Ajker Patrika

চিতা বাঘ আর নেই

নীলফামারী প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ মার্চ ২০২২, ১৮: ০৯
Thumbnail image

নীলফামারী সদরের চওরাবড়গাছার নতিবাড়ি চৌরঙ্গীবাজার গ্রামের রাস্তায় পায়ের ছাপ চিতা বাঘের নয়। এগুলো শিয়াল-কুকুর ও মেছো বিড়ালের। দুই দিন ধরে ইউনিয়নটিতে অনুসন্ধানে সব তথ্য-উপাত্ত এবং পায়ের ছাপ বিশ্লেষণ করে জীবিত চিতা বাঘের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এতে বাঘ উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে বন বিভাগ।

এর আগে গত শুক্রবার ওই ইউনিয়নের কাঞ্চনপাড়া দলবাড়ি গ্রামের অলিয়ার রহমানের মুরগির খামারে বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়ে মারা যায় একটি চিতা বাঘ। ওই বাঘের সঙ্গে আরও একটি চিতা বাঘ ছিল, এলাকাবাসীর এমন দাবিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে ঘরবন্দী হয়ে পড়েন প্রায় ছয় গ্রামের মানুষ। এ খবরে রংপুর সামাজিক বন বিভাগ, রাজশাহী বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এবং ঢাকার বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন।

গত রোববার বিকেলে নীলফামারী প্রেসক্লাবে বন বিভাগের এক সংবাদ সম্মেলনে চিতা বাঘ উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেন দলের প্রধান ঢাকা বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য কর্মকর্তা রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস।

উপস্থিত ছিলেন রংপুর সামাজিক বন বিভাগের বন্য প্রাণী জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা স্মৃতি সিংহ রায়, রাজশাহী বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্য প্রাণী পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবির, ওয়াইল্ড লাইফ রেঞ্জার সরোয়ার হোসেন খান, ঢাকার বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্য প্রাণী পরিদর্শক অসিম মল্লিক, নীলফামারী বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মোনায়েম, চওরাবড়গাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের বিটু, গোড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুব জজ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য কর্মকর্তা রথীন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, ‘বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকে একটি চিতা বাঘ মারা যাওয়ার পর স্থানীয়দের ধারণা, এই এলাকায় আরও চিতা বাঘ আছে। এমন খবরের রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা থেকে বন বিভাগের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা শনিবার সকাল থেকে অনুসন্ধান কাজ শুরু করি। এদিন আমরা অনুসন্ধানকালে বিভিন্ন প্রাণীর পায়ের ছাপ, মল সংগ্রহ করি। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সেগুলোতে চিতা বাঘের অস্তিত্ব মেলেনি। এ সময়ের মধ্যে এলাকায় নতুন করে কেউ চিতা বাঘ দেখতেও পায়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এলাকায় মাইকিং করে জনগণকে গুজবে কান না দিতে বলেছি। এলাকাবাসীকে রাতের বেলা একা পথ চলতে নিষেধ করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত