Ajker Patrika

সময় বাড়িয়েও কাজ ৭৫%

দেবাশীষ দত্ত, কুষ্টিয়া
Thumbnail image

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার লালন বাজার-পান্টি সড়ক। এটি চার ইউনিয়নের লাখো মানুষের যাতায়াতের পথ। প্রায় দেড় বছর আগে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের পান্টি বাজার এলাকায় ডাকুয়া নদীর ওপর শুরু হয় সেতুর নির্মাণকাজ। ভেঙে ফেলা হয় পুরোনো সেতুটি।
নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত এক বছর যে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল, তা-ও শেষ হচ্ছে ৩০ ডিসেম্বর। তবুও সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। এখনো প্রায় ২৫ শতাংশ কাজ বাকি। 

সেতুর কাজে ধীরগতির কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এই পথের যাত্রীদের। নির্মাণাধীন সেতুর পাশে বিকল্প মাটির রাস্তা করা হলেও সরু পথটির পাশে ফেলে রাখা হয়েছে নির্মাণসামগ্রী। এতে যাতায়াতকারীদের ভোগান্তি আরও বেড়েছে। সরু রাস্তাটিতে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। ঘটছে দুর্ঘটনা। 

এলাকাবাসী বলছে, ডাকুয়া নদীর সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী পান্টি বাজার উপজেলার দ্বিতীয় শহর। উপজেলার চাঁদপুর, বাগুলাট, পান্টি ও যদুবয়রা ইউনিয়নের লাখো মানুষ চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে। এ ছাড়া পাশের ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার একাংশ কুষ্টিয়া শহরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে এই সড়ক দিয়ে। 

উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পান্টি বাজার এলাকায় ডাকুয়া নদীর ওপর প্রায় ৮১ মিটার পিএসসি গার্ডার সেতুর অনুমোদন দেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর। যার চুক্তিমূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ৬ কোটি ৭২ লাখ ৬১ হাজার টাকা। কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়ার ত্রিমোহনীর রুমানা-জে-ভি। চুক্তি অনুযায়ী ২০২১ সালের ১৭ আগস্ট কাজ শুরু হয়ে ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর শেষ করার কথা। কিন্তু পুরোনো সেতুটি অপসারণ, নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধিসহ নানান অজুহাতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সময়মতো কাজ শুরু করেনি। 

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, বিকল্প সড়কের দুই পাশে কাঁচামাল ও মাছের দোকান বসিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশেই রাখা রড ও পাথর। 

এ সময় ভ্যানচালক জলিল বিশ্বাস বলেন, ‘একে তো ভাঙা সড়ক। তারপরে আবার দুপাশে দোকানপাট। মিনিটে মিনিটে যানজট সৃষ্টি হয়। এসব সমস্যা দেখার কেউ নেই।’ 

জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ত্রিমোহনীর রুমানা-জে-ভির ব্যবস্থাপক মো. স্বপন আলী বলেন, ‘নানাবিধ কারণে কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছিল। তবে এখন পুরোদমে কাজ চলছে।’ 

উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম বলেন, ‘সেতুটির ৭৫ ভাগ শেষ হয়েছে। দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বারবার চাপ দিচ্ছি। আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত