Ajker Patrika

দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তায় চরম দুর্ভোগ

পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ৫০
দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তায় চরম দুর্ভোগ

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা এলাকাবাসীর ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চর এলাকার কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ এ রাস্তা ব্যবহার করে। এ রাস্তা দিয়ে এলাকায় উৎপাদিত কাঁচামাল পরিবহন করা হয় এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও চলাচল করে। কিন্তু দীর্ঘদিনে রাস্তাটি সংস্কার কিংবা মেরামত না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্রুত পাকা সড়ক নির্মাণের দাবি জানানো হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের আলীশাহা বাজারে সামনে থেকে পশ্চিম দিকে একটি কাঁচা রাস্তা চলে গেছে। রাস্তাটি ঝাউগারচর, গুলোয়ারচর, চরতেরটেকিয়া হয়ে চড়পাড়াতলা পাকা সড়কের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। বাজার থেকে কিছু অংশে ইটের সলিং থাকলেও ঝাউগারচর বজলু মিয়ার বাড়ি থেকে চরপাড়াতলা পর্দাবাড়ি পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তার পুরোটাই কাঁচা।

এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ঝাউগারচর, গুলোয়ারচর, চরতেরটেকিয়া, চরপাড়াতলাসহ আশপাশের গ্রামের শত শত মানুষ চলাফেরা করে। এদিকে ভালো সবজির চাষ হয়ে থাকে এসব এলাকায়। ফলে কৃষকদের তাঁদের উৎপাদিত সবজি বাজারে নিতে এ রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। এসব গ্রামের শিক্ষার্থীরাও রাস্তাটি দিয়ে স্কুল-কলেজে আসা-যাওয়া করে। তাই রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দীর্ঘদিনেও মেরামত না হওয়ায় রাস্তাটির অনেক অংশে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দুপাশের মাটি সরে গিয়ে অনেক জায়গায় দেবে গেছে। এতে যান চলাচলে দুর্ঘটনার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালিতে দুর্ভোগে পড়তে হয় পথচারীদের।

সরেজমিন দেখা গেছে, আলীশাহা বাজার থেকে রাস্তার আধা কিলোমিটার ইটের সলিং, বাকি দুই কিলোমিটার কাঁচা। রাস্তার অনেক অংশে বালু জমে রয়েছে। অনেক জায়গায় দুপাশের মাটি সরে রাস্তা সরু হয়ে গেছে, পাশাপাশি মাটি দেবে সৃষ্টি হয়েছে গর্তের। এ রাস্তায় অটোরিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন দুর্যোগ ও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

মিজানুর রহমান নামের এক পথচারী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তা দিয়ে আসা-যাওয়া করেন তিনি। বৃষ্টিতে কাদা ও শুকনো মৌসুমে বালুর জন্য দুর্ভোগে পড়তে হয়।

ঝাউগারচর গ্রামের বাসিন্দা মো. খোকন মিয়া জানান, চর এলাকার সব মানুষ এ পথে চলাচল করে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা কয়েকবার মাটি ফেলে যান চলাচলের ব্যবস্থা করলেও স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। সড়কটি পাকা করতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

চরফরাদীর ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন বলেন, রাস্তাটি পাকা করা হলে চরাঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে কয়েকবার মাটি ফেলে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে, কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই আবার বেহাল হয়ে পড়ে। গুরুত্ব বিবেচনা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. হাবিবুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ক্রমান্বয়ে গ্রামীণ সড়কগুলো পাকা করা হচ্ছে। গুরুত্ব বিবেচনা করে সড়কটি সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত