মো. গোলাম মোস্তফা, পূর্বধলা (নেত্রকোনা)
নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা সদরের অধিকাংশ রাস্তা বেহাল। রাস্তাগুলোর কোথাও কার্পেটিং ওঠে গেছে। কোথাও সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। উপজেলার বাসিন্দারা পথ চলতে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। উপজেলা প্রশাসন বলছে, বাজারের প্রধান সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের। সেটি আরসিসি পাকাকরণের জন্য সওজ বিভাগ প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদের অন্য রাস্তাগুলো উন্নয়নের পরিকল্পনা আছে। শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে।
জানা গেছে, পূর্বধলা শহরের মধ্যবাজার, জামতলা, থানা রোড, স্টেশন বাজার, স্টেশন রোড, বালিকা বিদ্যালয় রোড, মঙ্গলবাড়িয়া থেকে আওয়াল আকন্দের বাড়ি পর্যন্ত এবং ইকরা স্কুল রোডের অবস্থা খুবই নাজুক। এসব রাস্তার কোনোটাতেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। সড়কগুলোর কার্পেটিং উঠে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই পানি জমে। তখন পথচারীদের যাতায়াত করাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। ভারী বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় পুরো উপজেলা সদরের সরকারি দপ্তরসহ বাসাবাড়িতে পানি উঠে যায়। বাজারের প্রধান সড়কটির পুনর্নির্মাণকাজ দুই বছর আগে শুরু হয়। কিন্তু স্থানীয় লোকজন আরসিসি ঢালাইয়ের দাবি জানালে, কাজটি বন্ধ হয়ে যায়।
পানি জমে থাকা এসব রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে গর্তে আটকে কাদাপানিতে ভিজতে হয়। হালকা ও বড় যানবাহন চলাচলের সময় পানি উপচে ও ছিটে গিয়ে পথচারীর গায়েসহ দোকানে গিয়ে পড়ে। তা ছাড়া, পথচারীদের কাদাপানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে মহিলাদের পড়তে হয় চরম বিড়ম্বনায়।
গাড়ি আটকে গিয়ে সৃষ্টি হয় যানজটের। প্রায়ই ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনা। বাজারের ব্যবসায়ীরাসহ বিভিন্ন পণ্যের ক্রেতা-বিক্রেতারা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এ ছাড়া বাজারের কোনো গলির রাস্তায় নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা।
বাজারের রৌশনারা রোড ও বালিকা বিদ্যালয় রোডের আবাসিক বাসাবাড়িতে গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত ময়লা ও দুর্গন্ধময় পানি রাস্তার ওপর দিয়ে নিষ্কাশন হয়। এতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। আর পাথচারীদের এই ময়লা পানি মাড়িয়েই চলাচল করতে হয়।
পূর্বধলা বাজারের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, সামান্য বৃষ্টিতেই বাজারের প্রধান সড়কটি পানি ও কাদায় একাকার হয়ে পড়ে। রাস্তায় কাদার কারণে দোকানে ক্রেতাদের আসতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।
পূর্বধলা বালিকা বিদ্যালয় রোড এলাকার বাসিন্দা এমদাদুল হক বাবুল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা সদরের রাস্তাঘাটের তেমন কোনো উন্নয়ন বা সংস্কার হয়নি।
পূর্বধলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল বলেন, উপজেলা সদরের সড়কগুলোর এমন নাজুক অবস্থার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী সাদিকুল জাহান রিদান বলেন, স্টেশন থেকে বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের। এটির বাজার অংশে আরসিসি ঢালাইসহ পুনর্নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করেছে। এ ছাড়া বাকি রাস্তাগুলো উপজেলা পরিষদের। সেগুলো পর্যায়ক্রমে সংস্কারের পরিকল্পনা রয়েছে।
পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, বাজারের প্রধান সড়কটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের। সেটি আরসিসি পাকাকরণের জন্য সওজ বিভাগ প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদের অন্য রাস্তাগুলো উন্নয়নের পরিকল্পনা আছে।
পূর্বধলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন বলেন, উপজেলা সদরে পৌরসভা নেই। তাই পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রেখেই রাস্তার দুই পাশসহ প্রতিটি এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে। এতে পানিনিষ্কাশনে বিঘ্ন ঘটছে।
নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা সদরের অধিকাংশ রাস্তা বেহাল। রাস্তাগুলোর কোথাও কার্পেটিং ওঠে গেছে। কোথাও সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। উপজেলার বাসিন্দারা পথ চলতে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। উপজেলা প্রশাসন বলছে, বাজারের প্রধান সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের। সেটি আরসিসি পাকাকরণের জন্য সওজ বিভাগ প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদের অন্য রাস্তাগুলো উন্নয়নের পরিকল্পনা আছে। শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে।
জানা গেছে, পূর্বধলা শহরের মধ্যবাজার, জামতলা, থানা রোড, স্টেশন বাজার, স্টেশন রোড, বালিকা বিদ্যালয় রোড, মঙ্গলবাড়িয়া থেকে আওয়াল আকন্দের বাড়ি পর্যন্ত এবং ইকরা স্কুল রোডের অবস্থা খুবই নাজুক। এসব রাস্তার কোনোটাতেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। সড়কগুলোর কার্পেটিং উঠে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই পানি জমে। তখন পথচারীদের যাতায়াত করাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। ভারী বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় পুরো উপজেলা সদরের সরকারি দপ্তরসহ বাসাবাড়িতে পানি উঠে যায়। বাজারের প্রধান সড়কটির পুনর্নির্মাণকাজ দুই বছর আগে শুরু হয়। কিন্তু স্থানীয় লোকজন আরসিসি ঢালাইয়ের দাবি জানালে, কাজটি বন্ধ হয়ে যায়।
পানি জমে থাকা এসব রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে গর্তে আটকে কাদাপানিতে ভিজতে হয়। হালকা ও বড় যানবাহন চলাচলের সময় পানি উপচে ও ছিটে গিয়ে পথচারীর গায়েসহ দোকানে গিয়ে পড়ে। তা ছাড়া, পথচারীদের কাদাপানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে মহিলাদের পড়তে হয় চরম বিড়ম্বনায়।
গাড়ি আটকে গিয়ে সৃষ্টি হয় যানজটের। প্রায়ই ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনা। বাজারের ব্যবসায়ীরাসহ বিভিন্ন পণ্যের ক্রেতা-বিক্রেতারা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এ ছাড়া বাজারের কোনো গলির রাস্তায় নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা।
বাজারের রৌশনারা রোড ও বালিকা বিদ্যালয় রোডের আবাসিক বাসাবাড়িতে গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত ময়লা ও দুর্গন্ধময় পানি রাস্তার ওপর দিয়ে নিষ্কাশন হয়। এতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। আর পাথচারীদের এই ময়লা পানি মাড়িয়েই চলাচল করতে হয়।
পূর্বধলা বাজারের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, সামান্য বৃষ্টিতেই বাজারের প্রধান সড়কটি পানি ও কাদায় একাকার হয়ে পড়ে। রাস্তায় কাদার কারণে দোকানে ক্রেতাদের আসতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।
পূর্বধলা বালিকা বিদ্যালয় রোড এলাকার বাসিন্দা এমদাদুল হক বাবুল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা সদরের রাস্তাঘাটের তেমন কোনো উন্নয়ন বা সংস্কার হয়নি।
পূর্বধলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল বলেন, উপজেলা সদরের সড়কগুলোর এমন নাজুক অবস্থার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী সাদিকুল জাহান রিদান বলেন, স্টেশন থেকে বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের। এটির বাজার অংশে আরসিসি ঢালাইসহ পুনর্নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করেছে। এ ছাড়া বাকি রাস্তাগুলো উপজেলা পরিষদের। সেগুলো পর্যায়ক্রমে সংস্কারের পরিকল্পনা রয়েছে।
পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, বাজারের প্রধান সড়কটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের। সেটি আরসিসি পাকাকরণের জন্য সওজ বিভাগ প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদের অন্য রাস্তাগুলো উন্নয়নের পরিকল্পনা আছে।
পূর্বধলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন বলেন, উপজেলা সদরে পৌরসভা নেই। তাই পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রেখেই রাস্তার দুই পাশসহ প্রতিটি এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে। এতে পানিনিষ্কাশনে বিঘ্ন ঘটছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৫ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪