Ajker Patrika

কমছে না ডেঙ্গুর প্রকোপ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২২, ১৪: ৫৭
Thumbnail image

চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপ জুলাই মাসের তুলনায় এ মাসে কিছুটা কমতির দিকে। তবে এ হারকে উল্লেখযোগ্য বলা যাচ্ছে না। কেননা গত মাসে চট্টগ্রাম জেলায় ৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছিল। চলতি মাসে গতকাল পর্যন্ত ১৭ দিনে শনাক্ত হয়েছে ৩৭ জন ডেঙ্গু রোগী। অর্থাৎ এখনো গড়ে প্রতিদিন দুজনের বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হচ্ছে।

বৃষ্টির পানি জমে থাকায় ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রধান বাহক এডিস মশার বিস্তার বাড়ছে। কেননা এ মশা স্বচ্ছ পানিতেই জন্ম নেয়। গত মাসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) মশা নিধনে সাত দিনব্যাপী ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’ করলেও এখন মশকনিধন কার্যক্রম সেভাবে চোখে পড়ছে না। এ কারণে মশার বিস্তার বেড়েই চলেছে। মশার বিস্তার বাড়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপও উল্লেখযোগ্য হারে কমছে না।

তবে মানুষকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে চসিক। সংস্থাটি বলছে, মশক নির্ধন কার্যক্রম চলমান আছে। ঘরবাড়ির ছাদ, বাগানের টব, ফেলে রাখা কন্টেইনার, নির্মাণাধীন ভবনে, বাড়ি-ঘরের আঙিনায় যাতে পানি জমে না থাকে সেদিকে জমে থাকা পানিতে। এ জন্য জনগণকেও সচেতন হতে হবে। ”

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই বছরে এখন পর্যন্ত ১০৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই ছিল গত মাসে। মঙ্গলবার পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন ৬ জন। ওই দিন নতুন করে আরও ২ জন রোগী শনাক্ত হয়।

চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমানে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ছয়জন রোগী চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকি রোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অন্য হাসপাতালগুলোতে অবশ্য ডেঙ্গু রোগী ভর্তি নেই। তবে প্রতিদিনই নতুন করে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হচ্ছে। আমরা এই মাসে যে রকম আশা করেছিলাম, সে অনুযায়ী ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ কমছে না। তবে আশার কথা–ডেঙ্গুতে এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।’

ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ কেন কমছে না, এমন প্রশ্নে সিভিল সার্জন বলেন, ‘এখন থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে অনেক জায়গায় পানি জমে থাকছে। সেসব পানিতে এডিস মশা লার্ভা ছাড়ছে। এডিস মশার বিস্তার না কমায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে কমছে না।’

এ বিষয়ে জানতে চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আবুল হাশেমের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন ধরেননি। তবে নাম প্রকাশ না করে চসিকের আরেক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাঝেমধ্যে পত্রিকায় সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে যাদের নির্মাণাধীন বাড়ি-ঘর, ছাদ বাগানে যেন পানি জমিয়ে না রাখার বিষয়ে জানানো হয়। অনেক সময় পানি জমিয়ে রাখলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। তবে কার্যক্রমগুলো নিয়মিত না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত