নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে ত্বরিত পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। আজ বুধবার জারি হতে পারে এ-সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশ। এর আগেই অবশ্য দলটির সক্রিয় নেতা-কর্মীদের তালিকা করে আটকের পরিকল্পনা এঁটেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে অভিযানও শুরু হয়ে গেছে বলে দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ব্যাপক সহিংসতা ও হতাহতের ঘটনায় দেশজুড়ে এখন প্রায় অচলাবস্থা। পরিস্থিতি সামলাতে দিনের একাংশজুড়ে জারি থাকছে কারফিউ, মোতায়েন আছে সেনাবাহিনী। এমন প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী
লীগের নেতৃত্বাধীন জোট গত সোমবার সভা করে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এরপর গতকাল দিনভর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন পদক্ষেপের পেছনের কারণ জানার চেষ্টা করা হয়। তাঁদের অধিকাংশের বক্তব্য অনুযায়ী, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুযোগে সহিংস তৎপরতার নেপথ্যে ছিল একটি পশ্চিমা শক্তি। তারা নিজ পরিকল্পনা স্থানীয় পর্যায়ে বাস্তবায়নে ব্যবহার করে জামায়াতে ইসলামী ও দলটির ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীদের। এমন বিবেচনা থেকেই আওয়ামী লীগ সরকার দ্রুত জামায়াতের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নিতে চলেছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে নির্দেশ দিয়েছেন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জামায়াতকে নিষিদ্ধ না করা হলে তাদের দিয়ে ভবিষ্যতেও এমন সহিংস কর্মকাণ্ড ঘটানোর শঙ্কা দেখছে সরকারি দল। তাই নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মী ও প্রভাবশালী সমর্থকদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। এখন তাঁদের ধরপাকড় শুরু হতে পারে, এমন আভাস দিয়েছেন তাঁরা।
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি কঠোর ব্যবস্থার আভাস পেয়ে দলটির অনেকেই গা ঢাকা দিতে শুরু করেছেন, এমন তথ্য দিয়েছে দলীয় একাধিক সূত্র।
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে দলটির আমির শফিকুর রহমান গতকাল বলেছেন, কোনো দল বা জোট অন্য কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার ধারা চালু হলে এক দল অন্য দলকে নিষিদ্ধ করতে থাকবে। তখন রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা বলে কিছু থাকবে না।
সরকারি কয়েকটি সূত্রের মতে, সরকারের বিরুদ্ধে বিদেশে আটঘাট বেঁধে নেমেছে জামায়াত। প্রভাবশালী দেশে লবিং করে সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে দলটি নানান চেষ্টা চালাচ্ছে। অন্যদিকে কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সরকার দেশে ও বিদেশে কিছুটা হলেও চাপে আছে। এমন অবস্থায় জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে দলটির সঙ্গে সম্পর্ক রাখে, এমন বিদেশি শক্তিগুলোকে বার্তা দিতে চায় সরকার।
দলটিকে নিষিদ্ধ করে আন্তর্জাতিকভাবে তাদের অবস্থান দুর্বল করার পাশাপাশি তারা যে জঙ্গি, সন্ত্রাসী সংগঠন, সেটিও বহির্বিশ্বকে জানাতে চায় সরকার। আর ভারত জামায়াতের বিষয়ে বরাবরই নেতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে বন্ধুদেশ ভারতকেও সরকার বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজনীতির অঙ্গনে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি ও দলটির যুক্তরাজ্যপ্রবাসী শীর্ষ নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে গভীর সখ্যও দলটিকে নিষিদ্ধ করার অন্যতম কারণ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কথা বলে এমনটা জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র বলছে, কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে দুই শতাধিক মানুষ নিহত হওয়া এবং কয়েক হাজার মানুষের আহত হওয়ায় জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও প্রভাবশালী পশ্চিমা দেশগুলোর কড়া নজরদারিতে আছে সরকার। দেশের ভেতরেও সরকার ও আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি সংকটে পড়েছে। এমন অবস্থায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন ইস্যু টেনে আনতেও জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়ে থাকতে পারে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও গতকাল এমন অভিযোগই তুলেছেন। রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সরকার ইস্যু তৈরি করে কোটা আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে চাইছে। এটা (জামায়াত নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত) তাদের আরেকটি প্রজেক্ট।
যদিও গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দাবি, জামায়াতকে নিষিদ্ধের এই পদক্ষেপ হুট করে নেওয়া হচ্ছে না। রাজধানীতে গতকাল নিজ দলের এক সভায় তিনি বলেন, তাদের (জামায়াত) রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা ও নাগরিক সমাজ দাবি করে আসছে। এ কারণে দলটি নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতের আলাদা কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সেদিন অল্প দূরে আরামবাগে জামায়াত অনেকটাই নির্বিঘ্নে কর্মসূচি পালন করে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের সময় সরকার বিএনপির ওপর চড়াও হলেও জামায়াতের ব্যাপারে ছিল উল্টো।
এমন একটা অবস্থায় জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেপথ্যে বোঝাপড়া আছে, ১৪ দলীয় জোট শরিকদের কারও কারও দেওয়া এমন অপবাদ দলটিকে নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে ঝেড়ে ফেলতে চায় ক্ষমতাসীনেরা।
১৪ দলীয় জোটের এক নেতা গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, জোটের কথায় যদি জামায়াতকে সরকার নিষিদ্ধ করত, তাহলে তো সেই কবেই নিষিদ্ধ করত। কিন্তু সেটা করেনি। এখন নিশ্চয়ই অন্য কোনো কারণ আছে।
বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে মান-অভিমান চললেও এবারের ভোটের পরে সেটা কমানোর উদ্যোগ নিয়েছিল বিএনপি। জামায়াতও তাতে সাড়া দেয়। আওয়ামী লীগ নেতারা কমবেশি একমত, বিএনপি-জামায়াত একসঙ্গে থাকলে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঝামেলায় পড়তে হয়। নিষিদ্ধ থাকলে দলটিকে দমন করা আপাতত সহজ হবে। অন্যদিকে বিএনপির জন্য জামায়াতকে ব্যবহার করা একটু অসুবিধার হবে। তবে জামায়াত নিষিদ্ধ করা ভবিষ্যতের রাজনীতিতে কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে তাঁদের মধ্যে নানান আলোচনা আছে।
১৪ দলের অন্যতম শরিক জাসদের একাংশের সভাপতি হাসানুল হক ইনু আজকের পত্রিকাকে বলেন, জামায়াতকে শুধু নিষিদ্ধ করলেই হবে না; বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নিষিদ্ধ করা তো প্রশাসনিক পদক্ষেপ। তাদের রাজনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে হবে। তাদের যতগুলো প্রতিষ্ঠান আছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে ত্বরিত পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। আজ বুধবার জারি হতে পারে এ-সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশ। এর আগেই অবশ্য দলটির সক্রিয় নেতা-কর্মীদের তালিকা করে আটকের পরিকল্পনা এঁটেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে অভিযানও শুরু হয়ে গেছে বলে দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ব্যাপক সহিংসতা ও হতাহতের ঘটনায় দেশজুড়ে এখন প্রায় অচলাবস্থা। পরিস্থিতি সামলাতে দিনের একাংশজুড়ে জারি থাকছে কারফিউ, মোতায়েন আছে সেনাবাহিনী। এমন প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী
লীগের নেতৃত্বাধীন জোট গত সোমবার সভা করে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এরপর গতকাল দিনভর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন পদক্ষেপের পেছনের কারণ জানার চেষ্টা করা হয়। তাঁদের অধিকাংশের বক্তব্য অনুযায়ী, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুযোগে সহিংস তৎপরতার নেপথ্যে ছিল একটি পশ্চিমা শক্তি। তারা নিজ পরিকল্পনা স্থানীয় পর্যায়ে বাস্তবায়নে ব্যবহার করে জামায়াতে ইসলামী ও দলটির ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীদের। এমন বিবেচনা থেকেই আওয়ামী লীগ সরকার দ্রুত জামায়াতের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নিতে চলেছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে নির্দেশ দিয়েছেন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জামায়াতকে নিষিদ্ধ না করা হলে তাদের দিয়ে ভবিষ্যতেও এমন সহিংস কর্মকাণ্ড ঘটানোর শঙ্কা দেখছে সরকারি দল। তাই নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মী ও প্রভাবশালী সমর্থকদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। এখন তাঁদের ধরপাকড় শুরু হতে পারে, এমন আভাস দিয়েছেন তাঁরা।
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি কঠোর ব্যবস্থার আভাস পেয়ে দলটির অনেকেই গা ঢাকা দিতে শুরু করেছেন, এমন তথ্য দিয়েছে দলীয় একাধিক সূত্র।
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে দলটির আমির শফিকুর রহমান গতকাল বলেছেন, কোনো দল বা জোট অন্য কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার ধারা চালু হলে এক দল অন্য দলকে নিষিদ্ধ করতে থাকবে। তখন রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা বলে কিছু থাকবে না।
সরকারি কয়েকটি সূত্রের মতে, সরকারের বিরুদ্ধে বিদেশে আটঘাট বেঁধে নেমেছে জামায়াত। প্রভাবশালী দেশে লবিং করে সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে দলটি নানান চেষ্টা চালাচ্ছে। অন্যদিকে কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সরকার দেশে ও বিদেশে কিছুটা হলেও চাপে আছে। এমন অবস্থায় জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে দলটির সঙ্গে সম্পর্ক রাখে, এমন বিদেশি শক্তিগুলোকে বার্তা দিতে চায় সরকার।
দলটিকে নিষিদ্ধ করে আন্তর্জাতিকভাবে তাদের অবস্থান দুর্বল করার পাশাপাশি তারা যে জঙ্গি, সন্ত্রাসী সংগঠন, সেটিও বহির্বিশ্বকে জানাতে চায় সরকার। আর ভারত জামায়াতের বিষয়ে বরাবরই নেতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে বন্ধুদেশ ভারতকেও সরকার বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজনীতির অঙ্গনে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি ও দলটির যুক্তরাজ্যপ্রবাসী শীর্ষ নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে গভীর সখ্যও দলটিকে নিষিদ্ধ করার অন্যতম কারণ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কথা বলে এমনটা জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র বলছে, কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে দুই শতাধিক মানুষ নিহত হওয়া এবং কয়েক হাজার মানুষের আহত হওয়ায় জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও প্রভাবশালী পশ্চিমা দেশগুলোর কড়া নজরদারিতে আছে সরকার। দেশের ভেতরেও সরকার ও আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি সংকটে পড়েছে। এমন অবস্থায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন ইস্যু টেনে আনতেও জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়ে থাকতে পারে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও গতকাল এমন অভিযোগই তুলেছেন। রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সরকার ইস্যু তৈরি করে কোটা আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে চাইছে। এটা (জামায়াত নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত) তাদের আরেকটি প্রজেক্ট।
যদিও গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দাবি, জামায়াতকে নিষিদ্ধের এই পদক্ষেপ হুট করে নেওয়া হচ্ছে না। রাজধানীতে গতকাল নিজ দলের এক সভায় তিনি বলেন, তাদের (জামায়াত) রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা ও নাগরিক সমাজ দাবি করে আসছে। এ কারণে দলটি নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতের আলাদা কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সেদিন অল্প দূরে আরামবাগে জামায়াত অনেকটাই নির্বিঘ্নে কর্মসূচি পালন করে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের সময় সরকার বিএনপির ওপর চড়াও হলেও জামায়াতের ব্যাপারে ছিল উল্টো।
এমন একটা অবস্থায় জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেপথ্যে বোঝাপড়া আছে, ১৪ দলীয় জোট শরিকদের কারও কারও দেওয়া এমন অপবাদ দলটিকে নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে ঝেড়ে ফেলতে চায় ক্ষমতাসীনেরা।
১৪ দলীয় জোটের এক নেতা গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, জোটের কথায় যদি জামায়াতকে সরকার নিষিদ্ধ করত, তাহলে তো সেই কবেই নিষিদ্ধ করত। কিন্তু সেটা করেনি। এখন নিশ্চয়ই অন্য কোনো কারণ আছে।
বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে মান-অভিমান চললেও এবারের ভোটের পরে সেটা কমানোর উদ্যোগ নিয়েছিল বিএনপি। জামায়াতও তাতে সাড়া দেয়। আওয়ামী লীগ নেতারা কমবেশি একমত, বিএনপি-জামায়াত একসঙ্গে থাকলে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঝামেলায় পড়তে হয়। নিষিদ্ধ থাকলে দলটিকে দমন করা আপাতত সহজ হবে। অন্যদিকে বিএনপির জন্য জামায়াতকে ব্যবহার করা একটু অসুবিধার হবে। তবে জামায়াত নিষিদ্ধ করা ভবিষ্যতের রাজনীতিতে কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে তাঁদের মধ্যে নানান আলোচনা আছে।
১৪ দলের অন্যতম শরিক জাসদের একাংশের সভাপতি হাসানুল হক ইনু আজকের পত্রিকাকে বলেন, জামায়াতকে শুধু নিষিদ্ধ করলেই হবে না; বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নিষিদ্ধ করা তো প্রশাসনিক পদক্ষেপ। তাদের রাজনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে হবে। তাদের যতগুলো প্রতিষ্ঠান আছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৯ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪