Ajker Patrika

নরসিংদীতে জমজমাট পশুর হাট

নরসিংদী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২২, ১৫: ২৬
নরসিংদীতে জমজমাট পশুর হাট

নরসিংদীতে শেষ মুহূর্তে পুরোদমে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। এ বছর দেশের বাইরে থেকে পশুর আমদানি না থাকায় কিছুটা লাভবান হচ্ছেন খামারিরা। তবে খামারি ও বিক্রেতারা বলছেন, বেচাকেনা সন্তোষজনক হলেও গোখাদ্যের দাম বাড়ায় লালন-পালনে খরচ বেশি পড়েছে। তাই লাভ কিছুটা কম হচ্ছে। অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, এবার পশুর দাম কিছুটা বেশি।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে ৮৩টি পশুর হাট বসেছে। এ বছর ভারতে থেকে আমদানি না থাকায় দেশীয় গরুর চাহিদা রয়েছে বাজারে। তবে গোখাদ্যের বাড়তি দামের কারণে পশুর খরচ বেশি পড়ায় লাভ কিছুটা কম হচ্ছে। সীমিত লাভেই পশু বেচাকেনা করছেন খামারি, কৃষক ও পাইকারেরা।

গতকাল শুক্রবার সরেজমিন জেলার বৃহৎ পশুর হাট শিবপুর উপজেলার পুটিয়াসহ বিভিন্ন হাটে দেখা গেছে, ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। সব কটি বাজারে দেশীয় পদ্ধতিতে লালনপালন করা গরু, ছাগলসহ মহিষ বেচাকেনা হচ্ছে পুরোদমে।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর বেশি চাহিদা বলে জানান ক্রেতা-বিক্রেতারা। চাহিদা অনুযায়ী প্রচুর পরিমাণে পশু রয়েছে বাজারগুলোতে। এ বছর দেশের বাইরে থেকে পশু আমদানি না হওয়ায় লাভ কম হলেও লোকসানের আশঙ্কা নেই খামারিদের। বিক্রেতা ও পাইকারেরা অল্প লাভেই বিক্রি করছেন দেশীয় গরু। ৬০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ছোট ও মাঝারি আকারের গরু। এ ছাড়া দেড় লাখ থেকে শুরু করে কয়েক লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কিছুটা বড় আকারের গরু।

রায়পুরা উপজেলার চরমধুয়া এলাকার গ্রিন এগ্রো ফার্মের মালিক আহসান শিকদার বলেন, ‘অন্যান্য বছর লোকসানে বিক্রিসহ অনেক গরু অবিক্রীত থাকত। এ বছর লাভ কম হলেও কোনো গরু অবিক্রীত থাকবে না। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ৯৫ ভাগ গরু বিক্রি করতে পেরেছি। বাকিগুলোও বিক্রি হয়ে যাবে বলে আশাবাদী। এ বছর আমি ৭০টি গরু লালন পালন করেছিলাম।’

শিবপুরের আসাদুজ্জামান আসাদ নামের একজন গরুর খামারি বলেন, তিনি অস্ট্রেলিয়ান জাতের একটি বড় ষাঁড়ের দাম হেঁকেছেন ৭ লাখ টাকা। ক্রেতারা দাম হাঁকছেন ৪ লাখ টাকা। সন্তোষজনক লাভ হলে গরুটি বিক্রি করবেন তিনি।

কোরবানি ঈদ উপলক্ষে শিবপুরের খড়কমারা গ্রামের খামারি খোরশেদ আলম টিটু বলেন, তিনি এবার ২৫টি গরু মোটাতাজা করেছেন। কিন্তু গরুর খাবার ও কর্মচারীদের মজুরি বেশি হওয়ায় এবার লালন পালন খরচ অনেক বেড়েছে। এতে তুলনামূলকভাবে লাভের অংশ কমে আসবে।

নরসিংদী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এ বছর জেলার কোনো হাটে ভারতীয় গরু আসেনি। ফলে স্থানীয় খামারি এবং কৃষকেরা লাভজনকভাবে পশু বিক্রি করছেন। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এ বছর নরসিংদী জেলায় কোরবানির হাটে ১৯৫ কোটি টাকার পশু বেচাকেনা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত