বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
বান্দরবানে বড় কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান নেই। কৃষিকাজই এখানকার মানুষের প্রধান জীবিকা। পাহাড়ি নারীরা ঘরের কাজের পাশাপাশি কৃষিকাজ করেন। তা ছাড়া কোমর তাঁতে কাপড় বোনেন। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাজার বিক্রি করেন। এতে স্বাবলম্বী হচ্ছেন পাহাড়ি এই নারীরা।
বান্দরবানে ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের বসবাস। জেলা কুটির শিল্প সংস্থার তথ্যমতে, জেলায় প্রায় ১০ হাজার পাহাড়ি নারী কোমর তাঁতে কাপড় তৈরির সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের কাজে বিসিক সহযোগিতা দিয়ে থাকে। আবার বিসিকের একটি বিক্রি কেন্দ্রও রয়েছে।
বাঁশ ও বাঁশের কাঠি দিয়ে বিশেষ কায়দায় কোমরের সঙ্গে বেঁধে তাঁতে কাপড় বুনে বলে এটিকে কোমর তাঁত বলা হয়। বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্র শৈলপ্রপাত, মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র এলাকায় এখন অসংখ্য দোকান গড়ে উঠেছে। সেগুলোতে পাহাড়ি নারীদের কোমর তাঁতে বুনা কম্বল, শাল, থামি (নারীদের পরিধেয় বিশেষ বস্ত্র), ওড়না, রুমা, গামছা, চাদর, মাফলার ও জামা কাপড় বিক্রি হয়। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকাতেও সরবরাহ করা হয়।
বিশেষ করে বম জনগোষ্ঠীর নারীরা কোমর তাঁতে অত্যন্ত পারদর্শী। তাঁরা বাজার থেকে উল এবং পাহাড়ি তুলা থেকে সুতা সংগ্রহ করে ঘরে বসেই কোমর তাঁতে কাপড় বুনছেন।
বান্দরবান সদরের পর্যটন কেন্দ্র শৈলপ্রপাত এলাকায় বম নারীরা কোমর তাঁতে তৈরি বিভিন্ন বস্ত্র বিক্রি করে আসছেন। সম্প্রতি শৈলপ্রপাত এলাকা খ্রিষ্টীয় চার্চ সমিতির পক্ষ থেকে স্থায়ীভাবে কয়েকটি শেড নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। রোববার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন সেখানে বম নারীরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁদের তৈরি পণ্য বিক্রি করছেন।
কয়েকজন নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গৃহস্থালি ও পাহাড়ে জুমচাষ করেও তাঁরা ঘরে কোমর তাঁতে কাপড় বোনেন। প্রতি মাসে একজন নারী ৯-১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করছেন।
জানা গেছে, পাহাড়ি এলাকায় উৎপাদিত তুলা থেকে চরকার মাধ্যমে সুতা তৈরি করা হয়। সে সুতা দিয়ে পিনন ও থামির কাজ করা হয়। তবে বর্তমানে পাহাড়ি তুলার উৎপাদন কমে গেছে। তাই নারীরা বাজার থেকে সুতা ও উল কিনে কাপড় বুনছেন।
সদর উপজেলার লাইমী পাড়া, ফারুক পাড়া, শৈলপ্রপাত এলাকা বম জনগোষ্ঠীর বসবাস। ফারুক পাড়ার নিক্কি বম, লিমা বমসহ কয়েকজন বলেন, একটি থামি তৈরি করতে ৪ থেকে ৫ দিন লাগে। ভালো মানের একটি থামি তৈরিতে ৭ দিন পর্যন্ত লাগে। তৈরি করা থামি দেড় থেকে দুই হাজার টাকা বিক্রি করেন।
মুমু বম জানান, পাহাড়ি (শিমুল) তুলা থেকে চরকার মাধ্যমে সুতা তৈরি করা হয়। সেই সুতায় নানা ধরনের রং লাগানো হয়। পরে বাহারি সুতা দিয়ে কোমর তাঁতে কাপড় বোনা হয়।
সদর উপজেলার উজানীপাড়ার মারমা তরুণী পুইশাং প্রু বলেন, সুতা কেনায় খরচ হয় প্রায় তিন হাজার টাকা। বিক্রি করেন, ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকায়। প্রতি মাসে তাঁদের আয় হয় ৭ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা।
জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আতিয়া ইসলাম জানান, বান্দরবানে বম জনগোষ্ঠী ছাড়াও মারমা, লুসাই, পাংখোয়া, চাক খেয়াং, ম্রো, তঞ্চঙ্গ্যা, মারমা, ত্রিপুরা নারীরা কোমর তাঁতে কাপড় বুনেন। তাঁদের মহিলা অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
বিসিক বান্দরবানের ভারপ্রাপ্ত উপব্যবস্থাপক হাসান আসিফ চৌধুরী বলেন, কোমর তাঁত পাহাড়িদের প্রাচীন পেশা। কোমর তাঁতের ওপর অনেক পরিবার নির্ভরশীল। দক্ষতা ও যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে তাঁত উদ্যোক্তারা চাইলে বিসিক থেকে অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।
বান্দরবানে বড় কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান নেই। কৃষিকাজই এখানকার মানুষের প্রধান জীবিকা। পাহাড়ি নারীরা ঘরের কাজের পাশাপাশি কৃষিকাজ করেন। তা ছাড়া কোমর তাঁতে কাপড় বোনেন। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাজার বিক্রি করেন। এতে স্বাবলম্বী হচ্ছেন পাহাড়ি এই নারীরা।
বান্দরবানে ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের বসবাস। জেলা কুটির শিল্প সংস্থার তথ্যমতে, জেলায় প্রায় ১০ হাজার পাহাড়ি নারী কোমর তাঁতে কাপড় তৈরির সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের কাজে বিসিক সহযোগিতা দিয়ে থাকে। আবার বিসিকের একটি বিক্রি কেন্দ্রও রয়েছে।
বাঁশ ও বাঁশের কাঠি দিয়ে বিশেষ কায়দায় কোমরের সঙ্গে বেঁধে তাঁতে কাপড় বুনে বলে এটিকে কোমর তাঁত বলা হয়। বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্র শৈলপ্রপাত, মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র এলাকায় এখন অসংখ্য দোকান গড়ে উঠেছে। সেগুলোতে পাহাড়ি নারীদের কোমর তাঁতে বুনা কম্বল, শাল, থামি (নারীদের পরিধেয় বিশেষ বস্ত্র), ওড়না, রুমা, গামছা, চাদর, মাফলার ও জামা কাপড় বিক্রি হয়। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকাতেও সরবরাহ করা হয়।
বিশেষ করে বম জনগোষ্ঠীর নারীরা কোমর তাঁতে অত্যন্ত পারদর্শী। তাঁরা বাজার থেকে উল এবং পাহাড়ি তুলা থেকে সুতা সংগ্রহ করে ঘরে বসেই কোমর তাঁতে কাপড় বুনছেন।
বান্দরবান সদরের পর্যটন কেন্দ্র শৈলপ্রপাত এলাকায় বম নারীরা কোমর তাঁতে তৈরি বিভিন্ন বস্ত্র বিক্রি করে আসছেন। সম্প্রতি শৈলপ্রপাত এলাকা খ্রিষ্টীয় চার্চ সমিতির পক্ষ থেকে স্থায়ীভাবে কয়েকটি শেড নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। রোববার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন সেখানে বম নারীরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁদের তৈরি পণ্য বিক্রি করছেন।
কয়েকজন নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গৃহস্থালি ও পাহাড়ে জুমচাষ করেও তাঁরা ঘরে কোমর তাঁতে কাপড় বোনেন। প্রতি মাসে একজন নারী ৯-১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করছেন।
জানা গেছে, পাহাড়ি এলাকায় উৎপাদিত তুলা থেকে চরকার মাধ্যমে সুতা তৈরি করা হয়। সে সুতা দিয়ে পিনন ও থামির কাজ করা হয়। তবে বর্তমানে পাহাড়ি তুলার উৎপাদন কমে গেছে। তাই নারীরা বাজার থেকে সুতা ও উল কিনে কাপড় বুনছেন।
সদর উপজেলার লাইমী পাড়া, ফারুক পাড়া, শৈলপ্রপাত এলাকা বম জনগোষ্ঠীর বসবাস। ফারুক পাড়ার নিক্কি বম, লিমা বমসহ কয়েকজন বলেন, একটি থামি তৈরি করতে ৪ থেকে ৫ দিন লাগে। ভালো মানের একটি থামি তৈরিতে ৭ দিন পর্যন্ত লাগে। তৈরি করা থামি দেড় থেকে দুই হাজার টাকা বিক্রি করেন।
মুমু বম জানান, পাহাড়ি (শিমুল) তুলা থেকে চরকার মাধ্যমে সুতা তৈরি করা হয়। সেই সুতায় নানা ধরনের রং লাগানো হয়। পরে বাহারি সুতা দিয়ে কোমর তাঁতে কাপড় বোনা হয়।
সদর উপজেলার উজানীপাড়ার মারমা তরুণী পুইশাং প্রু বলেন, সুতা কেনায় খরচ হয় প্রায় তিন হাজার টাকা। বিক্রি করেন, ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকায়। প্রতি মাসে তাঁদের আয় হয় ৭ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা।
জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আতিয়া ইসলাম জানান, বান্দরবানে বম জনগোষ্ঠী ছাড়াও মারমা, লুসাই, পাংখোয়া, চাক খেয়াং, ম্রো, তঞ্চঙ্গ্যা, মারমা, ত্রিপুরা নারীরা কোমর তাঁতে কাপড় বুনেন। তাঁদের মহিলা অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
বিসিক বান্দরবানের ভারপ্রাপ্ত উপব্যবস্থাপক হাসান আসিফ চৌধুরী বলেন, কোমর তাঁত পাহাড়িদের প্রাচীন পেশা। কোমর তাঁতের ওপর অনেক পরিবার নির্ভরশীল। দক্ষতা ও যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে তাঁত উদ্যোক্তারা চাইলে বিসিক থেকে অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫