ইতি খন্দকার
আমাদের বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী যে কাঙ্ক্ষিত ওজন থাকা দরকার, সেটা যদি নির্দিষ্ট ওজনের বেশি হয়ে থাকে, তখন আমরা সেই ব্যক্তিদের ওভেস হিসেবে চিহ্নিত করে থাকি। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওজন সব বয়সের জন্যই ক্ষতিকর। কেননা বিভিন্ন রোগের সূত্রপাত অতিরিক্ত ওজনের জন্যই হয়ে থাকে। তাই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সব সময় সচেতন থাকতে হবে।
ডায়েটের ধরন
ওজন কমানোর বিভিন্ন ধরনের ডায়েট আছে। এর মধ্যে ব্যালেন্সড ডায়েট, পেলিও ডায়েট, ভেগান ডায়েট, লো কার্ব ডায়েট, আলট্রা লো ফ্যাট ডায়েট, এইচসিজি ডায়েট, জোন ডায়েট, এটকিনস ডায়েট, ডুকান ডায়েট, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ইত্যাদি। সব ধরনের ডায়েট সব বয়সের ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য নয়। বয়স, উচ্চতা এবং ওজনের পাশাপাশি রোগভেদে একটি ডায়েট চার্টের পরিবর্তন হয়ে থাকে। তাই নিজ থেকে হুট করে যেকোনো ডায়েট শুরু করা যাবে না।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন–
বয়স, উচ্চতা ও ওজন জেনে তার বিএমআই, বিএমআর বের করে প্রতিদিনের যে ক্যালরি প্রয়োজন, সেটা নির্ধারণ করতে হবে। দেখতে হবে ওজন কমাতে চাওয়া মানুষটির কোনো খাবারে অ্যালার্জি আছে কি না; কিংবা কোনো অসুখে ভুগছেন কি না এবং আগেও কোনো অসুখ ছিল কি না। সব ইতিহাস নিয়ে ডায়েট চার্ট করতে হবে। বয়সের ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ শিশুদের ডায়েট চার্ট এবং ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সী ব্যক্তির ডায়েট চার্টের মিল থাকবে না।
ওজন কমাতে স্বাভাবিকভাবে যা মেনে চলতে পারেন
দিনের শুরু
দিনের শুরুতে, অর্থাৎ সকাল ৫টা থেকে সাড়ে ৬টায় ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস ডিটক্স ওয়াটার কিংবা এক চামচ দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে এক গ্লাস হালকা কুসুম গরম পানি পান করতে পারেন। চিয়া সিডস ও তোকমা ভেজানো এক গ্লাস পানিও পান করতে পারেন অথবা হালকা কুসুম গরম পানিতে লেবু-মধু মিশিয়েও পান করতে পারেন। এরপর ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটতে হবে।
সকালের নাশতা
সকালের নাশতা অবশ্যই সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে শেষ করতে হবে। নাশতায় ওটস, ডিম ও সবজি দিয়ে খিচুড়ি করে খেতে পারেন কিংবা লাল আটার মাঝারি আকারের দুইটি রুটি, এক বাটি কম মসলাযুক্ত সেদ্ধ সবজি ও একটি ডিম রাখতে পারেন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর পুদিনাপাতা, লেবুর রস ও টক দই মেশানো ১ বাটি খোসাসহ শসার সালাদ খাবেন।
সকাল ও দুপুরের মাঝে
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ যেকোনো একটি ফল কিংবা ৩টি কাঠবাদাম, দুই পিস সুগার ফ্রি বিস্কুট খাবেন।
দুপুরের খাবার
দুপুরের খাবারে রুটি অথবা ভাত যেকোনো একটি রাখতে পারেন। সঙ্গে মাছ ও চর্বিমুক্ত মুরগির মাংস, শাক বা ডাল দিয়ে মিক্সড সবজি ও সালাদ। দুপুরের খাবারের পরিমাণটা অবশ্যই সকালের খাবারের পরিমাণ থেকে কিছুটা কম রাখতে হবে।
বিকেলের নাশতায়
বিকেলের নাশতায় অল্প করে ছোলা সেদ্ধ, বাদাম, কাঁচা পেঁপে, শসা, টমেটো, লেবুর রস, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ ইত্যাদি দিয়ে একটা সালাদ রাখতে পারেন, কিংবা একটি মাঝারি আকারের কলা, একটি ছোট খেজুর, টক দই, ভেজানো তোকমা, চিয়া সিডস ও সামান্য পানি দিয়ে একটা স্মুদি করে খেতে পারেন।
রাতের খাবার
এক পিস বড় আকারের মাছ বা মুরগির পিস, চায়নিজ সবজি অথবা স্যুপ রাখতে পারেন। রাতের খাবার অবশ্যই ঘুমানোর দুই ঘণ্টা আগে শেষ করতে হবে। ঘুমানোর আগে এক গ্লাস নন ফ্যাট গরুর দুধের সঙ্গে এক চিমটি গুঁড়ো হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন অথবা এক গ্লাস পানির সঙ্গে চিয়া সিডস ও ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন।
লেখক: ইতি খন্দকার পুষ্টিবিদ, লেজার ট্রিট
আমাদের বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী যে কাঙ্ক্ষিত ওজন থাকা দরকার, সেটা যদি নির্দিষ্ট ওজনের বেশি হয়ে থাকে, তখন আমরা সেই ব্যক্তিদের ওভেস হিসেবে চিহ্নিত করে থাকি। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওজন সব বয়সের জন্যই ক্ষতিকর। কেননা বিভিন্ন রোগের সূত্রপাত অতিরিক্ত ওজনের জন্যই হয়ে থাকে। তাই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সব সময় সচেতন থাকতে হবে।
ডায়েটের ধরন
ওজন কমানোর বিভিন্ন ধরনের ডায়েট আছে। এর মধ্যে ব্যালেন্সড ডায়েট, পেলিও ডায়েট, ভেগান ডায়েট, লো কার্ব ডায়েট, আলট্রা লো ফ্যাট ডায়েট, এইচসিজি ডায়েট, জোন ডায়েট, এটকিনস ডায়েট, ডুকান ডায়েট, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ইত্যাদি। সব ধরনের ডায়েট সব বয়সের ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য নয়। বয়স, উচ্চতা এবং ওজনের পাশাপাশি রোগভেদে একটি ডায়েট চার্টের পরিবর্তন হয়ে থাকে। তাই নিজ থেকে হুট করে যেকোনো ডায়েট শুরু করা যাবে না।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন–
বয়স, উচ্চতা ও ওজন জেনে তার বিএমআই, বিএমআর বের করে প্রতিদিনের যে ক্যালরি প্রয়োজন, সেটা নির্ধারণ করতে হবে। দেখতে হবে ওজন কমাতে চাওয়া মানুষটির কোনো খাবারে অ্যালার্জি আছে কি না; কিংবা কোনো অসুখে ভুগছেন কি না এবং আগেও কোনো অসুখ ছিল কি না। সব ইতিহাস নিয়ে ডায়েট চার্ট করতে হবে। বয়সের ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ শিশুদের ডায়েট চার্ট এবং ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সী ব্যক্তির ডায়েট চার্টের মিল থাকবে না।
ওজন কমাতে স্বাভাবিকভাবে যা মেনে চলতে পারেন
দিনের শুরু
দিনের শুরুতে, অর্থাৎ সকাল ৫টা থেকে সাড়ে ৬টায় ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস ডিটক্স ওয়াটার কিংবা এক চামচ দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে এক গ্লাস হালকা কুসুম গরম পানি পান করতে পারেন। চিয়া সিডস ও তোকমা ভেজানো এক গ্লাস পানিও পান করতে পারেন অথবা হালকা কুসুম গরম পানিতে লেবু-মধু মিশিয়েও পান করতে পারেন। এরপর ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটতে হবে।
সকালের নাশতা
সকালের নাশতা অবশ্যই সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে শেষ করতে হবে। নাশতায় ওটস, ডিম ও সবজি দিয়ে খিচুড়ি করে খেতে পারেন কিংবা লাল আটার মাঝারি আকারের দুইটি রুটি, এক বাটি কম মসলাযুক্ত সেদ্ধ সবজি ও একটি ডিম রাখতে পারেন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর পুদিনাপাতা, লেবুর রস ও টক দই মেশানো ১ বাটি খোসাসহ শসার সালাদ খাবেন।
সকাল ও দুপুরের মাঝে
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ যেকোনো একটি ফল কিংবা ৩টি কাঠবাদাম, দুই পিস সুগার ফ্রি বিস্কুট খাবেন।
দুপুরের খাবার
দুপুরের খাবারে রুটি অথবা ভাত যেকোনো একটি রাখতে পারেন। সঙ্গে মাছ ও চর্বিমুক্ত মুরগির মাংস, শাক বা ডাল দিয়ে মিক্সড সবজি ও সালাদ। দুপুরের খাবারের পরিমাণটা অবশ্যই সকালের খাবারের পরিমাণ থেকে কিছুটা কম রাখতে হবে।
বিকেলের নাশতায়
বিকেলের নাশতায় অল্প করে ছোলা সেদ্ধ, বাদাম, কাঁচা পেঁপে, শসা, টমেটো, লেবুর রস, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ ইত্যাদি দিয়ে একটা সালাদ রাখতে পারেন, কিংবা একটি মাঝারি আকারের কলা, একটি ছোট খেজুর, টক দই, ভেজানো তোকমা, চিয়া সিডস ও সামান্য পানি দিয়ে একটা স্মুদি করে খেতে পারেন।
রাতের খাবার
এক পিস বড় আকারের মাছ বা মুরগির পিস, চায়নিজ সবজি অথবা স্যুপ রাখতে পারেন। রাতের খাবার অবশ্যই ঘুমানোর দুই ঘণ্টা আগে শেষ করতে হবে। ঘুমানোর আগে এক গ্লাস নন ফ্যাট গরুর দুধের সঙ্গে এক চিমটি গুঁড়ো হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন অথবা এক গ্লাস পানির সঙ্গে চিয়া সিডস ও ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন।
লেখক: ইতি খন্দকার পুষ্টিবিদ, লেজার ট্রিট
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫