সম্পাদকীয়
গতকালের আজকের পত্রিকা হাতে নিয়ে শেষ পাতা যাঁরা পড়েছেন তাঁরা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, একদম ওপরে বাঁ দিকে কোনায় ছোট্ট একটা খবর—বিয়ে না করেই বিয়ের জাঁকজমক অনুষ্ঠান করেছেন যুক্তরাজ্যের নারী সারা উইলকিনসন। জীবনের ৪২ বছরেও তিনি একজন উপযুক্ত পাত্রের সন্ধান পাননি। আর কতই-বা অপেক্ষা করবেন! সারা অবশেষে বর ছাড়াই সেরে ফেলেছেন বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা।
অথচ একটু বুদ্ধি খাটালেই সারা যে কাউকে বিয়ের পিঁড়িতে টেনে বসাতে পারতেন। তিনি হয়তো জানেন না, বাংলাদেশে কেউ কেউ বিয়ের টোপ ফেলে তাঁরই দেশে পারি দেয়। অবশ্য সারা উপযুক্ত কাউকে যেহেতু খুঁজছিলেন, সেহেতু এই যুক্তিটা রসিকতা ছাড়া আর কিছু নয়।
সারার খবরটা থেকে চোখ নামিয়ে একটু নিচে গেলেই দেখা যাবে বিয়ের আরেকটি সংবাদ—আইইএলটিএস করা বর-কনে ‘বিক্রি’। আমাদের দেশে মেধাবী, সুদর্শন, স্মার্ট এমনকি ধনী তরুণ-তরুণীদের বিয়ের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করা হয়। এই তালিকায় বিসিএস ক্যাডার বা সরকারি চাকরিজীবীরা এগিয়ে থাকেন। কিন্তু আইইএলটিএস করা বর-কনে ‘বিক্রি’ হওয়ার ব্যাপারটা আশ্চর্যই বটে। উন্নত জীবনযাপন এবং উচ্চশিক্ষার জন্য অনেকেই বিদেশে পাড়ি জমাতে চান। কিন্তু সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার তরুণ-তরুণীদের মধ্যে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার এই হিড়িকটা একটু বেশিই।
বিদেশে জীবনযাপন এবং উচ্চশিক্ষায় আবেদনের জন্য দিতে হয় ইংরেজি ভাষার পরীক্ষা। পরীক্ষাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো আইইএলটিএস (ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম)। এই পরীক্ষায় সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন করে অনেক বাংলাদেশি প্রতিবছর যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান।
শুধু তো ভাষার পরীক্ষা দিলেই হয় না। লাগে প্রচুর অর্থও। সেই অর্থের জোগান দিতে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের তরুণ-তরুণীরা করছেন চুক্তিভিত্তিক বিয়ে। তাঁরা সবাই যেতে চান যুক্তরাজ্যে। কারও মেধা আছে কিন্তু অর্থ নেই। আবার কারও অর্থ আছে, মেধা নেই। যেহেতু মেধাবী কেউ যুক্তরাজ্যে পড়তে বা কাজ করতে গেলে স্বামী বা স্ত্রীকে সঙ্গে নিতে পারবেন, তাই জগন্নাথপুরের ধনবান আর মেধাবী ব্যক্তিরা চুক্তিতে বিয়ে করছেন।
বর বা কনেপক্ষকে চুক্তি অনুযায়ী দিতে হয় বিদেশের খরচ। বিয়ের আগে চলে দর-কষাকষি। যে পক্ষ বেশি খরচ বহন করতে পারবে, সে পক্ষের সঙ্গেই হবে আত্মীয়তা। ভিসার আবেদনের আগে বিয়েটা সেরে ফেলতে হয়। এ যেন হাটে বর-কনে বেচাকেনা! আবার লেনদেন নিয়ে ঝামেলা হলে মামলা-মোকদ্দমা হচ্ছে।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বাংলাদেশে হলেও বিদেশে গিয়ে অনেক বিয়েই ভেঙে যাচ্ছে। আমরা জানি না দেশের আর কোথাও প্রচলিত রীতির বাইরে এভাবে বিয়ে হচ্ছে কি না। ব্যাপারটা আদম ব্যবসার মতোই—অর্থের বিনিময়ে বিদেশে নিয়ে যাওয়া। আবার যাঁদের বিয়ে টিকে যাচ্ছে তাঁরা তো পণপ্রথাকেই সমর্থন করছে। তার মানে, লোভ তাদের মস্তিষ্ককে গ্রাস করে রেখেছে।
এ কারণে তারা বিয়েটাকে পরিণত করেছে জুয়া খেলায়। সততা আর নিজের চেষ্টায় লক্ষ্য অর্জন করলে স্বদেশেও উন্নত মানের জীবনযাপন করা যায়। এ কথা কি লোভীরা বুঝবে?
গতকালের আজকের পত্রিকা হাতে নিয়ে শেষ পাতা যাঁরা পড়েছেন তাঁরা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, একদম ওপরে বাঁ দিকে কোনায় ছোট্ট একটা খবর—বিয়ে না করেই বিয়ের জাঁকজমক অনুষ্ঠান করেছেন যুক্তরাজ্যের নারী সারা উইলকিনসন। জীবনের ৪২ বছরেও তিনি একজন উপযুক্ত পাত্রের সন্ধান পাননি। আর কতই-বা অপেক্ষা করবেন! সারা অবশেষে বর ছাড়াই সেরে ফেলেছেন বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা।
অথচ একটু বুদ্ধি খাটালেই সারা যে কাউকে বিয়ের পিঁড়িতে টেনে বসাতে পারতেন। তিনি হয়তো জানেন না, বাংলাদেশে কেউ কেউ বিয়ের টোপ ফেলে তাঁরই দেশে পারি দেয়। অবশ্য সারা উপযুক্ত কাউকে যেহেতু খুঁজছিলেন, সেহেতু এই যুক্তিটা রসিকতা ছাড়া আর কিছু নয়।
সারার খবরটা থেকে চোখ নামিয়ে একটু নিচে গেলেই দেখা যাবে বিয়ের আরেকটি সংবাদ—আইইএলটিএস করা বর-কনে ‘বিক্রি’। আমাদের দেশে মেধাবী, সুদর্শন, স্মার্ট এমনকি ধনী তরুণ-তরুণীদের বিয়ের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করা হয়। এই তালিকায় বিসিএস ক্যাডার বা সরকারি চাকরিজীবীরা এগিয়ে থাকেন। কিন্তু আইইএলটিএস করা বর-কনে ‘বিক্রি’ হওয়ার ব্যাপারটা আশ্চর্যই বটে। উন্নত জীবনযাপন এবং উচ্চশিক্ষার জন্য অনেকেই বিদেশে পাড়ি জমাতে চান। কিন্তু সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার তরুণ-তরুণীদের মধ্যে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার এই হিড়িকটা একটু বেশিই।
বিদেশে জীবনযাপন এবং উচ্চশিক্ষায় আবেদনের জন্য দিতে হয় ইংরেজি ভাষার পরীক্ষা। পরীক্ষাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো আইইএলটিএস (ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম)। এই পরীক্ষায় সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন করে অনেক বাংলাদেশি প্রতিবছর যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান।
শুধু তো ভাষার পরীক্ষা দিলেই হয় না। লাগে প্রচুর অর্থও। সেই অর্থের জোগান দিতে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের তরুণ-তরুণীরা করছেন চুক্তিভিত্তিক বিয়ে। তাঁরা সবাই যেতে চান যুক্তরাজ্যে। কারও মেধা আছে কিন্তু অর্থ নেই। আবার কারও অর্থ আছে, মেধা নেই। যেহেতু মেধাবী কেউ যুক্তরাজ্যে পড়তে বা কাজ করতে গেলে স্বামী বা স্ত্রীকে সঙ্গে নিতে পারবেন, তাই জগন্নাথপুরের ধনবান আর মেধাবী ব্যক্তিরা চুক্তিতে বিয়ে করছেন।
বর বা কনেপক্ষকে চুক্তি অনুযায়ী দিতে হয় বিদেশের খরচ। বিয়ের আগে চলে দর-কষাকষি। যে পক্ষ বেশি খরচ বহন করতে পারবে, সে পক্ষের সঙ্গেই হবে আত্মীয়তা। ভিসার আবেদনের আগে বিয়েটা সেরে ফেলতে হয়। এ যেন হাটে বর-কনে বেচাকেনা! আবার লেনদেন নিয়ে ঝামেলা হলে মামলা-মোকদ্দমা হচ্ছে।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বাংলাদেশে হলেও বিদেশে গিয়ে অনেক বিয়েই ভেঙে যাচ্ছে। আমরা জানি না দেশের আর কোথাও প্রচলিত রীতির বাইরে এভাবে বিয়ে হচ্ছে কি না। ব্যাপারটা আদম ব্যবসার মতোই—অর্থের বিনিময়ে বিদেশে নিয়ে যাওয়া। আবার যাঁদের বিয়ে টিকে যাচ্ছে তাঁরা তো পণপ্রথাকেই সমর্থন করছে। তার মানে, লোভ তাদের মস্তিষ্ককে গ্রাস করে রেখেছে।
এ কারণে তারা বিয়েটাকে পরিণত করেছে জুয়া খেলায়। সততা আর নিজের চেষ্টায় লক্ষ্য অর্জন করলে স্বদেশেও উন্নত মানের জীবনযাপন করা যায়। এ কথা কি লোভীরা বুঝবে?
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৭ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৭ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৭ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫