গাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া (খুলনা)
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ৮৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একই বিদ্যালয়ে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে ৪৯ জন শিক্ষক কোনো বদলি ছাড়াই একই স্কুলে চাকরি করছেন ২১ থেকে ৩৬ বছর ধরে। এসব শিক্ষক দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও এলাকায় বিভিন্ন বিষয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
চাকরিবিধি অনুযায়ী সরকারি কোনো কর্মজীবী ৩ থেকে ৫ বছরের অধিক সময় একই কর্মস্থলে না থাকার বিধান রয়েছে। তবে সে আইনের কোনো প্রয়োগ নেই উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয়। এদিকে একই স্থানে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করতে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার ২১৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে ৮৫ জন শিক্ষক ১০ বছরের অধিক সময় ধরে একই বিদ্যালয়ে দায়িত্বে আছেন। তাঁদের মধ্যে ১০ থেকে ২০ বছর ধরে দায়িত্বে রয়েছেন ৩৬ জন, ২১ বছর থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত দায়িত্বে রয়েছেন ১৪ জন ও ৩১ বছর থেকে ৩৬ বছর পর্যন্ত দায়িত্বে রয়েছেন ৩৫ জন শিক্ষক।
বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়ার শর্তে প্রথমে জেলা কোটা ও পরে উপজেলা কোটা অনুসরণ করা হয়। যাতে তরুণ-তরুণীরা শিক্ষক হয়ে নিজ এলাকার শিশুদের পড়ালেখা করাতে পারেন। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ শিক্ষক নিজ এলাকায় অবস্থান না করে শহরে বসবাস করেন।
অভিভাবকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকায় শিক্ষকদের এলাকায় শেকড় গজিয়ে গেছে। তাঁরা এখন শিক্ষার মান উন্নয়ন বা শিক্ষার্থীদের সুবিধার বিষয়ে কোনো গুরুত্ব দেন না। এমনকি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি নির্বাচনের সময় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করে তাঁদের পছন্দের লোকদের নিয়ে আসেন। তা ছাড়া বর্তমান প্রধান শিক্ষকেরা রাজনৈতিক আশ্রয়ে এলাকায় বিভিন্ন বিষয়ে আধিপত্য বিস্তার করছেন। তবে নিয়মিত বদলি হলে শিক্ষার মান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নতি হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিকদার আতিকুর রহমান বলেন, ‘এখানে প্রায় স্কুলেই দায়িত্ব পালনে শিক্ষকের অবহেলার ঘটনা ঘটছে। ছেলেমেয়েদের পরীক্ষা দেরিতে শুরু করার কারণে ২০২১ সালে বাদুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সানজিদা খাতুনকে তৎক্ষণাৎ বদলি করা হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন গত মাসে ছেলেমেয়েদের গালিগালাজ করার কারণে অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে বেতাগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রঞ্জিতা দাসের বদলি প্রক্রিয়াধীন আছে। শিগগিরই তাঁকে অন্যত্র বদলি করা হবে। একই স্থানে দীর্ঘদিন থাকার বিষয়ে এই শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘একই স্থানে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করতে আইনগত কোনো বাধা নেই।’
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদ বলেন, একজন শিক্ষক যুগের পর যুগ একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকলে শিখন, শিক্ষাদান পদ্ধতি একই ধাঁচের হয়ে পড়ে। যদি নিয়মিত বদলির ব্যবস্থা থাকত, তাহলে শিক্ষার মান নিঃসন্দেহে আরও বৃদ্ধি পেত।
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ৮৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একই বিদ্যালয়ে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে ৪৯ জন শিক্ষক কোনো বদলি ছাড়াই একই স্কুলে চাকরি করছেন ২১ থেকে ৩৬ বছর ধরে। এসব শিক্ষক দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও এলাকায় বিভিন্ন বিষয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
চাকরিবিধি অনুযায়ী সরকারি কোনো কর্মজীবী ৩ থেকে ৫ বছরের অধিক সময় একই কর্মস্থলে না থাকার বিধান রয়েছে। তবে সে আইনের কোনো প্রয়োগ নেই উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয়। এদিকে একই স্থানে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করতে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার ২১৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে ৮৫ জন শিক্ষক ১০ বছরের অধিক সময় ধরে একই বিদ্যালয়ে দায়িত্বে আছেন। তাঁদের মধ্যে ১০ থেকে ২০ বছর ধরে দায়িত্বে রয়েছেন ৩৬ জন, ২১ বছর থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত দায়িত্বে রয়েছেন ১৪ জন ও ৩১ বছর থেকে ৩৬ বছর পর্যন্ত দায়িত্বে রয়েছেন ৩৫ জন শিক্ষক।
বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়ার শর্তে প্রথমে জেলা কোটা ও পরে উপজেলা কোটা অনুসরণ করা হয়। যাতে তরুণ-তরুণীরা শিক্ষক হয়ে নিজ এলাকার শিশুদের পড়ালেখা করাতে পারেন। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ শিক্ষক নিজ এলাকায় অবস্থান না করে শহরে বসবাস করেন।
অভিভাবকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকায় শিক্ষকদের এলাকায় শেকড় গজিয়ে গেছে। তাঁরা এখন শিক্ষার মান উন্নয়ন বা শিক্ষার্থীদের সুবিধার বিষয়ে কোনো গুরুত্ব দেন না। এমনকি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি নির্বাচনের সময় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করে তাঁদের পছন্দের লোকদের নিয়ে আসেন। তা ছাড়া বর্তমান প্রধান শিক্ষকেরা রাজনৈতিক আশ্রয়ে এলাকায় বিভিন্ন বিষয়ে আধিপত্য বিস্তার করছেন। তবে নিয়মিত বদলি হলে শিক্ষার মান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নতি হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিকদার আতিকুর রহমান বলেন, ‘এখানে প্রায় স্কুলেই দায়িত্ব পালনে শিক্ষকের অবহেলার ঘটনা ঘটছে। ছেলেমেয়েদের পরীক্ষা দেরিতে শুরু করার কারণে ২০২১ সালে বাদুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সানজিদা খাতুনকে তৎক্ষণাৎ বদলি করা হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন গত মাসে ছেলেমেয়েদের গালিগালাজ করার কারণে অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে বেতাগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রঞ্জিতা দাসের বদলি প্রক্রিয়াধীন আছে। শিগগিরই তাঁকে অন্যত্র বদলি করা হবে। একই স্থানে দীর্ঘদিন থাকার বিষয়ে এই শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘একই স্থানে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করতে আইনগত কোনো বাধা নেই।’
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদ বলেন, একজন শিক্ষক যুগের পর যুগ একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকলে শিখন, শিক্ষাদান পদ্ধতি একই ধাঁচের হয়ে পড়ে। যদি নিয়মিত বদলির ব্যবস্থা থাকত, তাহলে শিক্ষার মান নিঃসন্দেহে আরও বৃদ্ধি পেত।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪