কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় পুরোনো একটি সেতু ধসে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে ওই এলাকার হাজারো মানুষ। উপজেলার ৩ নম্বর পোগলা ইউনিয়নের পোগলা গ্রামের এ সেতুটি এলাকার ২০ হাজার মানুষ ব্যবহার করছে। পাঁচ বছরে আগে সেতুটি ধসে গেলেও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।
তবে উপজেলা প্রকৌশল অফিস থেকে বলা হয়েছে, উপজেলার বেশ কটি ইউনিয়নে এ ধরনের সেতু আছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি দেখা হবে।
জানা গেছে, প্রায় দুই যুগ আগে এ সেতুটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অফিস। সেতুটির নিচের মাটি সরে যাওয়ায় পাটাতন ভেঙে এটি ধসে পড়ে। গত সপ্তাহে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধি পায়। এতে পোগলা গ্রামের ধসে পড়া সেতুটি পানিতে ডুবে যায়।
স্থানীরা ঝুঁকিপূর্ণ স্থানটি পারাপারে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হয়। ইউনিয়নের কৃষ্টপুর, রামনাথপুর, মূলগাঁও, গঙ্গানগর, মানপুর কৈলাটি, আমবাড়ি, ভাটিপাড়া ও চারুলিয়া গ্রামের সাধারণ মানুষ উপজেলা সদরে যাওয়ার এটিই একমাত্র রাস্তা। এ ছাড়া রয়েছে রামনাথপুর ডি এস দাখিল মাদ্রাসা, ডিটপুর মাধ্যমিক উচ্চবিদ্যালয়সহ সাতটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইউনিয়ন পরিষদ। শিক্ষার্থীদের বর্ষার তিন মাস চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এমনকি নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে পারে না তারা।
কৃষকেরা কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ করতে সমস্যা হয়। ঝুঁকি নিয়েই যানবাহন পারাপার করছেন অনেকেই। আশপাশের গ্রামগুলোয় কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে যেতে পারে না। স্থানীয়রা সেতুটি দ্রুত সংস্কার করার দাবি জানান।
ডিটপুর উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সৈকত মিয়াসহ অনেকেই বলে, পাকা সড়কের গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি ধসে পড়ায় বিদ্যালয়ে যেতে তাদের কষ্ট হয়। অটোরিকশা চলাচল করতে না পারায় তাদের সাত কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। ভাঙা সেতুটি সংস্কার হলে তাদের দুর্দশা লাঘব হবে।
পোগলা গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, প্রায় পাঁচ বছর ধরে সেতুটি ভেঙে পড়ে আছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এলজিইডি অফিসে বারবার যোগাযোগ করা সত্ত্বেও এটি সংস্কারের কোনো ব্যবস্থা হচ্ছে না। এলাকার মানুষের ভোগান্তি কমাতে উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তাকে সেতুটি দ্রুত সংস্কারের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করেন তিনি।
ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, এটি ইউনিয়নের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি ভেঙে পড়ে আছে। এতে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতসহ পরিষদের কার্যক্রমে বিঘ্নিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর এই ভাঙা অংশটিতে তিনি মাটি কেটে পারাপারের ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু বর্ষাকালে পানির চাপে এটি ভেঙে যায়। সেতুটি সংস্কারের জন্য তিনি অনেকবার এলজিইডি কর্মকর্তাদের কাছে গিয়েছেন। কিন্তু এটি সংস্কারের ব্যবস্থা না করায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
কলমাকান্দা উপজেলা প্রকৌশলী শুভ্রদেব বলেন, তিনি উপজেলায় নতুন এসেছেন। উপজেলার বেশ কটি ইউনিয়নে এ ধরনের সেতু রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে সেতুটি সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দেন।
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় পুরোনো একটি সেতু ধসে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে ওই এলাকার হাজারো মানুষ। উপজেলার ৩ নম্বর পোগলা ইউনিয়নের পোগলা গ্রামের এ সেতুটি এলাকার ২০ হাজার মানুষ ব্যবহার করছে। পাঁচ বছরে আগে সেতুটি ধসে গেলেও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।
তবে উপজেলা প্রকৌশল অফিস থেকে বলা হয়েছে, উপজেলার বেশ কটি ইউনিয়নে এ ধরনের সেতু আছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি দেখা হবে।
জানা গেছে, প্রায় দুই যুগ আগে এ সেতুটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অফিস। সেতুটির নিচের মাটি সরে যাওয়ায় পাটাতন ভেঙে এটি ধসে পড়ে। গত সপ্তাহে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধি পায়। এতে পোগলা গ্রামের ধসে পড়া সেতুটি পানিতে ডুবে যায়।
স্থানীরা ঝুঁকিপূর্ণ স্থানটি পারাপারে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হয়। ইউনিয়নের কৃষ্টপুর, রামনাথপুর, মূলগাঁও, গঙ্গানগর, মানপুর কৈলাটি, আমবাড়ি, ভাটিপাড়া ও চারুলিয়া গ্রামের সাধারণ মানুষ উপজেলা সদরে যাওয়ার এটিই একমাত্র রাস্তা। এ ছাড়া রয়েছে রামনাথপুর ডি এস দাখিল মাদ্রাসা, ডিটপুর মাধ্যমিক উচ্চবিদ্যালয়সহ সাতটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইউনিয়ন পরিষদ। শিক্ষার্থীদের বর্ষার তিন মাস চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এমনকি নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে পারে না তারা।
কৃষকেরা কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ করতে সমস্যা হয়। ঝুঁকি নিয়েই যানবাহন পারাপার করছেন অনেকেই। আশপাশের গ্রামগুলোয় কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে যেতে পারে না। স্থানীয়রা সেতুটি দ্রুত সংস্কার করার দাবি জানান।
ডিটপুর উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সৈকত মিয়াসহ অনেকেই বলে, পাকা সড়কের গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি ধসে পড়ায় বিদ্যালয়ে যেতে তাদের কষ্ট হয়। অটোরিকশা চলাচল করতে না পারায় তাদের সাত কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। ভাঙা সেতুটি সংস্কার হলে তাদের দুর্দশা লাঘব হবে।
পোগলা গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, প্রায় পাঁচ বছর ধরে সেতুটি ভেঙে পড়ে আছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এলজিইডি অফিসে বারবার যোগাযোগ করা সত্ত্বেও এটি সংস্কারের কোনো ব্যবস্থা হচ্ছে না। এলাকার মানুষের ভোগান্তি কমাতে উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তাকে সেতুটি দ্রুত সংস্কারের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করেন তিনি।
ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, এটি ইউনিয়নের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি ভেঙে পড়ে আছে। এতে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতসহ পরিষদের কার্যক্রমে বিঘ্নিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর এই ভাঙা অংশটিতে তিনি মাটি কেটে পারাপারের ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু বর্ষাকালে পানির চাপে এটি ভেঙে যায়। সেতুটি সংস্কারের জন্য তিনি অনেকবার এলজিইডি কর্মকর্তাদের কাছে গিয়েছেন। কিন্তু এটি সংস্কারের ব্যবস্থা না করায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
কলমাকান্দা উপজেলা প্রকৌশলী শুভ্রদেব বলেন, তিনি উপজেলায় নতুন এসেছেন। উপজেলার বেশ কটি ইউনিয়নে এ ধরনের সেতু রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে সেতুটি সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪