Ajker Patrika

বিদ্রোহীদের হুঁশিয়ারি সাংসদের

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ১১
বিদ্রোহীদের হুঁশিয়ারি সাংসদের

আচরণবিধি লঙ্ঘন করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রচারের অভিযোগ উঠেছে সাংসদ মির্জা আজমের বিরুদ্ধে। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এই প্রচার কার্যক্রম চালান। এ সময় তিনি বিদ্রোহী প্রার্থীদের হুঁশিয়ার করে দেন।

গতকাল শনিবার জামালপুরের ইসলামপুর পৌর শহরের এসএমএআর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সাংসদ মির্জা আজম প্রধান অতিথি ছিলেন।

জানা গেছে, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল ১১ নভেম্বর। সেদিন ইসলামপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান পালন করা হয়। গতকাল আবারও ইসলামপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন করা হয়। সেখানে নৌকার এক প্রার্থীকে পাশে রেখে বিদ্রোহী প্রার্থীকে উদ্দেশ করে প্রধান অতিথি মির্জা আজম বলেন, ‘দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি যখন নির্বাচন করার সাহস রাখে না। তুমি এমন সাহস রাখো কী করে? বিএনপির নেতা ছিলে, বিএনপির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে পিঠ বাঁচাতে আওয়ামী লীগে এসেছিলে। এখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে বিদ্রোহ করছ। এরপর আর তোমার জায়গা কোথায়?’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রার্থী পছন্দ না হলেও শেখ হাসিনার মুখের দিকে তাকিয়ে নৌকায় ভোট দেবেন।’

জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ চৌধুরী।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভায় মেলান্দহ উপজেলার দুরমুঠ ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেকুজ্জামান জুবেরী এবং ইসলামপুর উপজেলার গোয়ালেরচর ইউপিতে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সেখ হারুনুর রশীদ মোটরসাইকেল শোডাউনে দলীয় নেতা-কর্মীর বিশাল বহর নিয়ে সভায় যোগ দেন। নেতা-কর্মীদের পদচারণে কানায় কানায় ভরে ওঠে সভাস্থল।

দুরমুঠ ইউপির আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউজ্জামান বাদলকে উদ্দেশ করে সাংসদ মির্জা আজম আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ রামকৃষ্ণ মিশন বা কোনো এনজিও নয়। আওয়ামী লীগ এশিয়ার প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল। যে দলের প্রতিষ্ঠাতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই দল পাকিস্তানি হানাদারদের পরাজিত করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। সেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিদ্রোহ করার সাহস পেলে কোথায়?’

বিশেষ অতিথি বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে বদিউজ্জামান খান বাদলকে বহিষ্কার করা হলো। তার সঙ্গে থাকা ৪০ জন নেতাকে সংশোধনের ২৪ ঘণ্টা সময় দিলাম। কোনো নেতা যদি নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করে, নৌকাকে ডুবাতে চেষ্টা করে, তাকে দল থেকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হবে।’

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট বাকী বিল্লাহ বিদ্রোহী প্রার্থী বাদলকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘মাছ যখন পানিতে থাকে তখন খুব নড়াচড়া করে। ডাঙায় উঠালেই শেষ। হলুদ বাটো, মরিচ বাটো, রান্না করে খাও। আওয়ামী লীগে ছিলে খুব নড়াচড়া করেছ। এখন বহিষ্কার করা হয়েছে। দলে নেতা-কর্মীরা তোমাকে রান্না করার জন্য হলুদ-মরিচ বাটছে। ২৮ নভেম্বর নির্বাচনে তোমাকে রান্না করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত