পরশুরাম (ফেনী) প্রতিনিধি
দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে ফেনীর পরশুরাম উপজেলার বাউরখুমা আশ্রয়ণের ৬০টি ঘর। বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়াই অনেকেই বরাদ্দ পাওয়া ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। বাকি যে পরিবারগুলো এখানে বসবাস করছে, তারাও অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছে।
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ২০০০ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের মন্ত্রী এস কে ছাদেক বাউরখুমা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলি নির্মাণ করে দিয়েছিলেন। ওই বছরেও দুই কক্ষের ১০টি ঘর ৬০টি ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে দলিলসহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে ওই ঘরগুলো মেরামতের আর কোনো উদ্যোগ নেয়নি কেউ।
গতকাল বৃহস্পতিবার আশ্রয়ণে গিয়ে দেখা যায়, চারদিকে ভাঙাচোরা টিন, কোথাও কোথাও পলিথিন দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। চালের টিনগুলোতে জং ধরে বড় বড় ছিদ্র সৃষ্টি হয়েছে। পলিথিন টানিয়ে কোনো রকমে বৃষ্টির পানি পড়া বন্ধ করতে চাইলেও তা সম্ভব হচ্ছে না। বাতাসে যাতে উড়ে না যায় সে জন্য পলিথিনের ওপর কিছু ইট চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে।
তৈয়বের নেছা স্বামী আবুল কাশেম, এক ছেলে আর চার মেয়েকে নিয়ে বিশ বছর ধরে এই আশ্রয়ণের দুটি কক্ষে বসবাস করছেন। তিনি বলেন, ‘তুফান আসলে ভয় লাগে। মনে হয় সব উড়িয়ে নিয়ে যাবে। ঘরের মধ্যে সব জায়গা দিয়ে পানি পড়ে। ছেলে–মেয়ে নিয়ে কোথায় যাব, কী করব কোনো কুল কিনারা পাই না। দুশ্চিন্তায় রাতে ঘুম হয় না। ঘরগুলো এতটাই জরাজীর্ণ হয়ে গেছে যে এতে বসবাস করার কোনো উপায় নেই।’
বাউরখুমা আশ্রয়ণে বরাদ্দ পাওয়া আবুল কালাম পেশায় একজন রিকশাচালক। তিনি জানান, উদ্বোধনের পর থেকে ওই ঘর মেরামতের জন্য কেউ কোনো উদ্যোগ নেননি। বর্তমানে ওই ঘর বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে, তাই তিনি অন্যত্র বসবাস শুরু করেছেন।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের আরেক বাসিন্দা আবুল কাশেম জানান, বর্তমানে আশ্রয়ণের ঘরগুলো অরক্ষিত। অনেকে বসবাস করতে না পেরে চলে গেছে। উদ্বোধনের সময় পুকুর, নলকূপ গণশৌচাগার, মসজিদ, মক্তব, গণপাঠাগার করে দেওয়া হলেও নলকূপ, গণশৌচাগারটি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এগুলো কেউ মেরামত করে দেয় না।
আলমগীর হোসেনের স্ত্রী তসলিমা আক্তার জানান, বৃষ্টি হলেই তাঁদের ঘরে পানি পড়ে। তা ছাড়া চালের এবং পাশের টিনগুলো সব নষ্ট হয়ে গেছে। কয়েক দিন পর পর প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসে দেখে যান, কিন্তু পরে আর কিছুই হয় না। বিশ বছরেও কেউ মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি। কারও কোনো সহযোগিতাও পাওয়া যায় না।
পরশুরাম পৌর সভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল মান্নান লিটন জানান, পৌরসভা থেকে বিভিন্ন সময়ে সরকারি ভিজিএফ, ভিজিডি কার্ডসহ বিভিন্নভাবে আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের সহযোগিতা দেওয়া হয়। আশ্রয়ণের ঘরগুলো বর্তমানে খুবই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। সেগুলোতে বসবাসের কোনো উপায় নেই, শিগগিরই মেরামত করা প্রয়োজন।
পরশুরাম পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল জানান, তিনি চালসহ বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী দিয়ে আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের সহযোগিতা করে আসছেন। আশ্রয়ণের ঘরগুলো যেহেতু উপজেলা প্রশাসনের, তাই সংস্কারের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।’
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রিয়াঙ্কা দত্ত জানান, বাউরখুমা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর মেরামত করার আবেদন নিয়ে কেউ এখন পর্যন্ত আসেননি, তবে ঘরগুলো জরাজীর্ণ হয়ে বসবাস অনুপযোগী হয়ে পড়ার হওয়ার বিষয়টি সঠিক। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে ফেনীর পরশুরাম উপজেলার বাউরখুমা আশ্রয়ণের ৬০টি ঘর। বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়াই অনেকেই বরাদ্দ পাওয়া ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। বাকি যে পরিবারগুলো এখানে বসবাস করছে, তারাও অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছে।
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ২০০০ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের মন্ত্রী এস কে ছাদেক বাউরখুমা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলি নির্মাণ করে দিয়েছিলেন। ওই বছরেও দুই কক্ষের ১০টি ঘর ৬০টি ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে দলিলসহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে ওই ঘরগুলো মেরামতের আর কোনো উদ্যোগ নেয়নি কেউ।
গতকাল বৃহস্পতিবার আশ্রয়ণে গিয়ে দেখা যায়, চারদিকে ভাঙাচোরা টিন, কোথাও কোথাও পলিথিন দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। চালের টিনগুলোতে জং ধরে বড় বড় ছিদ্র সৃষ্টি হয়েছে। পলিথিন টানিয়ে কোনো রকমে বৃষ্টির পানি পড়া বন্ধ করতে চাইলেও তা সম্ভব হচ্ছে না। বাতাসে যাতে উড়ে না যায় সে জন্য পলিথিনের ওপর কিছু ইট চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে।
তৈয়বের নেছা স্বামী আবুল কাশেম, এক ছেলে আর চার মেয়েকে নিয়ে বিশ বছর ধরে এই আশ্রয়ণের দুটি কক্ষে বসবাস করছেন। তিনি বলেন, ‘তুফান আসলে ভয় লাগে। মনে হয় সব উড়িয়ে নিয়ে যাবে। ঘরের মধ্যে সব জায়গা দিয়ে পানি পড়ে। ছেলে–মেয়ে নিয়ে কোথায় যাব, কী করব কোনো কুল কিনারা পাই না। দুশ্চিন্তায় রাতে ঘুম হয় না। ঘরগুলো এতটাই জরাজীর্ণ হয়ে গেছে যে এতে বসবাস করার কোনো উপায় নেই।’
বাউরখুমা আশ্রয়ণে বরাদ্দ পাওয়া আবুল কালাম পেশায় একজন রিকশাচালক। তিনি জানান, উদ্বোধনের পর থেকে ওই ঘর মেরামতের জন্য কেউ কোনো উদ্যোগ নেননি। বর্তমানে ওই ঘর বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে, তাই তিনি অন্যত্র বসবাস শুরু করেছেন।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের আরেক বাসিন্দা আবুল কাশেম জানান, বর্তমানে আশ্রয়ণের ঘরগুলো অরক্ষিত। অনেকে বসবাস করতে না পেরে চলে গেছে। উদ্বোধনের সময় পুকুর, নলকূপ গণশৌচাগার, মসজিদ, মক্তব, গণপাঠাগার করে দেওয়া হলেও নলকূপ, গণশৌচাগারটি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এগুলো কেউ মেরামত করে দেয় না।
আলমগীর হোসেনের স্ত্রী তসলিমা আক্তার জানান, বৃষ্টি হলেই তাঁদের ঘরে পানি পড়ে। তা ছাড়া চালের এবং পাশের টিনগুলো সব নষ্ট হয়ে গেছে। কয়েক দিন পর পর প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসে দেখে যান, কিন্তু পরে আর কিছুই হয় না। বিশ বছরেও কেউ মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি। কারও কোনো সহযোগিতাও পাওয়া যায় না।
পরশুরাম পৌর সভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল মান্নান লিটন জানান, পৌরসভা থেকে বিভিন্ন সময়ে সরকারি ভিজিএফ, ভিজিডি কার্ডসহ বিভিন্নভাবে আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের সহযোগিতা দেওয়া হয়। আশ্রয়ণের ঘরগুলো বর্তমানে খুবই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। সেগুলোতে বসবাসের কোনো উপায় নেই, শিগগিরই মেরামত করা প্রয়োজন।
পরশুরাম পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল জানান, তিনি চালসহ বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী দিয়ে আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের সহযোগিতা করে আসছেন। আশ্রয়ণের ঘরগুলো যেহেতু উপজেলা প্রশাসনের, তাই সংস্কারের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।’
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রিয়াঙ্কা দত্ত জানান, বাউরখুমা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর মেরামত করার আবেদন নিয়ে কেউ এখন পর্যন্ত আসেননি, তবে ঘরগুলো জরাজীর্ণ হয়ে বসবাস অনুপযোগী হয়ে পড়ার হওয়ার বিষয়টি সঠিক। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪