বিভুরঞ্জন সরকার, সহকারী সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ৪ জানুয়ারি। ১৯৪৮ সালের এইদিন মুসলিম ছাত্রলীগ নামের একটি নতুন সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারপর এই সংগঠন দেশ ও দেশের মানুষের প্রয়োজনে ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রাম করে এসেছে। ১৯৫২ সালের ভাষাসংগ্রাম থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত জাতির প্রতিটি সংকট ছাত্রলীগ মাঠে থেকে লড়াই করে গৌরবগাথা রচনা করেছে। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে ছাত্রলীগ পালন করেছে বিশ্বস্ত যোদ্ধার ভূমিকা।
৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের সময় ছাত্রলীগ কি শুধু অতীতের গৌরবগীতি গেয়ে খুশি থাকবে, নাকি নতুন গৌরবের ইতিহাস রচনার শপথ নেবে? অতীতে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম–তা নিশ্চয়ই মনে রাখতে হবে, তবে আরও সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরির পথ ছেড়ে দিয়ে নয়।
প্রায় প্রতিদিন গণমাধ্যমে ছাত্রলীগ সম্পর্কে নেতিবাচক খবর ছাপা হয়। এমন নয় যে ঘটনা ঘটছে না, তা সত্ত্বেও সংবাদমাধ্যমগুলো বানোয়াট খবর ছেপে দিচ্ছে। ছাত্রলীগ খবর তৈরি করছে এবং তা প্রকাশ পাচ্ছে। ছাত্রলীগের কাজকর্ম সরকারের জন্য বিব্রতকর হলেও তাদের নিয়ন্ত্রণ করার কোনো উদ্যোগ বা প্রচেষ্টা লক্ষ করা যায় না। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী-মাস্তানির অভিযোগ উঠলে অনেক সময় বলা হয়ে থাকে যে, যারা অপরাধ সংঘটিত করছে, তারা প্রকৃত ছাত্রলীগার নয়, তারা অনুপ্রবেশকারী। ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারীদের কেন জায়গা দেওয়া হয়, কেন তাদের অপরাধের দায় ছাত্রলীগকে বহন করতে হয়, সে প্রশ্নেরও জবাব পাওয়া যায় না।
কয়েক বছর আগে বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি চলাকালে পুরান ঢাকায় বিশ্বজিৎ নামে একজন সেলাইকর্মীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ডে ছাত্রলীগের কর্মীরা জড়িত বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর, প্রথমে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের রাজনৈতিক পরিচয় আড়াল করা যায়নি। সবদিক বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছাত্রলীগের ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যাদের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, সব ভালো অর্জন বিফলে যায়, তাদের প্রতি সহানুভূতি ও অনুকম্পা দেখানোর কোনো মানে হয় না।
শেখ হাসিনা বেশ কয়েক বছর আগে ছাত্রলীগের হাতে বই-খাতা-কলম তুলে দিয়েছিলেন। মারামারি-হানাহানিতে লিপ্ত না হয়ে, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শিক্ষাসংশ্লিষ্ট বিষয়েই নিজেদের জড়িত রাখবে—এটাই ছিল তাঁর প্রত্যাশা। বই-খাতা দিয়ে ছাত্রলীগকে তিনি নিশ্চয়ই পেশিশক্তিতে বলীয়ান দেখতে চাননি, চেয়েছিলেন জ্ঞানের শক্তিতে সাহসী এবং শিক্ষার আলোয় আলোকিত-উদ্ভাসিত দেখতে। কিন্তু শেখ হাসিনার ইচ্ছাপূরণে ব্রতী না হয়ে ছাত্রলীগ কেন ভিন্নপথে হাঁটছে, ছাত্রলীগের হাতে কেন এবং কীভাবে অস্ত্র উঠছে, সেটা এখন তাঁকেই খতিয়ে দেখতে হবে।
একসময়ের ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনটি যেন পণ করেছে যে তারা শেখ হাসিনার সব সাফল্য ম্লান না করে ছাড়বে না। তারা নানা ধরনের অপরাধকাজের সঙ্গে নিজেদের জড়াবেই। অপরাধ এবং ছাত্রলীগ একসঙ্গে চলার প্রতিজ্ঞা করে কার্যত সরকারকে এক বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ফেলেছে।
ছাত্রলীগের ব্যাধি নিরাময়ের জন্য হোমিও চিকিৎসায় আর কাজ হবে না। বড় অপারেশন লাগবে। সেটা করা হবে, নাকি সাময়িক উপশমের জন্য টোটকা চিকিৎসার ওপরই ভরসা করা হবে, সেটা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে বিষয়টি নিশ্চয়ই শেখ হাসিনার নজরের বাইরে নেই। শেখ হাসিনা সবাইকে তাঁর ওপর ভরসা রাখতে বলেন। তিনি এটা বলতেই পারেন। কারণ তাঁর ওপর ভরসা রাখলে যে হতাশ হতে হয় না, সে প্রমাণ তিনি একাধিকবার দিয়েছেন। তিনি যা বলেন, তা তিনি করেন। তিনি ফাঁকা বুলিতে বিশ্বাস করেন না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়তো একটু সময় লাগে; কিন্তু তিনি কোনো প্রতিশ্রুতির কথা ভোলেন না।প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত সবাইকে শুভেচ্ছা।
বিভুরঞ্জন সরকার, সহকারী সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ৪ জানুয়ারি। ১৯৪৮ সালের এইদিন মুসলিম ছাত্রলীগ নামের একটি নতুন সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারপর এই সংগঠন দেশ ও দেশের মানুষের প্রয়োজনে ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রাম করে এসেছে। ১৯৫২ সালের ভাষাসংগ্রাম থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত জাতির প্রতিটি সংকট ছাত্রলীগ মাঠে থেকে লড়াই করে গৌরবগাথা রচনা করেছে। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে ছাত্রলীগ পালন করেছে বিশ্বস্ত যোদ্ধার ভূমিকা।
৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের সময় ছাত্রলীগ কি শুধু অতীতের গৌরবগীতি গেয়ে খুশি থাকবে, নাকি নতুন গৌরবের ইতিহাস রচনার শপথ নেবে? অতীতে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম–তা নিশ্চয়ই মনে রাখতে হবে, তবে আরও সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরির পথ ছেড়ে দিয়ে নয়।
প্রায় প্রতিদিন গণমাধ্যমে ছাত্রলীগ সম্পর্কে নেতিবাচক খবর ছাপা হয়। এমন নয় যে ঘটনা ঘটছে না, তা সত্ত্বেও সংবাদমাধ্যমগুলো বানোয়াট খবর ছেপে দিচ্ছে। ছাত্রলীগ খবর তৈরি করছে এবং তা প্রকাশ পাচ্ছে। ছাত্রলীগের কাজকর্ম সরকারের জন্য বিব্রতকর হলেও তাদের নিয়ন্ত্রণ করার কোনো উদ্যোগ বা প্রচেষ্টা লক্ষ করা যায় না। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী-মাস্তানির অভিযোগ উঠলে অনেক সময় বলা হয়ে থাকে যে, যারা অপরাধ সংঘটিত করছে, তারা প্রকৃত ছাত্রলীগার নয়, তারা অনুপ্রবেশকারী। ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারীদের কেন জায়গা দেওয়া হয়, কেন তাদের অপরাধের দায় ছাত্রলীগকে বহন করতে হয়, সে প্রশ্নেরও জবাব পাওয়া যায় না।
কয়েক বছর আগে বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি চলাকালে পুরান ঢাকায় বিশ্বজিৎ নামে একজন সেলাইকর্মীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ডে ছাত্রলীগের কর্মীরা জড়িত বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর, প্রথমে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের রাজনৈতিক পরিচয় আড়াল করা যায়নি। সবদিক বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছাত্রলীগের ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যাদের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, সব ভালো অর্জন বিফলে যায়, তাদের প্রতি সহানুভূতি ও অনুকম্পা দেখানোর কোনো মানে হয় না।
শেখ হাসিনা বেশ কয়েক বছর আগে ছাত্রলীগের হাতে বই-খাতা-কলম তুলে দিয়েছিলেন। মারামারি-হানাহানিতে লিপ্ত না হয়ে, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শিক্ষাসংশ্লিষ্ট বিষয়েই নিজেদের জড়িত রাখবে—এটাই ছিল তাঁর প্রত্যাশা। বই-খাতা দিয়ে ছাত্রলীগকে তিনি নিশ্চয়ই পেশিশক্তিতে বলীয়ান দেখতে চাননি, চেয়েছিলেন জ্ঞানের শক্তিতে সাহসী এবং শিক্ষার আলোয় আলোকিত-উদ্ভাসিত দেখতে। কিন্তু শেখ হাসিনার ইচ্ছাপূরণে ব্রতী না হয়ে ছাত্রলীগ কেন ভিন্নপথে হাঁটছে, ছাত্রলীগের হাতে কেন এবং কীভাবে অস্ত্র উঠছে, সেটা এখন তাঁকেই খতিয়ে দেখতে হবে।
একসময়ের ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনটি যেন পণ করেছে যে তারা শেখ হাসিনার সব সাফল্য ম্লান না করে ছাড়বে না। তারা নানা ধরনের অপরাধকাজের সঙ্গে নিজেদের জড়াবেই। অপরাধ এবং ছাত্রলীগ একসঙ্গে চলার প্রতিজ্ঞা করে কার্যত সরকারকে এক বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ফেলেছে।
ছাত্রলীগের ব্যাধি নিরাময়ের জন্য হোমিও চিকিৎসায় আর কাজ হবে না। বড় অপারেশন লাগবে। সেটা করা হবে, নাকি সাময়িক উপশমের জন্য টোটকা চিকিৎসার ওপরই ভরসা করা হবে, সেটা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে বিষয়টি নিশ্চয়ই শেখ হাসিনার নজরের বাইরে নেই। শেখ হাসিনা সবাইকে তাঁর ওপর ভরসা রাখতে বলেন। তিনি এটা বলতেই পারেন। কারণ তাঁর ওপর ভরসা রাখলে যে হতাশ হতে হয় না, সে প্রমাণ তিনি একাধিকবার দিয়েছেন। তিনি যা বলেন, তা তিনি করেন। তিনি ফাঁকা বুলিতে বিশ্বাস করেন না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়তো একটু সময় লাগে; কিন্তু তিনি কোনো প্রতিশ্রুতির কথা ভোলেন না।প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত সবাইকে শুভেচ্ছা।
বিভুরঞ্জন সরকার, সহকারী সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪