজো এসব স্লুইসগেট সংস্কার এবং নতুন স্লুইসগেট নির্মাণের জন্য বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে আমরা অকেজো হয়ে পড়া স্লুইসগেটগুলো সংস্কার করব।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় অকেজো হয়ে পড়েছে ৮টি স্লুইসগেট। ফলে এগুলো কোনো কাজে আসছে না কৃষকদের। এতে আগামী বর্ষা মৌসুমে বন্যা ও বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার শঙ্কায় আতঙ্কিত কৃষকেরা।
এদিকে অকেজো স্লুইসগেটগুলো সংস্কারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী এস এম তারেক।
স্থানীয় কৃষকেরা বলেন, সীতাকুণ্ডের কুমিরা, বাঁশবাড়িয়া, মুরাদপুর, বাড়বকুণ্ড, সৈয়দপুর ও বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের জলাবদ্ধতা নিরসনে নির্মিত স্লুইসগেটগুলো দীর্ঘদিন অকেজো রয়েছে। এতে গত বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণে অধিকাংশ ধানখেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলনও কম হয়েছে। স্লুইসগেটগুলো সংস্কার না করা হলে ভবিষ্যতে ফসলের আরও ক্ষতি হবে।
মুরাদপুর ইউনিয়নের গোপ্তাখালী গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ এরশাদ বলেন, গত বছর জলাবদ্ধতায় তাঁর বীজতলার সব চারা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এতে বাধ্য হয়ে তিনি চড়া ধামে বীজ কিনে দ্বিতীয়বারের মতো ধানের চারা রোপণ করেন।
একই এলাকার কৃষক মো. দিদারুল আলম বলেন, বর্ষার আগে যদি স্লুইসগেটগুলো সংস্কার করা না হয়, তাহলে বৃষ্টি ও বন্যায় ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তা ছাড়া গত বছর আমনখেত পানিতে ডুবে থাকায় ধানের ভালো ফলন হয়নি। এ বছর স্লুইসগেটগুলো সংস্কারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ না নিলে অনেক কৃষক পরিবারকে না খেয়ে থাকতে হবে।
এলাকার কৃষকেরা জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯৮০ সালের শেষ দিকে চাষাবাদের প্রয়োজনে এসব স্লুইসগেট স্থাপন করেছিল। সেই সময় এলাকার খালগুলো প্রতিবছর খনন করা হতো। ১৯৯০ সালের শেষের দিক পর্যন্ত এসব স্লুইসগেট রক্ষণাবেক্ষণে পানি উন্নয়ন বোর্ড দায়িত্ব পালন করত। তবে পরবর্তী সময় এসব নিয়োজিত জনবল প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এরপর থেকে স্লুইসগেটগুলো হয়ে পড়ে অভিভাবকহীন ও পরিত্যক্ত।
জানা গেছে, সাগরের জোয়ারের পানি যাতে স্লুইসগেট অতিক্রম করে খাল দিয়ে লোকালয়ে আসতে না পারে, সে জন্য প্রত্যেকটি খালের মুখে জোয়ার নিয়ন্ত্রক স্থাপন করা কথা ছিল। তবে কোনোটিতে এসব স্থাপন করা হয়নি। প্রায় প্রতিটি স্লুইসগেট এখন লোহা চোরদের টার্গেট। যে যেভাবে পারছে লোহার পাত খুলে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া অকেজো এসব স্লুইসগেটের নিচের অংশে মাটিসহ বিভিন্ন আবর্জনা জমে ভরাট হয়ে গেছে।
কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোর্শেদ হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন স্লুইসগেটগুলো অকেজো রয়েছে। এতে সীমাহীন ভোগান্তিতে রয়েছেন কৃষকেরা। স্লুইসগেটগুলো সংস্কারে পানি উন্নয়ন বোর্ড উদাসীন মনোভাব দেখাচ্ছে। এ কারণে প্রতিবছর এ ভোগান্তি বাড়ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, স্লুইসগেটগুলো সংস্কারের জন্য ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী এস এম তারেক বলেন, ‘সীতাকুণ্ডের ৮টি স্লুইসগেট সংস্কারের জন্য যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন, তা আমাদের নেই। তবে অকেজো এসব স্লুইসগেট সংস্কার এবং নতুন স্লুইসগেট নির্মাণের জন্য বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে আমরা অকেজো হয়ে পড়া স্লুইসগেটগুলো সংস্কার করব।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫