Ajker Patrika

কম দামে মাছ-মাংস: সুলভের পণ্য সহজে মেলে না

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে সুলভে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম বিক্রির উদ্যোগে আশাবাদী হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। তবে মাসব্যাপী এই কার্যক্রমের শুরু থেকে উঠছে অভিযোগ। পণ্যের ভ্যান দেরিতে যাওয়া, পণ্য কম থাকাসহ নানা অভিযোগ গতকাল বৃহস্পতিবারও পাওয়া গেল।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় রমজানের প্রথম দিন থেকে রাজধানীর ২৫টি স্থানে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্র এবং ৫টি স্থানে স্থায়ী বাজারের মাধ্যমে কম দামে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি করছে। গতকাল দুপুরে নির্ধারিত কয়েকটি এলাকায় গিয়ে এসব পণ্যের ফ্রিজিং ভ্যান দেখা যায়নি। জানা গেল, পণ্য শেষ হয়ে যাওয়ায় ভ্যান চলে গেছে। এতে অপেক্ষা করেও অনেকে ফিরেছেন খালি হাতে।

খিলগাঁও রেলগেটের দক্ষিণ পাশে ভ্রাম্যমাণ ভ্যান থাকার কথা থাকলেও দেখা যায়নি। গত তিন দিনে এখানে কোনো ফ্রিজিং ভ্যান আসেনি বলে জানালেন সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের এক কর্মকর্তা। একই কথা জানালেন শাহজাহানপুরের বাসিন্দা আবদুস সাত্তার রতন। তিনি রেলগেট মাছ বাজারের পাশেই ছিলেন। বললেন, ন্যায্যমূল্যে মাছ-মাংস বিক্রি হলে তো এলাকার মানুষ ভিড় করত। এমন কিছু তো চোখে পড়েনি।

মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরের পাশেও গত তিন দিন ভ্যান দেখা যায়নি। স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার অভিযোগ, সেখানে নির্দিষ্ট সময়ে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও ভ্যানের দেখা পাননি।

অন্যান্য জায়গায় ভ্যান গেলেও নির্দিষ্ট সময়ে যায়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। আবার দেরিতে গেলেও পণ্য শেষ হয়ে গেছে দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে। সাড়ে ১১টার দিকে সেগুনবাগিচা বাজারসংলগ্ন মাছের ভ্যানের সামনে গিয়ে দেখা যায়, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই কেজি মাছ কিনতে পারবেন বলে জানানো হলেও এক ব্যক্তির কাছে তিনটি দেড় কেজি ওজনের রুই মাছ বিক্রি করা হলো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ক্রেতা বলেন, ‘শেষের দিকে; তাই আমাকে তিনটা দিয়েছে।’ এর ১০ মিনিট পর এক নারী এসে রুই মাছ চাইলে বিক্রেতারা মাছ নেই বলে জানান।

মৎস্য অধিদপ্তরের উপপ্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মামুন অর রশিদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ জনের কাছে মাছ বিক্রি করা হচ্ছে। ১২টার মধ্যে মাছ শেষ হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ৩০০ কেজি মাছ আনা হয়।

শিল্পকলা একাডেমি এলাকায় মাংসের ভ্যানের কাছে সাড়ে ১২টার দিকে গিয়ে জানা যায়, মাংস শেষ। ভ্যানে ডিম ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল মতিন বলেন, সেগুনবাগিচায় মাছের ভ্যানের লোকেরা এখানে মাংস বিক্রির কথা জানান। কিন্তু এসে দেখেন শেষ। পণ্যের পরিমাণ আরও বাড়ানো উচিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত