গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি
স্বামী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে আনোয়ারা বেগমের (৪০) সংসার। অনেক স্বপ্ন ছিল পরিবারটির। সুখে-শান্তিতে বসবাস করে আসছিলেন পরিবার নিয়ে। কিন্তু দুই সপ্তাহ আগে ভয়াবহ বন্যা তাঁর জীবনে কালো মেঘ হয়ে নেমে আসে। নিজের তৈরি সব স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দেয় প্রলয়ংকরী বন্যা। নিজের ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়ায় এখন তিনি অন্যের বসতঘরে বাস করছেন।
সুখের জীবনের স্মৃতিচারণ করে কাঁদতে কাঁদতে আনোয়ারা বলেন, ‘স্বামীডাও বেকার। ঋণ করে পোলাডারে বিদেশ দিছিলাম। তারপর পোলাডা টাকা-পয়সা দিল আর ব্যাংক থাইকা লোন নিয়া ঘরডা করছিলাম। এই বন্যায় আমগো সবকিছু শেষ কইরা দিল। এইবারের মতো বন্যা আর দেখি নাই। অখন যে কিবা করে আমরা বাঁচমু বাজান, আমগো কোনো পথ নাই। খালি বাড়িডাই আমার আছে। আর কিচ্ছু নাই।’
পরিবারের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে আনোয়ারা বেগম আরও বলেন, ‘এখন মাইনসের বাড়িতে গিয়া উঠছি। মাইনসে যেটা দিতাছে, তা-ই খাইতাছি। আর এখন থাকার মতো, চলার মতো অবস্থা নাই। সরকারে যদি কিছু দিত, তাইলে আমরা চলতে পারতাম।’
আনোয়ারা বেগমের ছেলে ইমরান আহমদ মালদ্বীপপ্রবাসী। তিনি বন্যার আগেই দেশে এসেছেন। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু তাঁর ঈদের খুশি বানের জলে ভেসে গেছে।
ইমরান বলেন, ‘বিদেশ যাওয়ার সময় লোন করে গিয়েছিলাম। সাত বছর পর দেশে এসেছি পরিবারের সঙ্গে একটা ঈদ করতে। কিন্তু বন্যায় আমাদের বাড়িঘর ভেঙে গেছে। ঘরের সবকিছু পানিতে নিয়ে গেছে। নিজের পাসপোর্ট, কাগজপত্র, পারমিট ভিসাসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু নিয়া গেছে। এখন বিদেশও যাইতে পারব না। ওই দেশের মালিকও যোগাযোগ করছে, তাঁরা বলছে কাগজপাতি ছাড়া যাওয়া যাবে না।’
আসামপাড়া এলাকার জুলহাস মিয়াও তাঁর পাকা বসতঘর হারিয়ে নিঃস্বপ্রায়। পরিবারে বৃদ্ধ মা, চার ছেলে ও স্ত্রী নিয়ে বাস করতেন। বন্যায় সবকিছু হারিয়ে তিনিও দিশেহারা।
শুধু আনোয়ারা বেগম ও জুলহাস মিয়াই নন, বরং গোয়াইনঘাটের নয়াগাঙের পাড় এলাকার আরও আটটি পরিবার এবারের বন্যায় বসতঘর হারিয়েছে। সব হারিয়ে এই মানুষগুলোর জীবনে নেমে এসেছে কালো মেঘ। তাঁদের দুঃখ-দুর্দশার যেন অন্ত নেই। ঘরের মালামাল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কয়েক দিন আগেও সবাই আশা নিয়ে বেঁচে থাকার অবলম্বন করছিলেন। কিন্তু হঠাৎই এই কালো মেঘের আড়ালে ঢাকা পড়ে গেছে তাঁদের স্বপ্ন। এখন স্বপ্ন নয়, বেঁচে থাকার লড়াইটাই যেন তাঁদের কাছে অনেক বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।
স্বামী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে আনোয়ারা বেগমের (৪০) সংসার। অনেক স্বপ্ন ছিল পরিবারটির। সুখে-শান্তিতে বসবাস করে আসছিলেন পরিবার নিয়ে। কিন্তু দুই সপ্তাহ আগে ভয়াবহ বন্যা তাঁর জীবনে কালো মেঘ হয়ে নেমে আসে। নিজের তৈরি সব স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দেয় প্রলয়ংকরী বন্যা। নিজের ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়ায় এখন তিনি অন্যের বসতঘরে বাস করছেন।
সুখের জীবনের স্মৃতিচারণ করে কাঁদতে কাঁদতে আনোয়ারা বলেন, ‘স্বামীডাও বেকার। ঋণ করে পোলাডারে বিদেশ দিছিলাম। তারপর পোলাডা টাকা-পয়সা দিল আর ব্যাংক থাইকা লোন নিয়া ঘরডা করছিলাম। এই বন্যায় আমগো সবকিছু শেষ কইরা দিল। এইবারের মতো বন্যা আর দেখি নাই। অখন যে কিবা করে আমরা বাঁচমু বাজান, আমগো কোনো পথ নাই। খালি বাড়িডাই আমার আছে। আর কিচ্ছু নাই।’
পরিবারের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে আনোয়ারা বেগম আরও বলেন, ‘এখন মাইনসের বাড়িতে গিয়া উঠছি। মাইনসে যেটা দিতাছে, তা-ই খাইতাছি। আর এখন থাকার মতো, চলার মতো অবস্থা নাই। সরকারে যদি কিছু দিত, তাইলে আমরা চলতে পারতাম।’
আনোয়ারা বেগমের ছেলে ইমরান আহমদ মালদ্বীপপ্রবাসী। তিনি বন্যার আগেই দেশে এসেছেন। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু তাঁর ঈদের খুশি বানের জলে ভেসে গেছে।
ইমরান বলেন, ‘বিদেশ যাওয়ার সময় লোন করে গিয়েছিলাম। সাত বছর পর দেশে এসেছি পরিবারের সঙ্গে একটা ঈদ করতে। কিন্তু বন্যায় আমাদের বাড়িঘর ভেঙে গেছে। ঘরের সবকিছু পানিতে নিয়ে গেছে। নিজের পাসপোর্ট, কাগজপত্র, পারমিট ভিসাসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু নিয়া গেছে। এখন বিদেশও যাইতে পারব না। ওই দেশের মালিকও যোগাযোগ করছে, তাঁরা বলছে কাগজপাতি ছাড়া যাওয়া যাবে না।’
আসামপাড়া এলাকার জুলহাস মিয়াও তাঁর পাকা বসতঘর হারিয়ে নিঃস্বপ্রায়। পরিবারে বৃদ্ধ মা, চার ছেলে ও স্ত্রী নিয়ে বাস করতেন। বন্যায় সবকিছু হারিয়ে তিনিও দিশেহারা।
শুধু আনোয়ারা বেগম ও জুলহাস মিয়াই নন, বরং গোয়াইনঘাটের নয়াগাঙের পাড় এলাকার আরও আটটি পরিবার এবারের বন্যায় বসতঘর হারিয়েছে। সব হারিয়ে এই মানুষগুলোর জীবনে নেমে এসেছে কালো মেঘ। তাঁদের দুঃখ-দুর্দশার যেন অন্ত নেই। ঘরের মালামাল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কয়েক দিন আগেও সবাই আশা নিয়ে বেঁচে থাকার অবলম্বন করছিলেন। কিন্তু হঠাৎই এই কালো মেঘের আড়ালে ঢাকা পড়ে গেছে তাঁদের স্বপ্ন। এখন স্বপ্ন নয়, বেঁচে থাকার লড়াইটাই যেন তাঁদের কাছে অনেক বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪