তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
সকাল সকাল কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের ভিড়। বন্ধ টিকিট কাউন্টারের সামনেই লম্বা লাইন। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে খুলল কাউন্টার। তবু লম্বা লাইন আর ছোট হয় না। কেউ টিকিট নিয়ে বের হচ্ছেন, পেছনেই আবার লাইনে দাঁড়াচ্ছেন নতুন মানুষ। সকাল সাড়ে আটটায় কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাবে মহুয়া কমিউটার ট্রেন। কমিউটার ট্রেনটিতে সিট আছে ৫০০ জনের। অথচ টিকিট বিক্রি চলছে তো চলছেই। ট্রেনে বসে, দাঁড়িয়ে যে যেভাবে পারছে উঠে পড়েছে। প্রায় এক হাজার যাত্রী ঠেসে জায়গা করে নিয়েছে ট্রেনটিতে।
গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে এমন চিত্রই পাওয়া গেল। কাউন্টারে দেখা যায়, টিকিট বিক্রিতে একদমই কৃপণ নয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সিট তো আর বাড়ানো হয়নি। এতে যাত্রাপথে ভোগান্তি হয় বলেই জানালেন যাত্রীরা। এটাই শেষ নয়। কমিউটার ট্রেন নিয়ে তাঁদের অভিযোগের পাল্লা আরও ভারী। যাত্রীদের অভিযোগ, কমিউটার ট্রেনের কেউ যাবেন বিমানবন্দর, কেউ গাজীপুর, আবার কেউ কেউ জয়দেবপুর, গফরগাঁও, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন গন্তব্যে। ভিন্ন দূরত্বের গন্তব্য হলেও ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ট্রেনের শেষ স্টেশন মোহনগঞ্জের। সবাইকে সিট নম্বর ছাড়া টিকিটই দেওয়া হচ্ছে।
আজহারুল ইসলাম নামের এক যাত্রী জানান, তিনি ঢাকায় পরিবার নিয়ে থাকেন। পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। কাজ করেন একটি গার্মেন্টসে। ছুটিতে গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ যাবেন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে টিকিটও নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সিট পাব না জেনেও আমি টিকিট নিয়েছি। ময়মনসিংহেই নেমে যাব, তবু আমার কাছে মোহনগঞ্জের ভাড়া হিসেবে প্রতি টিকিটে ৯৫ টাকা করে ভাড়া রাখা হয়েছে।’
এর মধ্যেই রেলস্টেশনের মাইক থেকে ঘোষণা এল সকালে সাড়ে আটটায় ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাবে মহুয়া কমিউটার ট্রেন। তখনো যাত্রী উঠছিল ট্রেনে। কিছুক্ষণ পরই দশ বগি নিয়ে যাত্রা শুরু করল ট্রেনটি। যাত্রীদের সঙ্গী আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদকও। ট্রেনে গতি বেশ বেড়েছে। তেজগাঁও স্টেশনে এসে ট্রেন বিরতি নিল। সেখানেও নানা রকমের মালামাল নিয়ে উঠল আরও কয়েকজন। বিমানবন্দর স্টেশনে থামার পর ট্রেনে আর দাঁড়ানোর জায়গাটুকুও নেই।
বিমানবন্দর পর্যন্ত যেতে যেতে ট্রেনে যাত্রীদের সঙ্গে কথা হয়। মৎস্য ব্যবসায়ী হুমায়ুন বলেন, ‘আমি প্রতিদিনই মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকায় মাছ নিয়ে আসি। আবার ফিরে যাই। কমিউটার ট্রেনে দাঁড়িয়েই যেতে হয়। কপালে জুটলে মাঝেমধ্যে সিট পেয়ে যাই।’
সরেজমিনে দেখা যায়, আন্তনগর ট্রেনের তুলনায় সেবার দিক থেকে খুবই খারাপ অবস্থা কমিউটার ট্রেনের। ট্রেনের শৌচাগারে দুর্গন্ধ, বগির ভেতরেও যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকে, নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। যেখানে-সেখানে উঠে পড়ছেন হকার। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি আরও বেড়ে যায় বলে জানালেন কয়েকজন।
কমিউটার ট্রেনের সেবার মানের বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রেন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মো. আরিফ হোসেন জানান, ‘কমিউটার ট্রেনের চাহিদা বেশি যাত্রীদের। বেশির ভাগ যাত্রীই কম খরচে কাছাকাছি গন্তব্যে যেতে চান। ইচ্ছা থাকলেও আমরা সবাইকে সিট দিতে পারছি না। গন্তব্যের অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয় বলে আমার জানা নেই।’
সার্বিক বিষয়ে রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) ঢাকা সাদিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চুক্তির বরখেলাপ হলে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যারা ট্রেন চালাচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেহেতু এসব ট্রেনে রেলের কোনো প্রতিনিধি থাকে না। সুতরাং ট্রেনের ভেতর কী হচ্ছে আমরা সেটা জানি না। রেলের জনবল কম থাকায় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় কিছু ট্রেন চালাতে হচ্ছে।’
সকাল সকাল কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের ভিড়। বন্ধ টিকিট কাউন্টারের সামনেই লম্বা লাইন। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে খুলল কাউন্টার। তবু লম্বা লাইন আর ছোট হয় না। কেউ টিকিট নিয়ে বের হচ্ছেন, পেছনেই আবার লাইনে দাঁড়াচ্ছেন নতুন মানুষ। সকাল সাড়ে আটটায় কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাবে মহুয়া কমিউটার ট্রেন। কমিউটার ট্রেনটিতে সিট আছে ৫০০ জনের। অথচ টিকিট বিক্রি চলছে তো চলছেই। ট্রেনে বসে, দাঁড়িয়ে যে যেভাবে পারছে উঠে পড়েছে। প্রায় এক হাজার যাত্রী ঠেসে জায়গা করে নিয়েছে ট্রেনটিতে।
গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে এমন চিত্রই পাওয়া গেল। কাউন্টারে দেখা যায়, টিকিট বিক্রিতে একদমই কৃপণ নয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সিট তো আর বাড়ানো হয়নি। এতে যাত্রাপথে ভোগান্তি হয় বলেই জানালেন যাত্রীরা। এটাই শেষ নয়। কমিউটার ট্রেন নিয়ে তাঁদের অভিযোগের পাল্লা আরও ভারী। যাত্রীদের অভিযোগ, কমিউটার ট্রেনের কেউ যাবেন বিমানবন্দর, কেউ গাজীপুর, আবার কেউ কেউ জয়দেবপুর, গফরগাঁও, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন গন্তব্যে। ভিন্ন দূরত্বের গন্তব্য হলেও ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ট্রেনের শেষ স্টেশন মোহনগঞ্জের। সবাইকে সিট নম্বর ছাড়া টিকিটই দেওয়া হচ্ছে।
আজহারুল ইসলাম নামের এক যাত্রী জানান, তিনি ঢাকায় পরিবার নিয়ে থাকেন। পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। কাজ করেন একটি গার্মেন্টসে। ছুটিতে গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ যাবেন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে টিকিটও নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সিট পাব না জেনেও আমি টিকিট নিয়েছি। ময়মনসিংহেই নেমে যাব, তবু আমার কাছে মোহনগঞ্জের ভাড়া হিসেবে প্রতি টিকিটে ৯৫ টাকা করে ভাড়া রাখা হয়েছে।’
এর মধ্যেই রেলস্টেশনের মাইক থেকে ঘোষণা এল সকালে সাড়ে আটটায় ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাবে মহুয়া কমিউটার ট্রেন। তখনো যাত্রী উঠছিল ট্রেনে। কিছুক্ষণ পরই দশ বগি নিয়ে যাত্রা শুরু করল ট্রেনটি। যাত্রীদের সঙ্গী আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদকও। ট্রেনে গতি বেশ বেড়েছে। তেজগাঁও স্টেশনে এসে ট্রেন বিরতি নিল। সেখানেও নানা রকমের মালামাল নিয়ে উঠল আরও কয়েকজন। বিমানবন্দর স্টেশনে থামার পর ট্রেনে আর দাঁড়ানোর জায়গাটুকুও নেই।
বিমানবন্দর পর্যন্ত যেতে যেতে ট্রেনে যাত্রীদের সঙ্গে কথা হয়। মৎস্য ব্যবসায়ী হুমায়ুন বলেন, ‘আমি প্রতিদিনই মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকায় মাছ নিয়ে আসি। আবার ফিরে যাই। কমিউটার ট্রেনে দাঁড়িয়েই যেতে হয়। কপালে জুটলে মাঝেমধ্যে সিট পেয়ে যাই।’
সরেজমিনে দেখা যায়, আন্তনগর ট্রেনের তুলনায় সেবার দিক থেকে খুবই খারাপ অবস্থা কমিউটার ট্রেনের। ট্রেনের শৌচাগারে দুর্গন্ধ, বগির ভেতরেও যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকে, নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। যেখানে-সেখানে উঠে পড়ছেন হকার। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি আরও বেড়ে যায় বলে জানালেন কয়েকজন।
কমিউটার ট্রেনের সেবার মানের বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রেন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মো. আরিফ হোসেন জানান, ‘কমিউটার ট্রেনের চাহিদা বেশি যাত্রীদের। বেশির ভাগ যাত্রীই কম খরচে কাছাকাছি গন্তব্যে যেতে চান। ইচ্ছা থাকলেও আমরা সবাইকে সিট দিতে পারছি না। গন্তব্যের অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয় বলে আমার জানা নেই।’
সার্বিক বিষয়ে রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) ঢাকা সাদিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চুক্তির বরখেলাপ হলে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যারা ট্রেন চালাচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেহেতু এসব ট্রেনে রেলের কোনো প্রতিনিধি থাকে না। সুতরাং ট্রেনের ভেতর কী হচ্ছে আমরা সেটা জানি না। রেলের জনবল কম থাকায় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় কিছু ট্রেন চালাতে হচ্ছে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫