সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
উঁচু এলাকা হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় প্রতিবছর বোরো ধানের ভালো ফলন হয়। লাভজনক হওয়ায় এবারও বোরো ধানের চারা রোপণ শুরু করেছেন কৃষকেরা। শীত উপেক্ষা করে কৃষকেরা এখন বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিস্তীর্ণ এলাকার মাঠজুড়ে বোরো আবাদের ধুম চলছে। ভোরের আলো ফুটতেই কোমর বেঁধে ফসলের মাঠে নেমে পড়ছেন তাঁরা। উপজেলায় বোরোর চারায় অধিকাংশ খেত এখন সবুজ হয়ে উঠছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বোরো ধানের বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ করে এক ফসলি জমিতে বোরো ধান রোপণ করছেন কৃষকেরা। শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমি প্রস্তুত,পানি সেচ, হালচাষ, সার প্রয়োগ ও বীজ ওঠানোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা। কেউবা জমিতে হাল চাষ দিচ্ছেন, আবার অনেকে তৈরি জমিতে পানি সেচ দিয়ে ভিজিয়ে রাখছেন। সব কাজ শেষ করে কেউবা বীজতলা থেকে চারা তুলে তা রোপণ করছেন খেতে।
গত মঙ্গলবার উপজেলার বরইচারা, রাণীদিয়া, অরুয়াইল, কাকরিয়া, রাজাপুর, দুবাজাইল, পাকশিমুল, ফতেপুর, পরমানন্দপুরভুইশ্বরসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা ধান চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন। অনেকে বীজতলা থেকে বোরো ধানের চারা তুলে জমিতে রোপণ করেছেন। আবার জমি পরিচর্যায় ব্যস্ত অনেকে। অনেকে দুপুরের খাবার নিয়ে মাঠে যাচ্ছেন শ্রমিকদের জন্য।
পাকশিমুল ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামের ধানচাষি লিয়াকত আলী নামের এক কৃষক বলেন, ‘তেলের দাম বাড়ায় ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষের খরচ বাড়ছে। কয়েক বছর ধরে ধানের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় লোকসান গুনতে হয়েছে। কৃষিকাজই আমাদের পেশা, অন্য কোনো কাজ জানি না। তবু আশায় বুক বেঁধে বোরো ধানের চাষ করি।’
একই এলাকার হুমায়ুন নামের এক চাষি বলেন, ‘আমাদের এলাকা কৃষিনির্ভর। কৃষির ওপর নির্ভরশীল সরাইল হাওরাঞ্চলের মানুষ। তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ধান চাষে খরচ বেড়ে গেছে। আমাদের এই অঞ্চলের প্রায় সব কৃষকই বর্গাচাষি। এঁদের নিজের জমি নেই। এনজিও থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষ করেন অনেকেই।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ইতিমধ্যে ৬ হাজার ৯৬০ জন কৃষকের মধ্যে কৃষি প্রণোদনার সার কীটনাশক বীজসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। চলতি বছর ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রায়হান পারভেজ রনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে সরাইল উপজেলায় বোরো ধানের ব্যাপক আবাদ করা হয়েছে। কারণ, সরাইল এলাকাটি মোটামুটি উঁচু এলাকা। জোয়ারের পানিতে বোরো ধানের বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয় না।
রায়হান পারভেজ আরও বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে আছে। তাই বোরো ধানের বাম্পার ফলন হতে পারে। তবে এ বছর তেলের দাম বেশি। তাই চাষাবাদের খরচ কিছুটা বাড়বে।
উঁচু এলাকা হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় প্রতিবছর বোরো ধানের ভালো ফলন হয়। লাভজনক হওয়ায় এবারও বোরো ধানের চারা রোপণ শুরু করেছেন কৃষকেরা। শীত উপেক্ষা করে কৃষকেরা এখন বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিস্তীর্ণ এলাকার মাঠজুড়ে বোরো আবাদের ধুম চলছে। ভোরের আলো ফুটতেই কোমর বেঁধে ফসলের মাঠে নেমে পড়ছেন তাঁরা। উপজেলায় বোরোর চারায় অধিকাংশ খেত এখন সবুজ হয়ে উঠছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বোরো ধানের বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ করে এক ফসলি জমিতে বোরো ধান রোপণ করছেন কৃষকেরা। শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমি প্রস্তুত,পানি সেচ, হালচাষ, সার প্রয়োগ ও বীজ ওঠানোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা। কেউবা জমিতে হাল চাষ দিচ্ছেন, আবার অনেকে তৈরি জমিতে পানি সেচ দিয়ে ভিজিয়ে রাখছেন। সব কাজ শেষ করে কেউবা বীজতলা থেকে চারা তুলে তা রোপণ করছেন খেতে।
গত মঙ্গলবার উপজেলার বরইচারা, রাণীদিয়া, অরুয়াইল, কাকরিয়া, রাজাপুর, দুবাজাইল, পাকশিমুল, ফতেপুর, পরমানন্দপুরভুইশ্বরসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা ধান চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন। অনেকে বীজতলা থেকে বোরো ধানের চারা তুলে জমিতে রোপণ করেছেন। আবার জমি পরিচর্যায় ব্যস্ত অনেকে। অনেকে দুপুরের খাবার নিয়ে মাঠে যাচ্ছেন শ্রমিকদের জন্য।
পাকশিমুল ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামের ধানচাষি লিয়াকত আলী নামের এক কৃষক বলেন, ‘তেলের দাম বাড়ায় ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষের খরচ বাড়ছে। কয়েক বছর ধরে ধানের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় লোকসান গুনতে হয়েছে। কৃষিকাজই আমাদের পেশা, অন্য কোনো কাজ জানি না। তবু আশায় বুক বেঁধে বোরো ধানের চাষ করি।’
একই এলাকার হুমায়ুন নামের এক চাষি বলেন, ‘আমাদের এলাকা কৃষিনির্ভর। কৃষির ওপর নির্ভরশীল সরাইল হাওরাঞ্চলের মানুষ। তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ধান চাষে খরচ বেড়ে গেছে। আমাদের এই অঞ্চলের প্রায় সব কৃষকই বর্গাচাষি। এঁদের নিজের জমি নেই। এনজিও থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষ করেন অনেকেই।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ইতিমধ্যে ৬ হাজার ৯৬০ জন কৃষকের মধ্যে কৃষি প্রণোদনার সার কীটনাশক বীজসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। চলতি বছর ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রায়হান পারভেজ রনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে সরাইল উপজেলায় বোরো ধানের ব্যাপক আবাদ করা হয়েছে। কারণ, সরাইল এলাকাটি মোটামুটি উঁচু এলাকা। জোয়ারের পানিতে বোরো ধানের বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয় না।
রায়হান পারভেজ আরও বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে আছে। তাই বোরো ধানের বাম্পার ফলন হতে পারে। তবে এ বছর তেলের দাম বেশি। তাই চাষাবাদের খরচ কিছুটা বাড়বে।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৮ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৮ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৮ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫