Ajker Patrika

আগের জায়গায় স্কুলভবন নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন

মুলাদী প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ৩১
আগের জায়গায় স্কুলভবন নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন

মুলাদীতে প্রতিষ্ঠাকালীন জায়গায় বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। গতকাল শনিবার বিকেল ৩টায় উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের সৈয়দেরগাঁও এলাকায় সৈয়দা শাহাজাদী বেগম নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, মুলাদী উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের সৈয়দেরগাঁও গ্রামে ১৯৭২ সালে সৈয়দা শাহাজাদী বেগম নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। জয়ন্তী নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে পড়ায় ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জয়ন্তী নদীর উত্তরপাড়ে কৃষ্ণপুর গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফরোজ বেগম জানান, নদীভাঙনের ফলে বিদ্যালয়টি অস্থায়ীভাবে স্থানান্তর করা হয়। শিক্ষকদের টাকায় অস্থায়ীভাবে একটি ঘর করা হয়েছিল। ওই সময় চুক্তি ছিল, নদীভাঙন বন্ধ হলে বিদ্যালয়টি আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। ২০১৬ সালে নদীভাঙন বন্ধ হয়। এরপর বিদ্যালয়টি আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে কৃষ্ণপুর গ্রামের একটি প্রভাবশালী মহল তাতে বাধা দেয়। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যালয়ের নামে একটি নতুন তিনতলা ভবন বরাদ্দ করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন স্থানেই ভবনটি নির্মিত হওয়ার কথা। সেই অনুযায়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কৃষ্ণপুর এলাকার একটি মহল অস্থায়ী জায়গায় ভবনটি নির্মাণের পাঁয়তারা চালাচ্ছে।’

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সভাপতি মজিবুর রহমান সরদার, প্রধান শিক্ষক আফরোজ বেগম, দাতা সদস্য কাজী জানে আলম দুলাল, নূর জাহান বেগম, আব্দুর রাজ্জাক খান, ইব্রাহিম সরদার, আকছিমা আক্তার সুমকী, বাবুল মাতুব্বর, ছত্তার মাতুব্বর, আল আমিন সরদার, হারুন সরদার, শিক্ষক আক্তারুজ্জামান বাবুলসহ শিক্ষক–শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।

কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা মতলেব খন্দকার জানান, নদীভাঙনের কারণে বিদ্যালয়টি এ এলাকায় আনা হয়েছে। নদীবেষ্টিত এলাকায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রয়োজন। বিদ্যালয়ের নামে ইতিমধ্যে জমি দান করা হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সৈয়দা শাহাজাদী নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একটি ভবন নির্মাণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ। নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাকালীন জায়গাতেই নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত