Ajker Patrika

তানোরে মুরগির খামারে মড়ক খামারিরা উদ্বিগ্ন

তানোর প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ৩০
তানোরে মুরগির খামারে মড়ক খামারিরা উদ্বিগ্ন

তানোর উপজেলায় অজ্ঞাত রোগে দেশি জাতের ও পোলট্রি মুরগির খামারে মড়ক দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই কোনো-না কোনো খামার ও বাসাবাড়িতে পালিত দেশি জাতের মুরগি মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এতে খামারি ও গৃহিণীরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, ভাইরাসজনিত কারণে এসব মুরগি মারা যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় নিবন্ধিত পাঁচ-সাতটি লেয়ার মুরগির খামার রয়েছে। ব্রয়লার মুরগির খামার আছে ২২০টির মতো। এর মধ্যে মুন্ডুমালা ও তানোর পৌরসভাসহ সাত ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গত এক মাসে মুরগির খামারে দেখা দিয়েছে অজ্ঞাত রোগ। এতে কয়েকটি পোলট্রি খামারের অধিকাংশ মুরগি মারা গেছে।

মুন্ডুমালা পৌরশহরের পোলট্রি খামারি খালেক আলী বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁর খামারের ৪০ দিন বয়সের দেড় শতাধিক মুরগি অজ্ঞাত রোগে মারা গেছে। এতে তিনি ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দুই দিন ধরে শীত বাড়ায় খামারের মুরগি নিয়ে তিনি চিন্তায় আছেন।

মুরগির মড়ক নিয়ে পাঁচন্দর ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের গৃহিণী খাদিজা বেগম, গোল্লাপাড়া সদরের হলদারপাড়ার আশরাফুল, চাপড়া গ্রামের সাহেদা বিবির সঙ্গে কথা বলেন এই প্রতিবেদক। তাঁরা বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে তাঁদের বাসায় পালিত দেশি জাতের প্রায় ১৭টি মুরগি অজ্ঞাত রোগে মারা গেছে। শুধু তাঁদেরই নয়, বরং বিভিন্ন এলাকার অনেক পরিবারের বহু দেশি জাতের মুরগি মারা যাচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বলেন, ‘মুরগির মড়কের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। শুধু শীতজনিত কারণে মড়ক নয়। এ জন্য কিছু খামারির অসচেতনতাও দায়ী। তবে উপজেলার সব খামারির ডেটাবেইস তৈরি করা হয়েছে। প্রান্তিক পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ অফিসের সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছি। খামারিদের বিভিন্নভাবে পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে।’

এই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরও বলেন, খামারিরা প্রয়োজনে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের মোবাইল ফোনে দিনরাতের যেকোনো সময় যোগাযোগ করে পরামর্শ নিতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত