Ajker Patrika

দিনে রেকি রাতে চুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১: ৫১
দিনে রেকি রাতে চুরি

দিনে তাঁরা দিনমজুরের ছদ্মবেশে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে ঘুরতেন। বাছাই করতেন সম্ভাব্য চুরির স্থান। মালিকেরা কীভাবে মোটরসাইকেল রাখেন, তা পর্যবেক্ষণ করতেন। সুযোগ বুঝে রাতে সেসব মোটরসাইকেল তালা ভেঙে চুরি করে নিয়ে যেতেন। আর চুরির পরপরই গাড়িগুলো চট্টগ্রামের বাইরের জেলায় থাকা চক্রের সদস্যদের কাছে পৌঁছে দিতেন। পরে সেখানে বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগি করে নিতেন।

এমনই একটি সংঘবদ্ধ চক্রের পাঁচজনকে বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেপ্তারের পর গতকাল শনিবার এসব তথ্য জানায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ সময় চট্টগ্রাম নগরী ও বিভিন্ন জেলা থেকে চক্রটির চুরি করা ৯টি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নোয়াখালী বেগমগঞ্জের আলমগীর হোসেন (৩৭), ফেনী জেলা সদরের নাহিদুল ইসলাম নাহিদ (২০), কুমিল্লা নাঙ্গলকোট থানার মো. মন্নান, একই জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার বাবুল মিয়া (৩৪), চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ড উপজেলার আমিরাবাদ গ্রামের আবদুল মালেক ওরফে সোহাগ (২৫)।

নগর পুলিশের পশ্চিম জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মো. আবদুল ওয়ারিশ বলেন, ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে হালিশহরে একটি গলির মুখে চোরাই মোটরসাইকেলের গোপন তথ্য পেয়ে অভিযানে যায় পুলিশ। পরে ঘটনাস্থল থেকে আলমগীর ও নাহিদকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি চুরি করা একটি পালসার মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় হালিশহর থানায় একটি মামলা হয়েছে।

মো. আবদুল ওয়ারিশ আরও বলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে পুরো চক্রটির কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে তথ্য পায় পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের তথ্যমতে পুলিশ কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে কিনারা এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে তিনটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ দোকানের মালিক মন্নানকে গ্রেপ্তার করে।

ডিসি আবদুল ওয়ারিশ বলেন, অভিযানের ধারাবাহিকতায় কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে যায় পুলিশ। সেখানে ঝাটিয়ারখিল এলাকায় বাবুল মিয়ার বাড়ি থেকে আরও ৪টি চোরাই মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ। পরে সীতাকুণ্ড থেকে আরও একটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ আবদুল মালেককে গ্রেপ্তার করা হয়।

হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘চক্রটির দলনেতা হলেন কুমিল্লা নাঙ্গলকোট থানার মো. হান্নান ওরফে মন্নান (৩৯)। তিনি পলাতক রয়েছেন। এ ছাড়া তাঁর ছেলে মেহেদী হাছান মুন্নাসহ (২০) আরও তিনজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।’

ওসি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তাঁরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছদ্মবেশে ভাড়া বাসায় থাকেন। চুরির পরপরই মোটরসাইকেলের নম্বরপ্লেট খুলে রাখেন। এ ছাড়া ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বরে ঘষামাজা করে সেখানে ভিন্ন নম্বর বসিয়ে বিভিন্নজনের কাছে বিক্রি করেন। পলাতক হান্নানই এসব মোটরসাইকেল বিক্রি করে টাকা বুঝে নেন। পরে হান্নানের থেকে ভাগের টাকা চক্রের বাকি সদ্যদের কাছে যেত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরি, ডাকাতি ও মাদকের মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল পুনর্বিন্যাস আনছে ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলে

‘বাবার অসুস্থতায় পরামর্শ নিতে’ চিকিৎসকের বাসায় নারী, দুজনকে পুলিশে দিল স্থানীয়রা

১৪৬ যাত্রী নিয়ে ব্যাংককের পথে এক ঘণ্টা উড়ে মিয়ানমার থেকে ফিরে এল বিমানের সেই ফ্লাইট

৬ বছর পর চীন সফরে যাচ্ছেন মোদি, আসবেন পুতিনও

রাশিয়ার তেল চীনও কেনে, তবে ট্রাম্পের শুল্ক শুধু ভারতের ওপর কেন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত