অর্চি হক, ঢাকা
‘ভোর সাড়ে পাঁচটায় আমার দিন শুরু হয়। তারপর ডিজাইনিংয়ের কাজ, ডেলিভারির পণ্য তৈরি করা, অফিস, রান্নাবান্না—কখন যে ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টায় গিয়ে ঠেকে, টেরই পাই না।’
কথাগুলো বলেন মিরা অ্যাটায়ারের স্বত্বাধিকারী পূর্ণিমা ত্রিপুরা পিউ। তিনি ব্যবসার পাশাপাশি চাকরিও করেন। ২০১৩ সালের ২৮ জুলাই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান পূর্ণিমার মা মিরা ত্রিপুরা। মায়ের নামে একটা ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানোর স্বপ্ন নিয়ে ২০১৫ সালে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় গড়ে তোলেন মিরা অ্যাটায়ার। রাজধানীর ফরচুন শপিং মলেও রয়েছে তাঁর শোরুম। আর দেশের সীমা ছাড়িয়ে বিদেশেও পৌঁছে যাচ্ছে পূর্ণিমার পণ্য। কথায় কথায় মায়ের প্রসঙ্গে পিউ বলেন, ‘এই যে দিনভর এত কাজ করি, তারপরও মনে হয়, আমার মায়ের তুলনায় তো এগুলো কিছুই না।’
ছোটবেলা থেকেই সুই-সুতা আর রং-তুলির সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে পূর্ণিমার। কাপড়, কাগজ যা-ই পেতেন, সেটা দিয়ে কিছু একটা বানিয়ে ফেলতেন। আর মাকে দেখে শিখতেন, কোন রঙের সঙ্গে কোন রংটা ভালো মানায়, কোন নকশা কোথায় কীভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়। পূর্ণিমা বলেন, ‘আমাদের চার ভাইবোনকে মানুষ করতে মা চাকরি ছেড়েছিলেন। ভীষণ ফ্যাশনসচেতন ছিলেন তিনি। নিজের পোশাক এবং আমাদের ভাইবোনের জামাকাপড়ের নকশা নিজেই করতেন। আশপাশের সবার চেয়ে আমাদের জামাকাপড়গুলো হতো একেবারেই আলাদা। আমি ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে পড়েছি। কিন্তু একটা ডিজাইন কীভাবে অনন্য করে তুলতে হয়, সেটা শিখেছি মায়ের কাছেই।’
আরেকটা জিনিস মায়ের কাছ থেকেই শিখেছেন পূর্ণিমা। সেটা হলো, ভাষার প্রতি ভালোবাসা। পাহাড়ের কিছু মানুষ মৌখিকভাবে ত্রিপুরা ভাষা ‘ককবোরক’ ব্যবহার করলেও এর লিখিত রূপটা হারিয়ে যাচ্ছে দিন দিন। এ ভাষার বর্ণমালাও ত্রিপুরা শিশুরা ঠিকভাবে শিখতে পারছে না। এ জন্য ককবোরক ভাষাটি বাঁচিয়ে রাখতে নিজের নকশা করা পোশাকগুলোতে কিছু বর্ণ ও শব্দ জুড়ে দেন পূর্ণিমা। পূর্ণিমার ইচ্ছা, চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি ব্যবসায় মনোযোগী হবেন। কিন্তু পোশাকের ব্যবসা সব সময় এক রকম চলে না বলে চাকরিটাও চালিয়ে যেতে হচ্ছে। পূর্ণিমা বলেন, ‘আমাকে শুধু আমার আয়ের কথা ভাবলে চলে না। আমার কর্মী দল এবং তাঁদের পরিবারগুলোর কথাও আমাকে ভাবতে হয়। কোনো মাসে হয়তো অর্ডার কম পেলাম, তখন আমার বেতনের জমানো টাকা থেকেই পাওনা পরিশোধ করি।’
ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়লেও পূর্ণিমার স্বপ্ন ছিল বিসিএস ক্যাডার হওয়া। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকে শুরু করেন বিসিএসের প্রস্তুতি। কিন্তু ২০১৩ সালে তাঁর মা ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর থমকে যায় সবকিছু। চোখের সামনে মা মিরা ত্রিপুরাকে তিন মাস ক্যানসারের সঙ্গে লড়তে দেখেন। একসময় আজন্ম যোদ্ধা মিরা ত্রিপুরা ক্যানসারের কাছে হেরে যান। এতে পূর্ণিমার জীবনের গতিই বদলে যায়। সেখান থেকে আবার ঘুরে দাঁড়াতে সময় লেগেছে। এরপর মিরা অ্যাটায়ারকে দাঁড় করাতে পুরো শক্তি নিয়োগ করেছেন পূর্ণিমা।
‘ভোর সাড়ে পাঁচটায় আমার দিন শুরু হয়। তারপর ডিজাইনিংয়ের কাজ, ডেলিভারির পণ্য তৈরি করা, অফিস, রান্নাবান্না—কখন যে ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টায় গিয়ে ঠেকে, টেরই পাই না।’
কথাগুলো বলেন মিরা অ্যাটায়ারের স্বত্বাধিকারী পূর্ণিমা ত্রিপুরা পিউ। তিনি ব্যবসার পাশাপাশি চাকরিও করেন। ২০১৩ সালের ২৮ জুলাই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান পূর্ণিমার মা মিরা ত্রিপুরা। মায়ের নামে একটা ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানোর স্বপ্ন নিয়ে ২০১৫ সালে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় গড়ে তোলেন মিরা অ্যাটায়ার। রাজধানীর ফরচুন শপিং মলেও রয়েছে তাঁর শোরুম। আর দেশের সীমা ছাড়িয়ে বিদেশেও পৌঁছে যাচ্ছে পূর্ণিমার পণ্য। কথায় কথায় মায়ের প্রসঙ্গে পিউ বলেন, ‘এই যে দিনভর এত কাজ করি, তারপরও মনে হয়, আমার মায়ের তুলনায় তো এগুলো কিছুই না।’
ছোটবেলা থেকেই সুই-সুতা আর রং-তুলির সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে পূর্ণিমার। কাপড়, কাগজ যা-ই পেতেন, সেটা দিয়ে কিছু একটা বানিয়ে ফেলতেন। আর মাকে দেখে শিখতেন, কোন রঙের সঙ্গে কোন রংটা ভালো মানায়, কোন নকশা কোথায় কীভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়। পূর্ণিমা বলেন, ‘আমাদের চার ভাইবোনকে মানুষ করতে মা চাকরি ছেড়েছিলেন। ভীষণ ফ্যাশনসচেতন ছিলেন তিনি। নিজের পোশাক এবং আমাদের ভাইবোনের জামাকাপড়ের নকশা নিজেই করতেন। আশপাশের সবার চেয়ে আমাদের জামাকাপড়গুলো হতো একেবারেই আলাদা। আমি ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে পড়েছি। কিন্তু একটা ডিজাইন কীভাবে অনন্য করে তুলতে হয়, সেটা শিখেছি মায়ের কাছেই।’
আরেকটা জিনিস মায়ের কাছ থেকেই শিখেছেন পূর্ণিমা। সেটা হলো, ভাষার প্রতি ভালোবাসা। পাহাড়ের কিছু মানুষ মৌখিকভাবে ত্রিপুরা ভাষা ‘ককবোরক’ ব্যবহার করলেও এর লিখিত রূপটা হারিয়ে যাচ্ছে দিন দিন। এ ভাষার বর্ণমালাও ত্রিপুরা শিশুরা ঠিকভাবে শিখতে পারছে না। এ জন্য ককবোরক ভাষাটি বাঁচিয়ে রাখতে নিজের নকশা করা পোশাকগুলোতে কিছু বর্ণ ও শব্দ জুড়ে দেন পূর্ণিমা। পূর্ণিমার ইচ্ছা, চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি ব্যবসায় মনোযোগী হবেন। কিন্তু পোশাকের ব্যবসা সব সময় এক রকম চলে না বলে চাকরিটাও চালিয়ে যেতে হচ্ছে। পূর্ণিমা বলেন, ‘আমাকে শুধু আমার আয়ের কথা ভাবলে চলে না। আমার কর্মী দল এবং তাঁদের পরিবারগুলোর কথাও আমাকে ভাবতে হয়। কোনো মাসে হয়তো অর্ডার কম পেলাম, তখন আমার বেতনের জমানো টাকা থেকেই পাওনা পরিশোধ করি।’
ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়লেও পূর্ণিমার স্বপ্ন ছিল বিসিএস ক্যাডার হওয়া। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকে শুরু করেন বিসিএসের প্রস্তুতি। কিন্তু ২০১৩ সালে তাঁর মা ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর থমকে যায় সবকিছু। চোখের সামনে মা মিরা ত্রিপুরাকে তিন মাস ক্যানসারের সঙ্গে লড়তে দেখেন। একসময় আজন্ম যোদ্ধা মিরা ত্রিপুরা ক্যানসারের কাছে হেরে যান। এতে পূর্ণিমার জীবনের গতিই বদলে যায়। সেখান থেকে আবার ঘুরে দাঁড়াতে সময় লেগেছে। এরপর মিরা অ্যাটায়ারকে দাঁড় করাতে পুরো শক্তি নিয়োগ করেছেন পূর্ণিমা।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫