মো. তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ও শাজাহানপুর এলাকা রক্ষায় ২০২০ সালে মেগা প্রকল্প হাতে নেয় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। পদ্মার তীর সংরক্ষণের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের জানুয়ারিতে। দরপত্র অনুযায়ী নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের জুনে। কিন্তু গত চার বছরের বেশি সময়ে কাজ হয়েছে মাত্র ৬০ শতাংশ।
নির্ধারিত সময়ে কাজে তেমন অগ্রগতি না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত করা হয়। বাড়তি সময়ের বাকি আছে মাত্র তিন মাস। কিন্তু প্রকল্পের কাজ এখনো বাকি ৪০ শতাংশ। এখন আরেক দফায় প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা বাড়ানোর তোড়জোড় চলছে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী বলছেন, কয়েক বছর ধরে তীর সংরক্ষণের কাজ চলছে, কিন্তু শেষ হচ্ছে না। কাজ শেষ না হওয়ায় প্রতি বর্ষা মৌসুমেই আতঙ্কে দিন কাটে তীরের বাসিন্দাদের।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দাবি, এসব প্রকল্পের নির্মাণকাজ বাস্তবায়নে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়। বর্ষা মৌসুমে দুই কূল উপচে পড়ে পানিতে; এ জন্য বছরের ৩ থেকে ৪ মাস কাজ বন্ধ থাকে। এ ছাড়া প্রকল্পের অর্থ ছাড়েও প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি আর সময়মতো অর্থ ছাড় না পাওয়ায় ঠিকাদারদের সদিচ্ছা সত্ত্বেও কাজ করা যাচ্ছে না। তারপরও দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার চেষ্টা রয়েছে। পদ্মার তীর সংরক্ষণে চলমান প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হতে আরও এক বছর লাগতে পারে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫৬৬ কোটি টাকা। সংশোধনের পর প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৩৭ কোটি বেড়ে দাঁড়ায় ৬০৩ কোটি টাকায়। প্রকল্পটি আবার সংশোধন হলে নির্মাণকাজের সময়ও বাড়বে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে পাউবো।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় ৬ দশমিক ১০ কিলোমিটার নতুন নদীতীর সংরক্ষণ কাজ ২৯টি প্যাকেজে, চার কিলোমিটার তীরের পুনর্বাসনের কাজ চারটি প্যাকেজে এবং ৮ কিলোমিটার আগের বাঁধের পুনরাকৃতি করার একটি প্যাকেজে বাস্তবায়নের কাজ চলছে। প্রকল্পটি প্রথমবার সংশোধন করা হয় ২০২৩ সালের মে মাসে। সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবটির (আরডিপিপি) অনুমোদন দেয় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু এখন পর্যন্ত ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ভাঙনকবলিত চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন এলাকায় ১৭টি প্যাকেজ এবং শাজাহানপুর ইউনিয়নে ১২টি প্যাকেজের আওতায় ৬ দশমিক ১০ কিলোমিটার নদীতীর সংরক্ষণের কাজ চলছে। এর মধ্যে চরবাগডাঙ্গা এলাকার ১৭ প্যাকেজের মধ্যে সাতটি এবং শাজাহানপুর এলাকার ১২ প্যাকেজের মধ্যে তিনটি শেষ হয়েছে। অন্য প্যাকেজগুলোর কাজের অগ্রগতি প্রায় ৫০ ভাগ।
পাউবো চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পদ্মার ভাঙন থেকে চরবাগডাঙ্গা ও শাজাহানপুর এলাকা রক্ষা প্রকল্পের এখন পর্যন্ত কাজ হয়েছে ৬০ শতাংশ। বর্ধিত মেয়াদের সময় শেষ হবে চলতি বছরের জুনে। এর মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হবে। আগামী বছরের জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় দফা সময় বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যায়।’
নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর দাবি করেন, কাজে যেন কোনো ফাঁকিবাজি না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য প্রকৌশলীরা নিয়মিত তদারক করছেন। সঠিক মানে কাজ বুঝে নেবে পাউবো।
পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ও শাজাহানপুর এলাকা রক্ষায় ২০২০ সালে মেগা প্রকল্প হাতে নেয় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। পদ্মার তীর সংরক্ষণের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের জানুয়ারিতে। দরপত্র অনুযায়ী নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের জুনে। কিন্তু গত চার বছরের বেশি সময়ে কাজ হয়েছে মাত্র ৬০ শতাংশ।
নির্ধারিত সময়ে কাজে তেমন অগ্রগতি না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত করা হয়। বাড়তি সময়ের বাকি আছে মাত্র তিন মাস। কিন্তু প্রকল্পের কাজ এখনো বাকি ৪০ শতাংশ। এখন আরেক দফায় প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা বাড়ানোর তোড়জোড় চলছে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী বলছেন, কয়েক বছর ধরে তীর সংরক্ষণের কাজ চলছে, কিন্তু শেষ হচ্ছে না। কাজ শেষ না হওয়ায় প্রতি বর্ষা মৌসুমেই আতঙ্কে দিন কাটে তীরের বাসিন্দাদের।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দাবি, এসব প্রকল্পের নির্মাণকাজ বাস্তবায়নে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়। বর্ষা মৌসুমে দুই কূল উপচে পড়ে পানিতে; এ জন্য বছরের ৩ থেকে ৪ মাস কাজ বন্ধ থাকে। এ ছাড়া প্রকল্পের অর্থ ছাড়েও প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি আর সময়মতো অর্থ ছাড় না পাওয়ায় ঠিকাদারদের সদিচ্ছা সত্ত্বেও কাজ করা যাচ্ছে না। তারপরও দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার চেষ্টা রয়েছে। পদ্মার তীর সংরক্ষণে চলমান প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হতে আরও এক বছর লাগতে পারে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫৬৬ কোটি টাকা। সংশোধনের পর প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৩৭ কোটি বেড়ে দাঁড়ায় ৬০৩ কোটি টাকায়। প্রকল্পটি আবার সংশোধন হলে নির্মাণকাজের সময়ও বাড়বে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে পাউবো।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় ৬ দশমিক ১০ কিলোমিটার নতুন নদীতীর সংরক্ষণ কাজ ২৯টি প্যাকেজে, চার কিলোমিটার তীরের পুনর্বাসনের কাজ চারটি প্যাকেজে এবং ৮ কিলোমিটার আগের বাঁধের পুনরাকৃতি করার একটি প্যাকেজে বাস্তবায়নের কাজ চলছে। প্রকল্পটি প্রথমবার সংশোধন করা হয় ২০২৩ সালের মে মাসে। সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবটির (আরডিপিপি) অনুমোদন দেয় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু এখন পর্যন্ত ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ভাঙনকবলিত চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন এলাকায় ১৭টি প্যাকেজ এবং শাজাহানপুর ইউনিয়নে ১২টি প্যাকেজের আওতায় ৬ দশমিক ১০ কিলোমিটার নদীতীর সংরক্ষণের কাজ চলছে। এর মধ্যে চরবাগডাঙ্গা এলাকার ১৭ প্যাকেজের মধ্যে সাতটি এবং শাজাহানপুর এলাকার ১২ প্যাকেজের মধ্যে তিনটি শেষ হয়েছে। অন্য প্যাকেজগুলোর কাজের অগ্রগতি প্রায় ৫০ ভাগ।
পাউবো চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পদ্মার ভাঙন থেকে চরবাগডাঙ্গা ও শাজাহানপুর এলাকা রক্ষা প্রকল্পের এখন পর্যন্ত কাজ হয়েছে ৬০ শতাংশ। বর্ধিত মেয়াদের সময় শেষ হবে চলতি বছরের জুনে। এর মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হবে। আগামী বছরের জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় দফা সময় বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যায়।’
নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর দাবি করেন, কাজে যেন কোনো ফাঁকিবাজি না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য প্রকৌশলীরা নিয়মিত তদারক করছেন। সঠিক মানে কাজ বুঝে নেবে পাউবো।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪