Ajker Patrika

তীব্র গরম ও মশার উপদ্রবে নাকাল পৌরবাসী

বরুড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২২, ১৫: ৩২
তীব্র গরম ও মশার উপদ্রবে নাকাল পৌরবাসী

একে তো তীব্র গরমে অতিষ্ঠ মানুষ, তারপর মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। এতে নাকাল হয়ে পড়েছেন বরুড়া পৌরসভার বাসিন্দারা। পর্যাপ্ত মজুত থাকা সত্ত্বেও, গত তিন মাসে মশক নিধনের ওষুধ ছিটানো হয়নি। এ কারণে মশার উপদ্রব বেড়েছে তিন গুণ। এই উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে মশারি টানানো দরকার। কিন্তু অসহ্য গরমের কারণে তা করা যাচ্ছে না। আবার কয়েল জ্বালিয়েও মশা তাড়ানো যাচ্ছে না। তাই ভোগান্তি তাঁদের পিছু ছাড়ছে না।

পৌর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মশার ওষুধ ছিটানোর নির্দিষ্ট মৌসুম আছে। বর্তমান সময়টাও ওষুধ ছিটানোর মৌসুম। কিন্তু রমজানের কারণে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে না। তাঁদের কাছে পর্যাপ্ত মশার ওষুধ আছে। রমজানের পরে তাঁরা মশক নিধনের জন্য ওষুধ ছিটাবেন। তাঁদের কাছে তিনটি ফগার মেশিন এবং পর্যাপ্ত ওষুধ মজুত আছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পৌরসভার দুজন কর্মচারী বলেন, ‘মশার ওষুধ বিতরণের ব্যাপারটি সরাসরি মেয়র সাহেব দেখেন। উনি যখন নির্দেশ দেন, তখনই মশার ওষুধ ছিটানো হয়। কটি ফগার মেশিন আছে এবং কী পরিমাণ ওষুধ আছে তা আমাদের জানা নেই।’

ওষুধ ব্যবসায়ী নোয়াব মামুনুর রশিদ বলেন, ‘পৌরসভার উদ্যোগে নির্ধারিত ময়লা ফেলার স্থান না থাকায় মানুষ যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলছে। ওই সব জায়গায় বাসাবাড়ির ব্যবহৃত পানি ও বৃষ্টির পানি জমে মশা জন্মাচ্ছে। পৌরসভার দায়িত্বরত কর্মকর্তারাও এ ব্যাপারে উদাসীন। তাঁরা অনেক দিন ধরে বাজারসহ পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের একটিতেও মশা মারার ওষুধ স্প্রে করেননি। এ কারণে কয়েক মাস ধরেই মশার উপদ্রব এত বেড়েছে।’

এ বিষয়ে পৌরসভার মেয়র বক্তার হোসেন বলেন, ‘এখন মশার ওষুধ স্প্রে করার সিজন। আমরা ওষুধ ছিটাব। ওষুধ পর্যাপ্ত আছে। ফগার মেশিনও প্রস্তুত আছে। কিন্তু রমজানের কারণে ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে না। রমজানে স্প্রে করলে রোজাদারদের সমস্যা হতে পারে। ওষুধের দুর্গন্ধ অনেকে সহ্য করতে পারেন না। সে জন্য রমজান শেষ হলেই ওষুধ ছিটানো হবে। তখন আর মশার এত ভোগান্তি পোহাতে হবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত