আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ)
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান-বালুচর সড়কে বিছানো হয় ইটের খোয়া। তার ওপর দেওয়া হয়েছিল বালু। কয়েক মাস ধরে এভাবেই ফেলে রাখা হয়েছে সড়কের কাজ। যানবাহনের চাকার আঘাতে ইট গুঁড়া হয়ে গেছে। এখন সামান্য বাতাসেই কুয়াশার মতো ধুলা-বালু উড়ছে এলাকাজুড়ে। এতে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকায় রাস্তায় বিছানা ইটের খোয়াগুলো গুঁড়া হয়ে ধুলায় পরিণত হয়েছে। যানবাহন চলাচল করলে ধুলা-বালুতে সড়ক অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। বাতাসে উড়ে রাস্তার পাশের বাড়িঘর, গাছপালা, দোকানপাট, স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা ও ঝোপঝাড়ে পড়ছে। ঝোপঝাড় ও গাছপালার পাতায় লালচে আস্তরণ পড়েছে। বাড়িঘরের টিনের চালেও একই অবস্থা। পাল্টে গেছে স্কুল, দোকানপাট ও মসজিদের দেয়ালের রং। ধুলা থেকে বাঁচতে কেউ ঘরে দিয়েছেন প্লাস্টিকের পলিথিনের বেড়া।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, উপজেলার বালুচর, লতব্দী, রশুনিয়া ইউনিয়নসহ, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ও কেরানীগঞ্জের মোল্লাবাজারের ৩০ গ্রামের কয়েক লক্ষাধিক মানুষসহ এ পথে যাতায়াত করে ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহন। ছয় মাস আগে রাস্তার উন্নয়নে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হয়। পুরোনো পিচ ঢালাই ভেঙে রাস্তার ওপরে বসায়, এরপর ইটের খোয়া ও বালু দিয়ে তা রাস্তার মধ্যে বুলডোজারের মাধ্যমে চাপা দিয়ে রাখে। কিন্তু দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকায় ধুলা-বালুতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, সিরাজদিখান থেকে সাপেরচর পর্যন্ত ৭ দশমিক ১৭০ কিলোমিটার সড়কের কাজ ২০২১ সালের আগস্টে শুরু হয়। চলতি সালের ৩০ ডিসেম্বর কাজের মেয়াদ শেষ হবে। এ সড়কটি দুটি গুচ্ছ আকারে করা হচ্ছে। প্রথম গুচ্ছ সিরাজদিখান থেকে শুরু করে ৬ কিলোমিটার। ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা চুক্তিমূল্যে এ অংশ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় মোনালিসা এন্টারপ্রাইজ। দ্বিতীয় গুচ্ছ ওই ৬ কিলোমিটারের পর থেকে সাপেরচর পর্যন্ত পরবর্তী অংশ। ৮৪ লাখ টাকা চুক্তিমূল্যে এ অংশের দায়িত্ব পেয়েছে এহসান অ্যান্ড সেরন নামের যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
বালুচর ইউনিয়নের বাসিন্দা মোটরসাইকেল আরোহী নাজমুল মোল্লা বলেন, ‘সড়কের কাজ না করে কেন এভাবে ফেলে রাখা হলো? এ সড়ক দিয়ে একবার গেলে দ্বিতীয়বার ধুলা-বালুতে মানুষের চেহারা আর মানুষের মতো থাকে না।’
এ পথের অটোরিকশাচালক আবুল হাসেম বলেন, ‘কয়েক মাস আগে সড়কটি খানাখন্দ ছিল। তখন যেতে-আসতে ঝাঁকুনি খেতে হতো। এখন তো ঝাঁকুনি, ধুলা-বালু সবই খেতে হচ্ছে। বড় ট্রাক একবার গেলে সড়কে এমন পরিমাণ ধুলা ওড়ে যেন সামনে কোনো গাড়ি থাকলে তা-ও দেখা যায় না।’
গয়াতলা গ্রামের বাসিন্দা মাজেদ দেওয়ান বলেন, ‘দুই মাস ধরে সড়কের কাজ ফেলে রেখেছে। ধুলা-বালুতে ঘরে থাকা যায় না। ঘরের খাবার-দাবার, জামাকাপড় ধুলা-বালুতে নষ্ট হচ্ছে। সবার সর্দি-কাশি লেগেই আছে। প্রতিদিন দুই বেলা বাড়ির মোটর দিয়ে পানি ছিটাই। তারপরও ভোগান্তি কমছে না।’
এহসান অ্যান্ড সেরন এন্টারপ্রাইজের মালিক ইমরান হোসেন বলেন, ‘আমরা যখন কাজটি নিয়েছিলাম, তখন সব ধরনের নির্মাণসামগ্রীর দাম কম ছিল। কাজটি শুরুর পর হঠাৎই দাম বেড়ে যায়। ফলে কাজে আসে ধীরগতি। লোকসান হওয়ায় ইতিমধ্যে কয়েকটি কাজে আত্মসমর্পণ করেছি। তবে মানুষের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে এ সড়কের কাজটি আমরা করব। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কাজটি শেষ করা হবে।’
উপজেলা এলজিইডি সহকারী প্রকৌশলী খাইরুল বাশার বলেন, এ পথে যাতায়াতকারী মানুষের ভোগান্তি লাঘবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পানি ছিটাতে বলা হয়েছে। প্রতিদিন তারা পানি ছিটাচ্ছে। তবে শুকনো মৌসুম হওয়ায় কিছুক্ষণের মধ্যে শুকিয়ে যাচ্ছে। সড়কটির প্রথম অংশের প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটারের কার্পেটিং করা হয়েছে। অবশিষ্ট কাজ দ্রুত শেষ করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানদের চাপ দেওয়া হচ্ছে।’
জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোনায়েম সরকার বলেন, ওই সড়কটির মধ্যভাগে বেশকিছু অংশে কার্পেটিংয়ের কাজ হয়েছে। বাকি সড়কের কাজও দ্রুত শুরু করা হবে। আশা করা যায় আগামী দুই মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে।
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান-বালুচর সড়কে বিছানো হয় ইটের খোয়া। তার ওপর দেওয়া হয়েছিল বালু। কয়েক মাস ধরে এভাবেই ফেলে রাখা হয়েছে সড়কের কাজ। যানবাহনের চাকার আঘাতে ইট গুঁড়া হয়ে গেছে। এখন সামান্য বাতাসেই কুয়াশার মতো ধুলা-বালু উড়ছে এলাকাজুড়ে। এতে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকায় রাস্তায় বিছানা ইটের খোয়াগুলো গুঁড়া হয়ে ধুলায় পরিণত হয়েছে। যানবাহন চলাচল করলে ধুলা-বালুতে সড়ক অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। বাতাসে উড়ে রাস্তার পাশের বাড়িঘর, গাছপালা, দোকানপাট, স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা ও ঝোপঝাড়ে পড়ছে। ঝোপঝাড় ও গাছপালার পাতায় লালচে আস্তরণ পড়েছে। বাড়িঘরের টিনের চালেও একই অবস্থা। পাল্টে গেছে স্কুল, দোকানপাট ও মসজিদের দেয়ালের রং। ধুলা থেকে বাঁচতে কেউ ঘরে দিয়েছেন প্লাস্টিকের পলিথিনের বেড়া।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, উপজেলার বালুচর, লতব্দী, রশুনিয়া ইউনিয়নসহ, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ও কেরানীগঞ্জের মোল্লাবাজারের ৩০ গ্রামের কয়েক লক্ষাধিক মানুষসহ এ পথে যাতায়াত করে ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহন। ছয় মাস আগে রাস্তার উন্নয়নে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হয়। পুরোনো পিচ ঢালাই ভেঙে রাস্তার ওপরে বসায়, এরপর ইটের খোয়া ও বালু দিয়ে তা রাস্তার মধ্যে বুলডোজারের মাধ্যমে চাপা দিয়ে রাখে। কিন্তু দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকায় ধুলা-বালুতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, সিরাজদিখান থেকে সাপেরচর পর্যন্ত ৭ দশমিক ১৭০ কিলোমিটার সড়কের কাজ ২০২১ সালের আগস্টে শুরু হয়। চলতি সালের ৩০ ডিসেম্বর কাজের মেয়াদ শেষ হবে। এ সড়কটি দুটি গুচ্ছ আকারে করা হচ্ছে। প্রথম গুচ্ছ সিরাজদিখান থেকে শুরু করে ৬ কিলোমিটার। ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা চুক্তিমূল্যে এ অংশ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় মোনালিসা এন্টারপ্রাইজ। দ্বিতীয় গুচ্ছ ওই ৬ কিলোমিটারের পর থেকে সাপেরচর পর্যন্ত পরবর্তী অংশ। ৮৪ লাখ টাকা চুক্তিমূল্যে এ অংশের দায়িত্ব পেয়েছে এহসান অ্যান্ড সেরন নামের যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
বালুচর ইউনিয়নের বাসিন্দা মোটরসাইকেল আরোহী নাজমুল মোল্লা বলেন, ‘সড়কের কাজ না করে কেন এভাবে ফেলে রাখা হলো? এ সড়ক দিয়ে একবার গেলে দ্বিতীয়বার ধুলা-বালুতে মানুষের চেহারা আর মানুষের মতো থাকে না।’
এ পথের অটোরিকশাচালক আবুল হাসেম বলেন, ‘কয়েক মাস আগে সড়কটি খানাখন্দ ছিল। তখন যেতে-আসতে ঝাঁকুনি খেতে হতো। এখন তো ঝাঁকুনি, ধুলা-বালু সবই খেতে হচ্ছে। বড় ট্রাক একবার গেলে সড়কে এমন পরিমাণ ধুলা ওড়ে যেন সামনে কোনো গাড়ি থাকলে তা-ও দেখা যায় না।’
গয়াতলা গ্রামের বাসিন্দা মাজেদ দেওয়ান বলেন, ‘দুই মাস ধরে সড়কের কাজ ফেলে রেখেছে। ধুলা-বালুতে ঘরে থাকা যায় না। ঘরের খাবার-দাবার, জামাকাপড় ধুলা-বালুতে নষ্ট হচ্ছে। সবার সর্দি-কাশি লেগেই আছে। প্রতিদিন দুই বেলা বাড়ির মোটর দিয়ে পানি ছিটাই। তারপরও ভোগান্তি কমছে না।’
এহসান অ্যান্ড সেরন এন্টারপ্রাইজের মালিক ইমরান হোসেন বলেন, ‘আমরা যখন কাজটি নিয়েছিলাম, তখন সব ধরনের নির্মাণসামগ্রীর দাম কম ছিল। কাজটি শুরুর পর হঠাৎই দাম বেড়ে যায়। ফলে কাজে আসে ধীরগতি। লোকসান হওয়ায় ইতিমধ্যে কয়েকটি কাজে আত্মসমর্পণ করেছি। তবে মানুষের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে এ সড়কের কাজটি আমরা করব। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কাজটি শেষ করা হবে।’
উপজেলা এলজিইডি সহকারী প্রকৌশলী খাইরুল বাশার বলেন, এ পথে যাতায়াতকারী মানুষের ভোগান্তি লাঘবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পানি ছিটাতে বলা হয়েছে। প্রতিদিন তারা পানি ছিটাচ্ছে। তবে শুকনো মৌসুম হওয়ায় কিছুক্ষণের মধ্যে শুকিয়ে যাচ্ছে। সড়কটির প্রথম অংশের প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটারের কার্পেটিং করা হয়েছে। অবশিষ্ট কাজ দ্রুত শেষ করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানদের চাপ দেওয়া হচ্ছে।’
জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোনায়েম সরকার বলেন, ওই সড়কটির মধ্যভাগে বেশকিছু অংশে কার্পেটিংয়ের কাজ হয়েছে। বাকি সড়কের কাজও দ্রুত শুরু করা হবে। আশা করা যায় আগামী দুই মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
৪ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫