Ajker Patrika

পর্যটনের সম্ভাবনা গুলিয়াখালী

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২১, ১৯: ২৬
পর্যটনের সম্ভাবনা গুলিয়াখালী

গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত। এটি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড বাজার থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কক্সবাজার, কুয়াকাটা ও পতেঙ্গার মতো এটি পরিচিত না। তবে দিন দিন গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকতে আনাগোনা বাড়ছে পর্যটকদের।

প্রকৃতি ও গঠনগত দিক থেকে গুলিয়াখালী অন্য সমুদ্রসৈকত থেকে আলাদা। এর একদিকে দিগন্ত জোড়া জলরাশি, অন্যদিকে কেওড়া বন দেখা যায়। আর কেওড়া বনের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের চারদিকে কেওড়া গাছের শ্বাসমূল দেখা যায়। পাখি, ঢেউ আর বাতাসের মিতালির অনন্য অবস্থান দেখা যায় এ সমুদ্রসৈকতে।

সরেজমিনে গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে দেখা যায়, পড়ন্ত বিকেলে সমুদ্রের সবুজ গালিচার বুকে আছড়ে পড়ছে সাগরের জলরাশির বিশাল বিশাল ঢেউ। ছিল পর্যটকদের ভিড়।

মুরাদপুর গুলিয়াখালী এলাকার বাসিন্দা দিদারুল আলম বলেন, গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকতে দিন দিন পর্যটক বাড়ছে। প্রতিবছর দূর-দুরন্ত থেকে দর্শনার্থী এখানে আসে। তাদের সমাগমে মুখরিত হয় সৈকতটি। গুলিয়াখালী পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে সরকার সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

চাঁদপুর থেকে গুলিয়াখালী আসা সোহেল জানান জানান, অনেক সমুদ্রসৈকত দেখেছি। তবে এমন দেখিনি। সত্যিই গুলিয়াখালীতে ভিন্ন সৌন্দর্য রয়েছে।

রুবেল বলেন, একদিকে দিগন্ত জোড়া জলরাশি, অন্যদিকে কেওড়া বন দেখা যাচ্ছে। গুলিয়াখালীতে কিছুটা সুন্দর বনের আবহ রয়েছে।

মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহেদ হোসেন নিজামী বলেন, সৈকতটি দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। সৈকতটির সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়িত হলে অচিরেই সৈকতটি সীতাকুণ্ডের দর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে।

সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন বলেন, গুলিয়াখালীকে সরকার এখনো সৈকত হিসেবে ঘোষণা করেনি। এ কারণে গুলিয়াখালীতে যাওয়ার জন্য কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়নি। সরকার যদি সৈকত হিসেবে ঘোষণা করত, তাহলে রাস্তাঘাট, আবাসিক ব্যবস্থা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করত পর্যটন করপোরেশন। এখন এ সৈকতকে কেন্দ্র করে আলাদাভাবে কিছু করার সুযোগ নেই উপজেলা পরিষদের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত