বাসব রায়
বর্তমান সময়ে ফেসবুকীয় কবি-সাহিত্যিকদের একটা রমরমা বাজার চলছে। স্বাধীন মাধ্যম হিসেবে অনলাইন প্রযুক্তির আশীর্বাদে লেখালেখির একটি বেশ ভালো সুবিধার জায়গা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। সেই সুবাদে আর যা-ই হোক লেখালেখির একটা অবিরাম চর্চা চলমান। বাংলা সাহিত্যের জন্য এটি একটি ইতিবাচক দিক অবশ্যই।
কেউ নিয়ম মেনে লিখছেন আবার কেউ কেউ নিয়মকানুন ছাড়াই লিখছেন। তবে লিখছেন—এটাই বড় প্রাপ্তি। নিয়মের সীমাবদ্ধ গণ্ডি সব সময় মানা সম্ভব হয় না। কবি-সাহিত্যিকেরা যদি স্বাধীন চেতনার অধিকারী হন তাহলে অতশত নিয়মের বেড়াজাল মানতেই হবে কেন! কবি নজরুল নিজেই বলেছেন, ‘আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল, আমি দলে যাই যত নিয়মকানুন শৃঙ্খল...’।
যাঁরা নিয়ম জানেন, তাঁরা নিয়ম মেনে লিখে যাবেন, সেটাই স্বাভাবিক এবং অবশ্যই তাঁরা উচ্চমার্গীয় ভাবধারার কবি-সাহিত্যিক। তাঁরা নমস্য সব সময়ই। এরপর মাঝামাঝি মার্গীয়েরা আছেন। তাঁরা কখনো নিয়ম মানেন, আবার কখনো নিয়ম না মেনেই চলেন। আর নিম্নমার্গীয়েরা যা খুশি তা-ই লিখে যান; খেয়ালখুশি মতো। আমার মতে, তাঁরাই স্বাধীনসত্তার অধিকারী, যেটা সাহিত্যের ক্ষেত্রে বাঞ্ছিত একটা ধরন। চর্চার ধারাবাহিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে মার্গীয় ধারা নিম্নস্তর থেকে ক্রমশ ঊর্ধ্বগামী হবে—তাতে সন্দেহ নেই।
তবে সবচেয়ে একটি ভালো ধারা ফেসবুকীয় সাহিত্যে লক্ষণীয়, যেটা ‘তেলমার্গীয়’! এই তেলমার্গীয়েরা তেলাতেলি নিয়ে ব্যতিব্যস্ত এবং সাহিত্যের জগতে তারাই সর্বনাশা। তেল দেওয়ার বিষয়টা আর অন্য ক্ষেত্রে কতখানি কার্যকর তা আমরা জানি, কিন্তু সাহিত্যের জন্য তেলের কারবার নিঃসন্দেহে একটি নোংরামি। তেলবাজ কবি-সাহিত্যিকদের বর্জন করা উচিত বলে মনে করি।
সবকিছুতেই যেমন নিয়মকানুন বা সংবিধিবদ্ধ সাবধানতা থাকে, ঠিক তেমনি করে সাহিত্যের ক্ষেত্রেও তা বিদ্যমান। তবে শিখিয়ে-পরিয়ে তা হয় না কখনো। নিজস্ব চিন্তাশক্তির প্রসার ঘটানোই এখানে মুখ্য। মহামনীষীরা যুগে যুগে অনেক বাণী দিয়ে অনেকভাবে অনেক দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন, যার কিছুটা হলেও ধারণ করা উচিত। মানসিকতা এবং ভাবনার বিস্তার ঘটানোই মুখ্য বিষয়। স্বকীয়তা বজায় রেখে নিজের বক্তব্যকে কলাকৌশলে প্রকাশ করাটা আসল কথা। আর সে জন্য নানা রকমের ভাবধারা প্রচলিত হয়েছে সময়ে-সময়ে।
আপনি নিজেও হতে পারেন কোনো নতুন ভাবধারার প্রবর্তক। নিজেকে সেভাবেই তৈরি করার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে চলুন, দেখবেন নিয়মকানুন আপনার কাছে এসে ধরা দিয়েছে অবলীলায়।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের দিকপাল নক্ষত্র। খুব স্বল্প সময়েই তিনি একটি মহাকাব্যসহ অসংখ্য মূল্যবান লেখা উপহার দিয়েছেন। বাংলা সাহিত্যের ধারায় সনেটসহ মাইকেলি শব্দের প্রচলন ঘটিয়েছেন, যা পরবর্তী সাহিত্যের যুগে স্বর্ণাক্ষরে অঙ্কিত হয়ে আছে। আপনিও আপনার মেধা ও মনন দিয়ে সম্পূর্ণ মুক্ত অবস্থায় লিখে চলুন। আপনাকে মাইকেল মধুসূদন বা জীবনানন্দ কিংবা নজরুল হতে হবে না, আপনি আপনিই।
জীবনের সবকিছু যেমন একইরকম তাল বা ছন্দ নিয়ে চলে না, ঠিক তেমনি সাহিত্যেও একইরকম তাল বা ছন্দ সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। জীবননির্ভর সাহিত্যচর্চায় জীবনই হলো প্রধানতম। তাই নতুনের আহ্বানে সৃষ্টি হোক নিত্যনতুন শিল্পকলা।
হতাশা নয়, নয় গ্লানি—সামনের পথে এগোতে গিয়ে আপনার সাধ্যমতো লিখে চলুন সব ধারার লেখা। একদিন আপনার অখ্যাত লেখাটাই হতে পারে হয়তো সেরা লেখা! কে জানে, এই ফেসবুকীয় কবি-সাহিত্যিক হিসেবে আপনিও হতে পারেন সমাদৃত।
বর্তমান সময়ে ফেসবুকীয় কবি-সাহিত্যিকদের একটা রমরমা বাজার চলছে। স্বাধীন মাধ্যম হিসেবে অনলাইন প্রযুক্তির আশীর্বাদে লেখালেখির একটি বেশ ভালো সুবিধার জায়গা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। সেই সুবাদে আর যা-ই হোক লেখালেখির একটা অবিরাম চর্চা চলমান। বাংলা সাহিত্যের জন্য এটি একটি ইতিবাচক দিক অবশ্যই।
কেউ নিয়ম মেনে লিখছেন আবার কেউ কেউ নিয়মকানুন ছাড়াই লিখছেন। তবে লিখছেন—এটাই বড় প্রাপ্তি। নিয়মের সীমাবদ্ধ গণ্ডি সব সময় মানা সম্ভব হয় না। কবি-সাহিত্যিকেরা যদি স্বাধীন চেতনার অধিকারী হন তাহলে অতশত নিয়মের বেড়াজাল মানতেই হবে কেন! কবি নজরুল নিজেই বলেছেন, ‘আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল, আমি দলে যাই যত নিয়মকানুন শৃঙ্খল...’।
যাঁরা নিয়ম জানেন, তাঁরা নিয়ম মেনে লিখে যাবেন, সেটাই স্বাভাবিক এবং অবশ্যই তাঁরা উচ্চমার্গীয় ভাবধারার কবি-সাহিত্যিক। তাঁরা নমস্য সব সময়ই। এরপর মাঝামাঝি মার্গীয়েরা আছেন। তাঁরা কখনো নিয়ম মানেন, আবার কখনো নিয়ম না মেনেই চলেন। আর নিম্নমার্গীয়েরা যা খুশি তা-ই লিখে যান; খেয়ালখুশি মতো। আমার মতে, তাঁরাই স্বাধীনসত্তার অধিকারী, যেটা সাহিত্যের ক্ষেত্রে বাঞ্ছিত একটা ধরন। চর্চার ধারাবাহিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে মার্গীয় ধারা নিম্নস্তর থেকে ক্রমশ ঊর্ধ্বগামী হবে—তাতে সন্দেহ নেই।
তবে সবচেয়ে একটি ভালো ধারা ফেসবুকীয় সাহিত্যে লক্ষণীয়, যেটা ‘তেলমার্গীয়’! এই তেলমার্গীয়েরা তেলাতেলি নিয়ে ব্যতিব্যস্ত এবং সাহিত্যের জগতে তারাই সর্বনাশা। তেল দেওয়ার বিষয়টা আর অন্য ক্ষেত্রে কতখানি কার্যকর তা আমরা জানি, কিন্তু সাহিত্যের জন্য তেলের কারবার নিঃসন্দেহে একটি নোংরামি। তেলবাজ কবি-সাহিত্যিকদের বর্জন করা উচিত বলে মনে করি।
সবকিছুতেই যেমন নিয়মকানুন বা সংবিধিবদ্ধ সাবধানতা থাকে, ঠিক তেমনি করে সাহিত্যের ক্ষেত্রেও তা বিদ্যমান। তবে শিখিয়ে-পরিয়ে তা হয় না কখনো। নিজস্ব চিন্তাশক্তির প্রসার ঘটানোই এখানে মুখ্য। মহামনীষীরা যুগে যুগে অনেক বাণী দিয়ে অনেকভাবে অনেক দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন, যার কিছুটা হলেও ধারণ করা উচিত। মানসিকতা এবং ভাবনার বিস্তার ঘটানোই মুখ্য বিষয়। স্বকীয়তা বজায় রেখে নিজের বক্তব্যকে কলাকৌশলে প্রকাশ করাটা আসল কথা। আর সে জন্য নানা রকমের ভাবধারা প্রচলিত হয়েছে সময়ে-সময়ে।
আপনি নিজেও হতে পারেন কোনো নতুন ভাবধারার প্রবর্তক। নিজেকে সেভাবেই তৈরি করার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে চলুন, দেখবেন নিয়মকানুন আপনার কাছে এসে ধরা দিয়েছে অবলীলায়।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের দিকপাল নক্ষত্র। খুব স্বল্প সময়েই তিনি একটি মহাকাব্যসহ অসংখ্য মূল্যবান লেখা উপহার দিয়েছেন। বাংলা সাহিত্যের ধারায় সনেটসহ মাইকেলি শব্দের প্রচলন ঘটিয়েছেন, যা পরবর্তী সাহিত্যের যুগে স্বর্ণাক্ষরে অঙ্কিত হয়ে আছে। আপনিও আপনার মেধা ও মনন দিয়ে সম্পূর্ণ মুক্ত অবস্থায় লিখে চলুন। আপনাকে মাইকেল মধুসূদন বা জীবনানন্দ কিংবা নজরুল হতে হবে না, আপনি আপনিই।
জীবনের সবকিছু যেমন একইরকম তাল বা ছন্দ নিয়ে চলে না, ঠিক তেমনি সাহিত্যেও একইরকম তাল বা ছন্দ সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। জীবননির্ভর সাহিত্যচর্চায় জীবনই হলো প্রধানতম। তাই নতুনের আহ্বানে সৃষ্টি হোক নিত্যনতুন শিল্পকলা।
হতাশা নয়, নয় গ্লানি—সামনের পথে এগোতে গিয়ে আপনার সাধ্যমতো লিখে চলুন সব ধারার লেখা। একদিন আপনার অখ্যাত লেখাটাই হতে পারে হয়তো সেরা লেখা! কে জানে, এই ফেসবুকীয় কবি-সাহিত্যিক হিসেবে আপনিও হতে পারেন সমাদৃত।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪