Ajker Patrika

চার দিনেও খোঁজ নেই ৯ যাত্রীর

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা
আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ১১: ৩৬
চার দিনেও খোঁজ নেই ৯ যাত্রীর

টানা চার দিনের উদ্ধার অভিযানেও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ধলেশ্বরী নদীতে নিখোঁজ ৯ ট্রলার যাত্রীর খোঁজ মেলেনি। নিখোঁজ যাত্রী উদ্ধার না হওয়া ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে ধর্মগঞ্জ ও বক্তাবলী এলাকার বাসিন্দা ও স্বজনেরা। গতকাল নদীর দুই তীরে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।

গত বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ধলেশ্বরী নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলার ডুবে ৯ জন নিখোঁজ হন। তাঁদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযানে নামে ফায়ার সার্ভিসসহ আরও চারটি সংস্থা। গতকাল শনিবার বিকেল পর্যন্ত নিখোঁজ যাত্রীদের সন্ধান মেলেনি বলে জানান উদ্ধারকাজে নিয়োজিত কর্মীরা।

নিখোঁজ স্বজনেরা বলেন, চার দিন হলো লঞ্চের ধাক্কায় যাত্রীসহ ট্রলারডুবির ঘটনা। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও নৌ-পুলিশসহ উদ্ধারকারী কোনো সংস্থাই তেমন তৎপরতা দেখায়নি। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা স্পিডবোটে নদীতে ঘুরে আর বসে সময় কাটান। এভাবে পানির নিচ থেকে কিছুই উদ্ধার করা যাবে না। তাঁদের এ অবহেলায় সরকারি সংস্থাগুলোর দুর্নাম হচ্ছে।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তাছলিমা বলেন, এই দুর্ঘটনায় যাঁরা নিখোঁজ হয়েছেন, তাঁরা সমাজের প্রভাবশালী কেউ না বলেই তাঁদের চার দিনেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। ট্রলারডুবি ঘটনায় নিখোঁজ আছেন তাঁর তিন সন্তান ও স্ত্রী। শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যাঁরা উদ্ধারকাজে জড়িত, তাঁরা কি আসলেই উদ্ধারের জন্য কাজ করছেন? আমরা গরিব মানুষ বলে আমাদের স্বজনদের উদ্ধারকাজে তাঁরা সব ধরনের শক্তি প্রয়োগ করছেন না। এমপি-মন্ত্রী কিংবা সরকারের বড় বড় লোক থাকলে উদ্ধার অভিযানের চিত্র ভিন্ন হতো।’

নিখোঁজ ছাব্বিরের বাবা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘পদ্মা-মেঘনায় লঞ্চডুবির পর অনেক দ্রুত উদ্ধারকাজ হয়। ধলেশ্বরীর মতো ছোট একটা নদী থেকে চার দিনে একটা লাশও উদ্ধার হয়নি। এটা তাঁদের ব্যর্থতা না গাফিলতি, সেটা আমরা বুঝতেছি না।’

এই বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনার চার দিনেও স্বজনদের না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন স্বজনেরা। এ কারণে তাঁরা নদীপাড়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, ফায়ার সার্ভিস সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। পাশাপাশি কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ট্রলার ও নিখোঁজদের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত ফেরদৌস বলেন, ‘নদীতে ডুবে যাওয়া ট্রলার ও নিখোঁজদের সন্ধান পেতে আমাদের জোর প্রচেষ্টা চলছে। এখনো ডুবে যাওয়া ট্রলার বা নিখোঁজ কারও সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেঘালয়ে হানিমুনের সময় ভাড়াটে খুনি দিয়ে স্বামীকে হত্যা, উত্তর প্রদেশে নববধূর আত্মসমর্পণ

ভিকারুননিসার ছাত্রী মেয়েকে সাঁতার শেখাচ্ছিলেন বাবা, ডুবে প্রাণ গেল দুজনেরই

মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় খুন—কীভাবে এক নববধূ হয়ে উঠলেন হত্যাকারী

হাসিনার মতো মাফিয়াকে বিতাড়িত করেছি, এখন আমরাই বড় মাফিয়া: এনসিপি নেতা জুবাইরুল

কানাডার লেকে বোট উল্টে বাংলাদেশের পাইলট ও গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর মৃত্যু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত