সনি আজাদ, চারঘাট (রাজশাহী)
রাজশাহীর চারঘাট পৌরসভার বিভিন্ন সড়কে একের পর এক অপরিকল্পিত ও অনুমোদনহীন গতিরোধক স্থাপন করা হচ্ছে। এসব গতিরোধক সাদা রঙে চিহ্নিত করা হয়নি। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এ ছাড়া ভোগান্তিতে পড়ছেন যানবাহনের যাত্রী ও চালকেরা।
যানবাহনের যাত্রী ও চালকদের অভিযোগ, গতিরোধকের মাত্রাতিরিক্ত উচ্চতা ও সরুর কারণে অনেক সময় বিকল হয়ে যাচ্ছে যানবাহন। সড়কগুলোতে গতিরোধক বাড়তে থাকলেও এ সম্পর্কে নির্বিকার প্রশাসন। অপ্রয়োজনীয় ও অপরিকল্পিত গতিরোধকগুলো দ্রুত সরানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগ বলছে, সংশ্লিষ্ট কমিটির অনুমোদন নিয়ে সড়কে সাধারণত হাট-বাজার এলাকা এবং স্কুল-কলেজ ও হাসপাতালের সামনে গতিরোধক দেওয়া হয়। এটি দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য দুর্ঘটনা বাড়ানো নয়, বরং কমানো; কিন্তু অপরিকল্পিত গতিরোধকের কারণে দুর্ঘটনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া রাস্তার কাজ করার সময় স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিভিন্ন স্থানে গতিরোধক স্থাপনের জন্য চাপ দেন। মূলত ওসব অপরিকল্পিত গতিরোধক পরবর্তী সময়ে সড়ক দুর্ঘটনাসহ ভোগান্তির কারণ হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চারঘাট চারমাথা মোড় থেকে মডেল থানা ও গোপালপুর হয়ে ফকিরের মোড় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কে রয়েছে ২১টি গতিরোধক। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে মডেল থানা ও গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের গতিরোধক ছাড়া বাকিগুলো বিভিন্ন বাড়ির সামনে। ৫০-১০০ ফুট দূরত্বেও নিজ নিজ বাড়ির সামনে ইচ্ছেমতো বসানো হয়েছে গতিরোধক।
অন্যদিকে উপজেলার আড়ানী রোডের বড় মসজিদ এলাকা থেকে মিয়াপুর সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ২৩টি গতিরোধক স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া পৌরসভার থানাপাড়া ও মুক্তারপুর এলাকার বিভিন্ন সড়কে বহু অপরিকল্পিত ও অননুমোদিত গতিরোধক রয়েছে। এগুলো মাত্রাতিরিক্ত উচ্চতা ও প্রস্থের। বেশির ভাগই বেশ সরু।
স্থানীয় অটোরিকশার চালক রবিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, এত উঁচু করে গতিরোধক দেওয়া হয়েছে, অটোরিকশায় প্রসূতিরা থাকলে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিছু কিছু জায়গা চলন্ত অবস্থায় বোঝা যায় না। তখন গাড়ি উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়। নির্দিষ্ট জায়গায় গতিরোধক থাকলে গাড়ি চালাতে সুবিধা হয়।
পৌরসভার মিয়াপুর এলাকার মোটরসাইকেলের চালক শামীম রেজা বলেন, গতিরোধকগুলো উঁচু করে এবং ঘন করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ব্রেক করলে উল্টে পড়তে হয়, আর রাতে তো সড়কে এগুলো আছে কি না, তা দেখা যায় না।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের চারঘাটের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে গতিরোধক থাকতে পারে; কিন্তু সেটি হতে হবে নিয়মমাফিক। যত্রতত্র দিয়ে দুর্ঘটনা আরও বেড়েছে।
পৌরসভার প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, সড়কের গতিরোধকগুলো অপরিকল্পিতভাবে হয়েছে; কিন্তু বাড়ির সামনে গতিরোধক না দিলে স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তার কাজে বাধা সৃষ্টি করেন। এ জন্য বাধ্য হয়ে এতগুলো গতিরোধক দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বলেন, যত্রতত্র গতিরোধক স্থাপন করা সম্পূর্ণ অবৈধ। এতে দুর্ঘটনার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পায়। কোথাও গতিরোধক দিতে হলে সংশ্লিষ্ট কমিটির মাধ্যমে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের অনুমতি নিয়ে দিতে হবে।
রাজশাহীর চারঘাট পৌরসভার বিভিন্ন সড়কে একের পর এক অপরিকল্পিত ও অনুমোদনহীন গতিরোধক স্থাপন করা হচ্ছে। এসব গতিরোধক সাদা রঙে চিহ্নিত করা হয়নি। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এ ছাড়া ভোগান্তিতে পড়ছেন যানবাহনের যাত্রী ও চালকেরা।
যানবাহনের যাত্রী ও চালকদের অভিযোগ, গতিরোধকের মাত্রাতিরিক্ত উচ্চতা ও সরুর কারণে অনেক সময় বিকল হয়ে যাচ্ছে যানবাহন। সড়কগুলোতে গতিরোধক বাড়তে থাকলেও এ সম্পর্কে নির্বিকার প্রশাসন। অপ্রয়োজনীয় ও অপরিকল্পিত গতিরোধকগুলো দ্রুত সরানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগ বলছে, সংশ্লিষ্ট কমিটির অনুমোদন নিয়ে সড়কে সাধারণত হাট-বাজার এলাকা এবং স্কুল-কলেজ ও হাসপাতালের সামনে গতিরোধক দেওয়া হয়। এটি দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য দুর্ঘটনা বাড়ানো নয়, বরং কমানো; কিন্তু অপরিকল্পিত গতিরোধকের কারণে দুর্ঘটনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া রাস্তার কাজ করার সময় স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিভিন্ন স্থানে গতিরোধক স্থাপনের জন্য চাপ দেন। মূলত ওসব অপরিকল্পিত গতিরোধক পরবর্তী সময়ে সড়ক দুর্ঘটনাসহ ভোগান্তির কারণ হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চারঘাট চারমাথা মোড় থেকে মডেল থানা ও গোপালপুর হয়ে ফকিরের মোড় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কে রয়েছে ২১টি গতিরোধক। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে মডেল থানা ও গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের গতিরোধক ছাড়া বাকিগুলো বিভিন্ন বাড়ির সামনে। ৫০-১০০ ফুট দূরত্বেও নিজ নিজ বাড়ির সামনে ইচ্ছেমতো বসানো হয়েছে গতিরোধক।
অন্যদিকে উপজেলার আড়ানী রোডের বড় মসজিদ এলাকা থেকে মিয়াপুর সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ২৩টি গতিরোধক স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া পৌরসভার থানাপাড়া ও মুক্তারপুর এলাকার বিভিন্ন সড়কে বহু অপরিকল্পিত ও অননুমোদিত গতিরোধক রয়েছে। এগুলো মাত্রাতিরিক্ত উচ্চতা ও প্রস্থের। বেশির ভাগই বেশ সরু।
স্থানীয় অটোরিকশার চালক রবিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, এত উঁচু করে গতিরোধক দেওয়া হয়েছে, অটোরিকশায় প্রসূতিরা থাকলে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিছু কিছু জায়গা চলন্ত অবস্থায় বোঝা যায় না। তখন গাড়ি উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়। নির্দিষ্ট জায়গায় গতিরোধক থাকলে গাড়ি চালাতে সুবিধা হয়।
পৌরসভার মিয়াপুর এলাকার মোটরসাইকেলের চালক শামীম রেজা বলেন, গতিরোধকগুলো উঁচু করে এবং ঘন করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ব্রেক করলে উল্টে পড়তে হয়, আর রাতে তো সড়কে এগুলো আছে কি না, তা দেখা যায় না।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের চারঘাটের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে গতিরোধক থাকতে পারে; কিন্তু সেটি হতে হবে নিয়মমাফিক। যত্রতত্র দিয়ে দুর্ঘটনা আরও বেড়েছে।
পৌরসভার প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, সড়কের গতিরোধকগুলো অপরিকল্পিতভাবে হয়েছে; কিন্তু বাড়ির সামনে গতিরোধক না দিলে স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তার কাজে বাধা সৃষ্টি করেন। এ জন্য বাধ্য হয়ে এতগুলো গতিরোধক দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বলেন, যত্রতত্র গতিরোধক স্থাপন করা সম্পূর্ণ অবৈধ। এতে দুর্ঘটনার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পায়। কোথাও গতিরোধক দিতে হলে সংশ্লিষ্ট কমিটির মাধ্যমে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের অনুমতি নিয়ে দিতে হবে।
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
১ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪