আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

অর্থ পাচার মামলা তদন্তের ক্ষমতা পেতে তিন বছর ধরে বিশেষভাবে চেষ্টা করছে পুলিশের আরও চারটি ইউনিট। এগুলো হচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। তবে এখনো কেউ অনুমতি পায়নি। অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট বিধিমালায় অর্থ পাচার মামলা তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া হলেও মানি লন্ডারিং (অর্থ পাচার) প্রতিরোধ আইনে তাদের তদন্ত সংস্থা হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি।
মানি লন্ডারিং মামলা নিয়ে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের অতিরিক্ত আগ্রহ নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন। কেউ কেউ বলছেন, মানি লন্ডারিং মামলা অনেক বড় মামলা। সেখানে অর্থের নাড়াচাড়া হয়। সে জন্য সবাই এটা তদন্ত করতে চায়। পয়সার গন্ধ পেলে সবাই সেখানে যেতে চায়।
জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বেতনের চাকরিজীবী ব্যক্তির সন্তানেরাও আজ ফুল টিউশন ফি দিয়ে বিদেশে পড়াশোনা করছে, বিদেশে বাড়ি করছে, এই টাকা কীভাবে বিদেশে গেছে? সেগুলো কি কেউ দেখে? অতীতে যেসব মামলা হয়েছে, তার কতগুলোর বিচার হয়েছে? কেউ না কেউ তো এখন তদন্ত করছে, সেটার রেজাল্টটা কী? তাদের ফল দেখছি না। আবার নতুনরা তদন্ত করতে চায়। আমাদের দেশের তদন্ত হচ্ছে, যেখানে পয়সার গন্ধ পায় সেখানেই সবাই যেতে চায়।’
বর্তমানে ছয়টি সংস্থা এ ধরনের মামলার তদন্ত করে। র্যাব ও পুলিশের করা বেশির ভাগ মামলাই তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডি ছাড়া এ-সংক্রান্ত মামলা তদন্তের এখতিয়ার আছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি), পরিবেশ অধিদপ্তর, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।
একসময় এখতিয়ার ছিল শুধু দুদকের। ২০১৫ সালে আইন সংশোধনের পর অন্য পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে এ-সংক্রান্ত ২৭টি অপরাধের তদন্ত ও মামলা পরিচালনার ক্ষমতা দেওয়া হয়। এর মধ্যে দুদক শুধু একটি অপরাধের (ঘুষ ও দুর্নীতি) তদন্ত ও মামলা পরিচালনা করছে।
পুলিশের একজন সাবেক কর্মকর্তা বলেন, মানি লন্ডারিং মামলা দুদক এককভাবে তদন্ত করতে চেয়েছিল একসময়। তারা অন্য কাউকে দিতে চায়নি। এ নিয়ে অনেক চিঠি-চালাচালি হয়েছে। এরপর কিছু সংস্থা তদন্তের সুযোগ পেয়েছে। তবে এখনো পুলিশের অন্যান্য ইউনিট এই মামলা তদন্তের ক্ষমতা পাচ্ছে না।
যে কারণে ক্ষমতা চায় র্যাব
২০১৯ সালে রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। তখন মাদক, জুয়া ও অবৈধ অর্থ উদ্ধারের ঘটনায় ৩২টি মামলা হয়; যার ১৩টি ছিল মানি লন্ডারিং আইনে। র্যাব তখন মানি লন্ডারিং মামলা তদন্তের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে বিষয়টি পুলিশ সদর দপ্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানায়। পরে আরও কয়েক দফায় তারা এ-সংক্রান্ত মামলা তদন্তের অনুমতি চেয়েছে। র্যাবের যুক্তি, মাদক, অস্ত্র ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অবৈধ অর্থ লেনদেন হয়।
র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কোনো মামলা তদন্ত করতে গিয়ে মানি লন্ডারিংয়ের কোনো ঘটনা পেলে সে বিষয়ে মামলা করি থানায়। এরপর নিয়ম অনুযায়ী যেসব সংস্থা মানি লন্ডারিং মামলা তদন্ত করতে পারে, তারা তদন্ত করে। এরপর ওই মামলায় কী হয়, তা আর আমাদের জানার সুযোগ থাকে না।’
আবেদন করেছিল পিবিআই
সম্প্রতি বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে। পিবিআই সূত্রে জানা যায়, কয়েকটি ঘটনায় দেশে-বিদেশে অবৈধ অর্থের লেনদেন হয়েছে। হত্যা মামলায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অবৈধ অর্থের সংশ্লিষ্টতা থাকে। বিষয়টি মানি লন্ডারিং আইনে পড়ায় তদন্তে বিপাকে পড়তে হয়েছে পিবিআইকে।
অতিরিক্ত আইজিপি ও পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপরাধের সঙ্গে অবৈধ অর্থের জোগান থাকে সব সময়। এ জন্য মানি লন্ডারিং আইন অনুযায়ী আমরা মামলা করতে পারি। তবে তদন্তের জন্য আলাদা সংস্থা রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘মামলা তদন্তের জন্য পিবিআইয়ে বিশেষ প্রশিক্ষিত লোকবল, ফরেনসিক ল্যাব আছে। মামলার তদন্তভার চেয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছিল। তবে এখনো অনুমতি মেলেনি।’
আরও দুই সংস্থার আবেদন
জঙ্গি দমনে ডিএমপির সিটিটিসি ইউনিটের বিশেষ ভূমিকা আছে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সব মামলায়ই অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগ করা হয়েছে। জঙ্গিসংক্রান্ত মামলার তদন্ত এবং অবৈধ অর্থ লেনদেনের উৎস খুঁজতে মানি লন্ডারিং মামলা তদন্তের প্রয়োজনীয়তার কথা বারবার বলছে সংস্থাটি।
সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘জঙ্গিবাদে দেশি-বিদেশি অর্থায়নের বিষয়টি প্রায়ই তদন্তে উঠে আসে। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানাই। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
একই বিষয়ে বছর দুয়েক আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুমতি চেয়েছিল এটিইউ। এরপর তারা পুলিশের অভ্যন্তরীণ সভায়ও বিষয়টি তুলেছে।
এটিইউর পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, এখনো মানি লন্ডারিংয়ের কোনো মামলার তদন্ত তাঁরা করেননি।
জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক গতকাল শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মানি লন্ডারিংয়ের ধরন পরিবর্তন হয়েছে। সেই অনুযায়ী আইনও একাধিকবার পরিবর্তন ও সংশোধন হয়েছে। মামলার সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। পুলিশের ইউনিটগুলো মামলা তদন্ত করতে গিয়ে মানি লন্ডারিংয়ের অনেক উপাদান পায়। কিন্তু তাদের ক্ষমতা না থাকায় সেগুলো তারা তদন্ত করতে পারে না। এতে ওই সব মামলার তদন্ত অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাই পুলিশের অন্য ইউনিটগুলোরও এই মামলা তদন্ত করার ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন।
পুলিশের একাধিক সূত্র দাবি করেছে, পুলিশ ইউনিটগুলো দুদকের বাধার কারণে মানি লন্ডারিং মামলা তদন্ত পাচ্ছে না। তবে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন, দুদক আইনগতভাবে মামলা তদন্ত করে থাকে। পুলিশের একটি সংস্থাও মানি লন্ডারিং মামলা তদন্ত করছে। তবে সরকার যদি মনে করে আরও কোনো সংস্থাকে দিয়ে মামলা তদন্ত করাবে, তাহলে সেটা হতে পারে। তবে মামলা তদন্তের ক্ষমতা পাওয়ার ক্ষেত্রে দুদক কোনো বাধা নয়।
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, মানি লন্ডারিং মামলা একটি বিশেষত মামলা। এই মামলা কারা তদন্ত করবেন, তা আইনে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর যদি কোনো বাহিনী বা সংস্থা অন্য কোনো মামলা তদন্ত করতে গিয়ে মানি লন্ডারিংয়ের কোনো ঘটনা পায়, তাহলে তারা লিখিতভাবে বিষয়টি আদালতকে জানিয়ে দিতে পারে। আদালত তখন সেটি তদন্তের জন্য বা আলাদা মামলা করার জন্য নির্দেশ দিতে পারেন। আলাদা মামলা হলে তখন আইনে যাদের তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া আছে, তারা তদন্ত করবেন। ঢালাওভাবে সব সংস্থাকে মানি লন্ডারিং মামলা তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া ঠিক হবে না।

অর্থ পাচার মামলা তদন্তের ক্ষমতা পেতে তিন বছর ধরে বিশেষভাবে চেষ্টা করছে পুলিশের আরও চারটি ইউনিট। এগুলো হচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। তবে এখনো কেউ অনুমতি পায়নি। অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট বিধিমালায় অর্থ পাচার মামলা তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া হলেও মানি লন্ডারিং (অর্থ পাচার) প্রতিরোধ আইনে তাদের তদন্ত সংস্থা হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি।
মানি লন্ডারিং মামলা নিয়ে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের অতিরিক্ত আগ্রহ নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন। কেউ কেউ বলছেন, মানি লন্ডারিং মামলা অনেক বড় মামলা। সেখানে অর্থের নাড়াচাড়া হয়। সে জন্য সবাই এটা তদন্ত করতে চায়। পয়সার গন্ধ পেলে সবাই সেখানে যেতে চায়।
জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বেতনের চাকরিজীবী ব্যক্তির সন্তানেরাও আজ ফুল টিউশন ফি দিয়ে বিদেশে পড়াশোনা করছে, বিদেশে বাড়ি করছে, এই টাকা কীভাবে বিদেশে গেছে? সেগুলো কি কেউ দেখে? অতীতে যেসব মামলা হয়েছে, তার কতগুলোর বিচার হয়েছে? কেউ না কেউ তো এখন তদন্ত করছে, সেটার রেজাল্টটা কী? তাদের ফল দেখছি না। আবার নতুনরা তদন্ত করতে চায়। আমাদের দেশের তদন্ত হচ্ছে, যেখানে পয়সার গন্ধ পায় সেখানেই সবাই যেতে চায়।’
বর্তমানে ছয়টি সংস্থা এ ধরনের মামলার তদন্ত করে। র্যাব ও পুলিশের করা বেশির ভাগ মামলাই তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডি ছাড়া এ-সংক্রান্ত মামলা তদন্তের এখতিয়ার আছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি), পরিবেশ অধিদপ্তর, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।
একসময় এখতিয়ার ছিল শুধু দুদকের। ২০১৫ সালে আইন সংশোধনের পর অন্য পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে এ-সংক্রান্ত ২৭টি অপরাধের তদন্ত ও মামলা পরিচালনার ক্ষমতা দেওয়া হয়। এর মধ্যে দুদক শুধু একটি অপরাধের (ঘুষ ও দুর্নীতি) তদন্ত ও মামলা পরিচালনা করছে।
পুলিশের একজন সাবেক কর্মকর্তা বলেন, মানি লন্ডারিং মামলা দুদক এককভাবে তদন্ত করতে চেয়েছিল একসময়। তারা অন্য কাউকে দিতে চায়নি। এ নিয়ে অনেক চিঠি-চালাচালি হয়েছে। এরপর কিছু সংস্থা তদন্তের সুযোগ পেয়েছে। তবে এখনো পুলিশের অন্যান্য ইউনিট এই মামলা তদন্তের ক্ষমতা পাচ্ছে না।
যে কারণে ক্ষমতা চায় র্যাব
২০১৯ সালে রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। তখন মাদক, জুয়া ও অবৈধ অর্থ উদ্ধারের ঘটনায় ৩২টি মামলা হয়; যার ১৩টি ছিল মানি লন্ডারিং আইনে। র্যাব তখন মানি লন্ডারিং মামলা তদন্তের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে বিষয়টি পুলিশ সদর দপ্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানায়। পরে আরও কয়েক দফায় তারা এ-সংক্রান্ত মামলা তদন্তের অনুমতি চেয়েছে। র্যাবের যুক্তি, মাদক, অস্ত্র ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অবৈধ অর্থ লেনদেন হয়।
র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কোনো মামলা তদন্ত করতে গিয়ে মানি লন্ডারিংয়ের কোনো ঘটনা পেলে সে বিষয়ে মামলা করি থানায়। এরপর নিয়ম অনুযায়ী যেসব সংস্থা মানি লন্ডারিং মামলা তদন্ত করতে পারে, তারা তদন্ত করে। এরপর ওই মামলায় কী হয়, তা আর আমাদের জানার সুযোগ থাকে না।’
আবেদন করেছিল পিবিআই
সম্প্রতি বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে। পিবিআই সূত্রে জানা যায়, কয়েকটি ঘটনায় দেশে-বিদেশে অবৈধ অর্থের লেনদেন হয়েছে। হত্যা মামলায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অবৈধ অর্থের সংশ্লিষ্টতা থাকে। বিষয়টি মানি লন্ডারিং আইনে পড়ায় তদন্তে বিপাকে পড়তে হয়েছে পিবিআইকে।
অতিরিক্ত আইজিপি ও পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপরাধের সঙ্গে অবৈধ অর্থের জোগান থাকে সব সময়। এ জন্য মানি লন্ডারিং আইন অনুযায়ী আমরা মামলা করতে পারি। তবে তদন্তের জন্য আলাদা সংস্থা রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘মামলা তদন্তের জন্য পিবিআইয়ে বিশেষ প্রশিক্ষিত লোকবল, ফরেনসিক ল্যাব আছে। মামলার তদন্তভার চেয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছিল। তবে এখনো অনুমতি মেলেনি।’
আরও দুই সংস্থার আবেদন
জঙ্গি দমনে ডিএমপির সিটিটিসি ইউনিটের বিশেষ ভূমিকা আছে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সব মামলায়ই অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগ করা হয়েছে। জঙ্গিসংক্রান্ত মামলার তদন্ত এবং অবৈধ অর্থ লেনদেনের উৎস খুঁজতে মানি লন্ডারিং মামলা তদন্তের প্রয়োজনীয়তার কথা বারবার বলছে সংস্থাটি।
সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘জঙ্গিবাদে দেশি-বিদেশি অর্থায়নের বিষয়টি প্রায়ই তদন্তে উঠে আসে। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানাই। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
একই বিষয়ে বছর দুয়েক আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুমতি চেয়েছিল এটিইউ। এরপর তারা পুলিশের অভ্যন্তরীণ সভায়ও বিষয়টি তুলেছে।
এটিইউর পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, এখনো মানি লন্ডারিংয়ের কোনো মামলার তদন্ত তাঁরা করেননি।
জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক গতকাল শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মানি লন্ডারিংয়ের ধরন পরিবর্তন হয়েছে। সেই অনুযায়ী আইনও একাধিকবার পরিবর্তন ও সংশোধন হয়েছে। মামলার সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। পুলিশের ইউনিটগুলো মামলা তদন্ত করতে গিয়ে মানি লন্ডারিংয়ের অনেক উপাদান পায়। কিন্তু তাদের ক্ষমতা না থাকায় সেগুলো তারা তদন্ত করতে পারে না। এতে ওই সব মামলার তদন্ত অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাই পুলিশের অন্য ইউনিটগুলোরও এই মামলা তদন্ত করার ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন।
পুলিশের একাধিক সূত্র দাবি করেছে, পুলিশ ইউনিটগুলো দুদকের বাধার কারণে মানি লন্ডারিং মামলা তদন্ত পাচ্ছে না। তবে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন, দুদক আইনগতভাবে মামলা তদন্ত করে থাকে। পুলিশের একটি সংস্থাও মানি লন্ডারিং মামলা তদন্ত করছে। তবে সরকার যদি মনে করে আরও কোনো সংস্থাকে দিয়ে মামলা তদন্ত করাবে, তাহলে সেটা হতে পারে। তবে মামলা তদন্তের ক্ষমতা পাওয়ার ক্ষেত্রে দুদক কোনো বাধা নয়।
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, মানি লন্ডারিং মামলা একটি বিশেষত মামলা। এই মামলা কারা তদন্ত করবেন, তা আইনে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর যদি কোনো বাহিনী বা সংস্থা অন্য কোনো মামলা তদন্ত করতে গিয়ে মানি লন্ডারিংয়ের কোনো ঘটনা পায়, তাহলে তারা লিখিতভাবে বিষয়টি আদালতকে জানিয়ে দিতে পারে। আদালত তখন সেটি তদন্তের জন্য বা আলাদা মামলা করার জন্য নির্দেশ দিতে পারেন। আলাদা মামলা হলে তখন আইনে যাদের তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া আছে, তারা তদন্ত করবেন। ঢালাওভাবে সব সংস্থাকে মানি লন্ডারিং মামলা তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া ঠিক হবে না।
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

অর্থ পাচার মামলা তদন্তের ক্ষমতা পেতে তিন বছর ধরে বিশেষভাবে চেষ্টা করছে পুলিশের আরও চারটি ইউনিট। এগুলো হচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। তবে এখনো কেউ অনুমতি পায়নি। অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট বিধিমালায় অর্থ পাচার মামলা তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া হলেও মানি লন্ডারিং (অর্থ পাচার) প্রতিরোধ আইনে তাদের তদন্ত সংস্থা হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি।
মানি লন্ডারিং মামলা নিয়ে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের অতিরিক্ত আগ্রহ নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন। কেউ কেউ বলছেন, মানি লন্ডারিং মামলা অনেক বড় মামলা। সেখানে অর্থের নাড়াচাড়া হয়। সে জন্য সবাই এটা তদন্ত করতে চায়। পয়সার গন্ধ পেলে সবাই সেখানে যেতে চায়।
জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বেতনের চাকরিজীবী ব্যক্তির সন্তানেরাও আজ ফুল টিউশন ফি দিয়ে বিদেশে পড়াশোনা করছে, বিদেশে বাড়ি করছে, এই টাকা কীভাবে বিদেশে গেছে? সেগুলো কি কেউ দেখে? অতীতে যেসব মামলা হয়েছে, তার কতগুলোর বিচার হয়েছে? কেউ না কেউ তো এখন তদন্ত করছে, সেটার রেজাল্টটা কী? তাদের ফল দেখছি না। আবার নতুনরা তদন্ত করতে চায়। আমাদের দেশের তদন্ত হচ্ছে, যেখানে পয়সার গন্ধ পায় সেখানেই সবাই যেতে চায়।’
বর্তমানে ছয়টি সংস্থা এ ধরনের মামলার তদন্ত করে। র্যাব ও পুলিশের করা বেশির ভাগ মামলাই তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডি ছাড়া এ-সংক্রান্ত মামলা তদন্তের এখতিয়ার আছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি), পরিবেশ অধিদপ্তর, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।
একসময় এখতিয়ার ছিল শুধু দুদকের। ২০১৫ সালে আইন সংশোধনের পর অন্য পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে এ-সংক্রান্ত ২৭টি অপরাধের তদন্ত ও মামলা পরিচালনার ক্ষমতা দেওয়া হয়। এর মধ্যে দুদক শুধু একটি অপরাধের (ঘুষ ও দুর্নীতি) তদন্ত ও মামলা পরিচালনা করছে।
পুলিশের একজন সাবেক কর্মকর্তা বলেন, মানি লন্ডারিং মামলা দুদক এককভাবে তদন্ত করতে চেয়েছিল একসময়। তারা অন্য কাউকে দিতে চায়নি। এ নিয়ে অনেক চিঠি-চালাচালি হয়েছে। এরপর কিছু সংস্থা তদন্তের সুযোগ পেয়েছে। তবে এখনো পুলিশের অন্যান্য ইউনিট এই মামলা তদন্তের ক্ষমতা পাচ্ছে না।
যে কারণে ক্ষমতা চায় র্যাব
২০১৯ সালে রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। তখন মাদক, জুয়া ও অবৈধ অর্থ উদ্ধারের ঘটনায় ৩২টি মামলা হয়; যার ১৩টি ছিল মানি লন্ডারিং আইনে। র্যাব তখন মানি লন্ডারিং মামলা তদন্তের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে বিষয়টি পুলিশ সদর দপ্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানায়। পরে আরও কয়েক দফায় তারা এ-সংক্রান্ত মামলা তদন্তের অনুমতি চেয়েছে। র্যাবের যুক্তি, মাদক, অস্ত্র ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অবৈধ অর্থ লেনদেন হয়।
র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কোনো মামলা তদন্ত করতে গিয়ে মানি লন্ডারিংয়ের কোনো ঘটনা পেলে সে বিষয়ে মামলা করি থানায়। এরপর নিয়ম অনুযায়ী যেসব সংস্থা মানি লন্ডারিং মামলা তদন্ত করতে পারে, তারা তদন্ত করে। এরপর ওই মামলায় কী হয়, তা আর আমাদের জানার সুযোগ থাকে না।’
আবেদন করেছিল পিবিআই
সম্প্রতি বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে। পিবিআই সূত্রে জানা যায়, কয়েকটি ঘটনায় দেশে-বিদেশে অবৈধ অর্থের লেনদেন হয়েছে। হত্যা মামলায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অবৈধ অর্থের সংশ্লিষ্টতা থাকে। বিষয়টি মানি লন্ডারিং আইনে পড়ায় তদন্তে বিপাকে পড়তে হয়েছে পিবিআইকে।
অতিরিক্ত আইজিপি ও পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপরাধের সঙ্গে অবৈধ অর্থের জোগান থাকে সব সময়। এ জন্য মানি লন্ডারিং আইন অনুযায়ী আমরা মামলা করতে পারি। তবে তদন্তের জন্য আলাদা সংস্থা রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘মামলা তদন্তের জন্য পিবিআইয়ে বিশেষ প্রশিক্ষিত লোকবল, ফরেনসিক ল্যাব আছে। মামলার তদন্তভার চেয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছিল। তবে এখনো অনুমতি মেলেনি।’
আরও দুই সংস্থার আবেদন
জঙ্গি দমনে ডিএমপির সিটিটিসি ইউনিটের বিশেষ ভূমিকা আছে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সব মামলায়ই অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগ করা হয়েছে। জঙ্গিসংক্রান্ত মামলার তদন্ত এবং অবৈধ অর্থ লেনদেনের উৎস খুঁজতে মানি লন্ডারিং মামলা তদন্তের প্রয়োজনীয়তার কথা বারবার বলছে সংস্থাটি।
সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘জঙ্গিবাদে দেশি-বিদেশি অর্থায়নের বিষয়টি প্রায়ই তদন্তে উঠে আসে। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানাই। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
একই বিষয়ে বছর দুয়েক আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুমতি চেয়েছিল এটিইউ। এরপর তারা পুলিশের অভ্যন্তরীণ সভায়ও বিষয়টি তুলেছে।
এটিইউর পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, এখনো মানি লন্ডারিংয়ের কোনো মামলার তদন্ত তাঁরা করেননি।
জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক গতকাল শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মানি লন্ডারিংয়ের ধরন পরিবর্তন হয়েছে। সেই অনুযায়ী আইনও একাধিকবার পরিবর্তন ও সংশোধন হয়েছে। মামলার সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। পুলিশের ইউনিটগুলো মামলা তদন্ত করতে গিয়ে মানি লন্ডারিংয়ের অনেক উপাদান পায়। কিন্তু তাদের ক্ষমতা না থাকায় সেগুলো তারা তদন্ত করতে পারে না। এতে ওই সব মামলার তদন্ত অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাই পুলিশের অন্য ইউনিটগুলোরও এই মামলা তদন্ত করার ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন।
পুলিশের একাধিক সূত্র দাবি করেছে, পুলিশ ইউনিটগুলো দুদকের বাধার কারণে মানি লন্ডারিং মামলা তদন্ত পাচ্ছে না। তবে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন, দুদক আইনগতভাবে মামলা তদন্ত করে থাকে। পুলিশের একটি সংস্থাও মানি লন্ডারিং মামলা তদন্ত করছে। তবে সরকার যদি মনে করে আরও কোনো সংস্থাকে দিয়ে মামলা তদন্ত করাবে, তাহলে সেটা হতে পারে। তবে মামলা তদন্তের ক্ষমতা পাওয়ার ক্ষেত্রে দুদক কোনো বাধা নয়।
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, মানি লন্ডারিং মামলা একটি বিশেষত মামলা। এই মামলা কারা তদন্ত করবেন, তা আইনে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর যদি কোনো বাহিনী বা সংস্থা অন্য কোনো মামলা তদন্ত করতে গিয়ে মানি লন্ডারিংয়ের কোনো ঘটনা পায়, তাহলে তারা লিখিতভাবে বিষয়টি আদালতকে জানিয়ে দিতে পারে। আদালত তখন সেটি তদন্তের জন্য বা আলাদা মামলা করার জন্য নির্দেশ দিতে পারেন। আলাদা মামলা হলে তখন আইনে যাদের তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া আছে, তারা তদন্ত করবেন। ঢালাওভাবে সব সংস্থাকে মানি লন্ডারিং মামলা তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া ঠিক হবে না।

অর্থ পাচার মামলা তদন্তের ক্ষমতা পেতে তিন বছর ধরে বিশেষভাবে চেষ্টা করছে পুলিশের আরও চারটি ইউনিট। এগুলো হচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। তবে এখনো কেউ অনুমতি পায়নি। অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট বিধিমালায় অর্থ পাচার মামলা তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া হলেও মানি লন্ডারিং (অর্থ পাচার) প্রতিরোধ আইনে তাদের তদন্ত সংস্থা হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি।
মানি লন্ডারিং মামলা নিয়ে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের অতিরিক্ত আগ্রহ নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন। কেউ কেউ বলছেন, মানি লন্ডারিং মামলা অনেক বড় মামলা। সেখানে অর্থের নাড়াচাড়া হয়। সে জন্য সবাই এটা তদন্ত করতে চায়। পয়সার গন্ধ পেলে সবাই সেখানে যেতে চায়।
জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বেতনের চাকরিজীবী ব্যক্তির সন্তানেরাও আজ ফুল টিউশন ফি দিয়ে বিদেশে পড়াশোনা করছে, বিদেশে বাড়ি করছে, এই টাকা কীভাবে বিদেশে গেছে? সেগুলো কি কেউ দেখে? অতীতে যেসব মামলা হয়েছে, তার কতগুলোর বিচার হয়েছে? কেউ না কেউ তো এখন তদন্ত করছে, সেটার রেজাল্টটা কী? তাদের ফল দেখছি না। আবার নতুনরা তদন্ত করতে চায়। আমাদের দেশের তদন্ত হচ্ছে, যেখানে পয়সার গন্ধ পায় সেখানেই সবাই যেতে চায়।’
বর্তমানে ছয়টি সংস্থা এ ধরনের মামলার তদন্ত করে। র্যাব ও পুলিশের করা বেশির ভাগ মামলাই তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডি ছাড়া এ-সংক্রান্ত মামলা তদন্তের এখতিয়ার আছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি), পরিবেশ অধিদপ্তর, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।
একসময় এখতিয়ার ছিল শুধু দুদকের। ২০১৫ সালে আইন সংশোধনের পর অন্য পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে এ-সংক্রান্ত ২৭টি অপরাধের তদন্ত ও মামলা পরিচালনার ক্ষমতা দেওয়া হয়। এর মধ্যে দুদক শুধু একটি অপরাধের (ঘুষ ও দুর্নীতি) তদন্ত ও মামলা পরিচালনা করছে।
পুলিশের একজন সাবেক কর্মকর্তা বলেন, মানি লন্ডারিং মামলা দুদক এককভাবে তদন্ত করতে চেয়েছিল একসময়। তারা অন্য কাউকে দিতে চায়নি। এ নিয়ে অনেক চিঠি-চালাচালি হয়েছে। এরপর কিছু সংস্থা তদন্তের সুযোগ পেয়েছে। তবে এখনো পুলিশের অন্যান্য ইউনিট এই মামলা তদন্তের ক্ষমতা পাচ্ছে না।
যে কারণে ক্ষমতা চায় র্যাব
২০১৯ সালে রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। তখন মাদক, জুয়া ও অবৈধ অর্থ উদ্ধারের ঘটনায় ৩২টি মামলা হয়; যার ১৩টি ছিল মানি লন্ডারিং আইনে। র্যাব তখন মানি লন্ডারিং মামলা তদন্তের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে বিষয়টি পুলিশ সদর দপ্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানায়। পরে আরও কয়েক দফায় তারা এ-সংক্রান্ত মামলা তদন্তের অনুমতি চেয়েছে। র্যাবের যুক্তি, মাদক, অস্ত্র ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অবৈধ অর্থ লেনদেন হয়।
র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কোনো মামলা তদন্ত করতে গিয়ে মানি লন্ডারিংয়ের কোনো ঘটনা পেলে সে বিষয়ে মামলা করি থানায়। এরপর নিয়ম অনুযায়ী যেসব সংস্থা মানি লন্ডারিং মামলা তদন্ত করতে পারে, তারা তদন্ত করে। এরপর ওই মামলায় কী হয়, তা আর আমাদের জানার সুযোগ থাকে না।’
আবেদন করেছিল পিবিআই
সম্প্রতি বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে। পিবিআই সূত্রে জানা যায়, কয়েকটি ঘটনায় দেশে-বিদেশে অবৈধ অর্থের লেনদেন হয়েছে। হত্যা মামলায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অবৈধ অর্থের সংশ্লিষ্টতা থাকে। বিষয়টি মানি লন্ডারিং আইনে পড়ায় তদন্তে বিপাকে পড়তে হয়েছে পিবিআইকে।
অতিরিক্ত আইজিপি ও পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপরাধের সঙ্গে অবৈধ অর্থের জোগান থাকে সব সময়। এ জন্য মানি লন্ডারিং আইন অনুযায়ী আমরা মামলা করতে পারি। তবে তদন্তের জন্য আলাদা সংস্থা রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘মামলা তদন্তের জন্য পিবিআইয়ে বিশেষ প্রশিক্ষিত লোকবল, ফরেনসিক ল্যাব আছে। মামলার তদন্তভার চেয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছিল। তবে এখনো অনুমতি মেলেনি।’
আরও দুই সংস্থার আবেদন
জঙ্গি দমনে ডিএমপির সিটিটিসি ইউনিটের বিশেষ ভূমিকা আছে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সব মামলায়ই অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগ করা হয়েছে। জঙ্গিসংক্রান্ত মামলার তদন্ত এবং অবৈধ অর্থ লেনদেনের উৎস খুঁজতে মানি লন্ডারিং মামলা তদন্তের প্রয়োজনীয়তার কথা বারবার বলছে সংস্থাটি।
সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘জঙ্গিবাদে দেশি-বিদেশি অর্থায়নের বিষয়টি প্রায়ই তদন্তে উঠে আসে। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানাই। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
একই বিষয়ে বছর দুয়েক আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুমতি চেয়েছিল এটিইউ। এরপর তারা পুলিশের অভ্যন্তরীণ সভায়ও বিষয়টি তুলেছে।
এটিইউর পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, এখনো মানি লন্ডারিংয়ের কোনো মামলার তদন্ত তাঁরা করেননি।
জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক গতকাল শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মানি লন্ডারিংয়ের ধরন পরিবর্তন হয়েছে। সেই অনুযায়ী আইনও একাধিকবার পরিবর্তন ও সংশোধন হয়েছে। মামলার সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। পুলিশের ইউনিটগুলো মামলা তদন্ত করতে গিয়ে মানি লন্ডারিংয়ের অনেক উপাদান পায়। কিন্তু তাদের ক্ষমতা না থাকায় সেগুলো তারা তদন্ত করতে পারে না। এতে ওই সব মামলার তদন্ত অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাই পুলিশের অন্য ইউনিটগুলোরও এই মামলা তদন্ত করার ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন।
পুলিশের একাধিক সূত্র দাবি করেছে, পুলিশ ইউনিটগুলো দুদকের বাধার কারণে মানি লন্ডারিং মামলা তদন্ত পাচ্ছে না। তবে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন, দুদক আইনগতভাবে মামলা তদন্ত করে থাকে। পুলিশের একটি সংস্থাও মানি লন্ডারিং মামলা তদন্ত করছে। তবে সরকার যদি মনে করে আরও কোনো সংস্থাকে দিয়ে মামলা তদন্ত করাবে, তাহলে সেটা হতে পারে। তবে মামলা তদন্তের ক্ষমতা পাওয়ার ক্ষেত্রে দুদক কোনো বাধা নয়।
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, মানি লন্ডারিং মামলা একটি বিশেষত মামলা। এই মামলা কারা তদন্ত করবেন, তা আইনে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর যদি কোনো বাহিনী বা সংস্থা অন্য কোনো মামলা তদন্ত করতে গিয়ে মানি লন্ডারিংয়ের কোনো ঘটনা পায়, তাহলে তারা লিখিতভাবে বিষয়টি আদালতকে জানিয়ে দিতে পারে। আদালত তখন সেটি তদন্তের জন্য বা আলাদা মামলা করার জন্য নির্দেশ দিতে পারেন। আলাদা মামলা হলে তখন আইনে যাদের তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া আছে, তারা তদন্ত করবেন। ঢালাওভাবে সব সংস্থাকে মানি লন্ডারিং মামলা তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া ঠিক হবে না।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৯ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

অর্থ পাচার মামলা তদন্তের ক্ষমতা পেতে তিন বছর ধরে বিশেষভাবে চেষ্টা করছে পুলিশের আরও চারটি ইউনিট। এগুলো হচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি
০৮ এপ্রিল ২০২৩
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

অর্থ পাচার মামলা তদন্তের ক্ষমতা পেতে তিন বছর ধরে বিশেষভাবে চেষ্টা করছে পুলিশের আরও চারটি ইউনিট। এগুলো হচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি
০৮ এপ্রিল ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৯ দিন আগে
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

অর্থ পাচার মামলা তদন্তের ক্ষমতা পেতে তিন বছর ধরে বিশেষভাবে চেষ্টা করছে পুলিশের আরও চারটি ইউনিট। এগুলো হচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি
০৮ এপ্রিল ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৯ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

অর্থ পাচার মামলা তদন্তের ক্ষমতা পেতে তিন বছর ধরে বিশেষভাবে চেষ্টা করছে পুলিশের আরও চারটি ইউনিট। এগুলো হচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি
০৮ এপ্রিল ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৯ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫