রহমান মৃধা
একাত্তর সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছিল—এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। আমরা স্বাধীন হয়েছি এবং মুক্তি পেয়েছি পাকিস্তান থেকে। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জন করতে পারিনি আজও। যার ফলে আমেরিকা, চীন, ভারত এবং রাশিয়া এখনো বলছে আমাদের কী করতে হবে এবং কী করতে হবে না।
এ পর্যন্ত দেশের কোনো সরকার ৫২ বছরে দেশের জনগণের কাছে জবাবদিহি করেনি। তবে তারা সেটা করে চলছে ‘ওপর’তলার দেশগুলোর কাছে। এ বিষয়ে কারও কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়। তাই বুঝতেও অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে কারা আসলে সত্যিকারের জনগণ। তাহলে আমরা কারা? আমরা দেশের মেহনতি মানুষ, কাজের লোক।
প্রতিটি নাগরিককে সম্মান করা রাজনীতিবিদদের নৈতিক দায়িত্ব। কারণ তাঁদের ক্ষমতার উৎস জনগণ। যেহেতু নতুন ‘ভোট চুরি’ সংস্কৃতির কারণে জনগণের ভোট ছাড়াও ক্ষমতায় থাকা যায়, সেহেতু জনগণের কাছে কারও জবাবদিহি নেই।
প্রকৃতপক্ষে ক্ষমতাবান মানুষের কাজ ক্ষমতাহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। রাজনীতিবিদেরা ক্ষমতাবান হয়েই যদি ক্ষমতাহীনদের শাস্তি দিতে শুরু করেন, তাহলে সেটা তো নীতি-আদর্শের পরিপন্থী। তাই শাস্তি নয়, দরকার ভালোবাসার। কিন্তু সেই সংস্কৃতি কি সমাজে আছে এখন?
আমি ক্রিকেট নিয়ে একটু রিফ্লেক্ট করি। বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাওয়া কিন্তু ছোট কথা নয়। দলে কে কীভাবে নির্বাচিত হলেন, সেটার পেছনেও রাজনীতি? আমি ফেসবুকে নানা জনের নানা মতামত দেখছি। এ সময় সবার উচিত দলের প্রশংসা করা, দলকে সাহস জোগানো। অথচ চলছে তুমুল নিন্দা। এটা কি কোনো কথা হলো? এ কী অসুস্থতা! এ কোন প্রজন্মকে দেখছি আমরা? কোন চিন্তা নিয়ে তারা বড় হচ্ছে? মনে এত হিংসার চাষ করে তারা নিজেদের জীবনেই-বা কী অর্জন করবে! বাংলাদেশ ক্রিকেট—এটা কি কোনো একজনের দল, নাকি আমাদের দেশের দল? যাঁরা খেলায় অংশগ্রহণ করছেন, তাঁরা সবাই আমাদের দেশের প্রতিনিধি। আমাদের বিশ্বকাপ স্বপ্নের ধারক তাঁরা। বিশ্বকাপে দলের পাশে থাকা আর তাঁদের বিশ্বাস জোগানো এখন সবচেয়ে জরুরি। কিন্তু হচ্ছে কি তেমন কিছু?
প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ না করলে যেমন মুখে দুর্গন্ধ তৈরি হয়, ঠিক প্রতিদিন মানসিক অসুস্থতার ঝড় মন থেকে দূর করতে না পারলে মন দুর্নীতিগ্রস্ত, মনুষ্যত্বহীন দানবে পরিণত হয়। আর এ ধরনের মনমানসিকতার মানুষ নামের দানবেরা ভালো-মন্দের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। ভারসাম্যহীন মানুষের কাছ থেকে আমরা কী আশা করতে পারি ভেবেছেন কি? বিষয়টি আরও একটু পরিষ্কার করি। যেমন শুধু প্রতিশোধ নেওয়ার মনমানসিকতা একটি সাজানো-গোছানো সংসার, এমনকি একটি রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দিতে পারে। আর সহনশীল মানসিকতা একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত রাষ্ট্রকেও নতুন করে গড়তে পারে।
নির্বাচন ক্রিকেটে হোক কিংবা রাজনীতিতে, সহনশীল মানসিকতার মানুষই সবখানে দরকার; নির্বাচকদেরও, নির্বাচিতদেরও। আমরা এবার এমন একটি গণ-অভ্যুত্থান দেখতে চাই, যেখানে আমরা সব কাজের লোক এক হয়ে বহির্বিশ্বকে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারি। আমরা ১৮ কোটি কাজের লোক এবার জনগণ হতে চাই। আমরা নিজেদের ভোট নিজেরা দিতে চাই নিজেদের মনোনীত প্রার্থীকে, যিনি বা
যাঁরা জনগণের প্রতিনিধি হয়ে জাতীয় সংসদে বসবেন; যাঁরা বেগমপাড়া, আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়া বা অস্ট্রেলিয়া না গড়ে, নিজ দেশ গড়ার কাজে সময় ব্যয় করবেন।
রহমান মৃধা, সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন
একাত্তর সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছিল—এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। আমরা স্বাধীন হয়েছি এবং মুক্তি পেয়েছি পাকিস্তান থেকে। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জন করতে পারিনি আজও। যার ফলে আমেরিকা, চীন, ভারত এবং রাশিয়া এখনো বলছে আমাদের কী করতে হবে এবং কী করতে হবে না।
এ পর্যন্ত দেশের কোনো সরকার ৫২ বছরে দেশের জনগণের কাছে জবাবদিহি করেনি। তবে তারা সেটা করে চলছে ‘ওপর’তলার দেশগুলোর কাছে। এ বিষয়ে কারও কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়। তাই বুঝতেও অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে কারা আসলে সত্যিকারের জনগণ। তাহলে আমরা কারা? আমরা দেশের মেহনতি মানুষ, কাজের লোক।
প্রতিটি নাগরিককে সম্মান করা রাজনীতিবিদদের নৈতিক দায়িত্ব। কারণ তাঁদের ক্ষমতার উৎস জনগণ। যেহেতু নতুন ‘ভোট চুরি’ সংস্কৃতির কারণে জনগণের ভোট ছাড়াও ক্ষমতায় থাকা যায়, সেহেতু জনগণের কাছে কারও জবাবদিহি নেই।
প্রকৃতপক্ষে ক্ষমতাবান মানুষের কাজ ক্ষমতাহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। রাজনীতিবিদেরা ক্ষমতাবান হয়েই যদি ক্ষমতাহীনদের শাস্তি দিতে শুরু করেন, তাহলে সেটা তো নীতি-আদর্শের পরিপন্থী। তাই শাস্তি নয়, দরকার ভালোবাসার। কিন্তু সেই সংস্কৃতি কি সমাজে আছে এখন?
আমি ক্রিকেট নিয়ে একটু রিফ্লেক্ট করি। বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাওয়া কিন্তু ছোট কথা নয়। দলে কে কীভাবে নির্বাচিত হলেন, সেটার পেছনেও রাজনীতি? আমি ফেসবুকে নানা জনের নানা মতামত দেখছি। এ সময় সবার উচিত দলের প্রশংসা করা, দলকে সাহস জোগানো। অথচ চলছে তুমুল নিন্দা। এটা কি কোনো কথা হলো? এ কী অসুস্থতা! এ কোন প্রজন্মকে দেখছি আমরা? কোন চিন্তা নিয়ে তারা বড় হচ্ছে? মনে এত হিংসার চাষ করে তারা নিজেদের জীবনেই-বা কী অর্জন করবে! বাংলাদেশ ক্রিকেট—এটা কি কোনো একজনের দল, নাকি আমাদের দেশের দল? যাঁরা খেলায় অংশগ্রহণ করছেন, তাঁরা সবাই আমাদের দেশের প্রতিনিধি। আমাদের বিশ্বকাপ স্বপ্নের ধারক তাঁরা। বিশ্বকাপে দলের পাশে থাকা আর তাঁদের বিশ্বাস জোগানো এখন সবচেয়ে জরুরি। কিন্তু হচ্ছে কি তেমন কিছু?
প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ না করলে যেমন মুখে দুর্গন্ধ তৈরি হয়, ঠিক প্রতিদিন মানসিক অসুস্থতার ঝড় মন থেকে দূর করতে না পারলে মন দুর্নীতিগ্রস্ত, মনুষ্যত্বহীন দানবে পরিণত হয়। আর এ ধরনের মনমানসিকতার মানুষ নামের দানবেরা ভালো-মন্দের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। ভারসাম্যহীন মানুষের কাছ থেকে আমরা কী আশা করতে পারি ভেবেছেন কি? বিষয়টি আরও একটু পরিষ্কার করি। যেমন শুধু প্রতিশোধ নেওয়ার মনমানসিকতা একটি সাজানো-গোছানো সংসার, এমনকি একটি রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দিতে পারে। আর সহনশীল মানসিকতা একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত রাষ্ট্রকেও নতুন করে গড়তে পারে।
নির্বাচন ক্রিকেটে হোক কিংবা রাজনীতিতে, সহনশীল মানসিকতার মানুষই সবখানে দরকার; নির্বাচকদেরও, নির্বাচিতদেরও। আমরা এবার এমন একটি গণ-অভ্যুত্থান দেখতে চাই, যেখানে আমরা সব কাজের লোক এক হয়ে বহির্বিশ্বকে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারি। আমরা ১৮ কোটি কাজের লোক এবার জনগণ হতে চাই। আমরা নিজেদের ভোট নিজেরা দিতে চাই নিজেদের মনোনীত প্রার্থীকে, যিনি বা
যাঁরা জনগণের প্রতিনিধি হয়ে জাতীয় সংসদে বসবেন; যাঁরা বেগমপাড়া, আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়া বা অস্ট্রেলিয়া না গড়ে, নিজ দেশ গড়ার কাজে সময় ব্যয় করবেন।
রহমান মৃধা, সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪