সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার সারিয়াকান্দির চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা বিভিন্ন সময় ভাঙনে যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এসব এলাকার বাসিন্দারা তাঁদের বাড়িঘর নিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। ফলে সাতটি ওয়ার্ডে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ভোটার এলাকা পুনর্বিন্যাসের আবেদন জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যরা বলছেন, বাইরের এলাকা থেকে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসতে চান না। নিজ এলাকার বাইরে গিয়ে প্রচার চালাতে হবে।
ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডটি ফাজিলপুর গ্রামের ভোটারদের নিয়ে গঠিত। এ গ্রামটি ২০১৬ সালে নদীভাঙনে সম্পূর্ণ বিলীন হয়। ওয়ার্ডটির মোট ভোটার ৫৫০ জন। নদীভাঙনের শিকার ভোটারেরা এখন গাইবান্ধা জেলার সাঁঘাটা, গাইবান্ধা সদর ও জুমারবাড়ীতে থাকেন।
এলাকাটির ইউপি সদস্য আব্দুল হাই বলেন, ‘আসছে ইউপি নির্বাচনের প্রচার আমার বাইরের জেলায় চালাতে হবে, সেখানেই মাইকিং করে ভোটপ্রার্থনা করতে হবে।’
চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের ভোটার মজিবর মইমুদ্দিন বেপারির স্ত্রী বাছিরন বেগম বর্তমানে গাইবান্ধা জেলার সাঁঘাটার কাটুরি গ্রামে বাস করছেন। নানা কাজে এখনো চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নে যেতে হয় তাঁকে। তিনি বলেন, ‘এতদূর থেকে ভোট দিতে যাওয়াটাও ঝামেলা মনে করছি। নতুন করে ভোটার এলাকা নির্ধারণ আমাদের প্রাণের দাবি।’
২ নম্বর ওয়ার্ডটি বওলাডাঙ্গা গ্রামের ভোটারদের নিয়ে গঠিত। ২০১৭ সালে যমুনাগর্ভে সম্পূর্ণ বিলীন হয় গ্রামটি। সেখানকার ভোটাররা শেরপুরের নয়মাইল, পানিতলা ও দাড়িদহ এলাকায় বাড়িঘর করেছেন।
ইউনিয়নের আউচারপাড়া, চর চালুয়াবাড়ী ও সুজালীপাড়ার ভোটারদের নিয়ে গঠিত হয়েছে ৩ নম্বর ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ১০০ জন। এঁদের মধ্যে ৭০০ জন পার্শ্ববর্তী সোনাতলা উপজেলায় এবং শেরপুর পানিতলায় বসতবাড়ি গড়ে তুলেছেন।
শিমুলতলা, ভাঙ্গরগাছা ও তেলিগাড়ী গ্রামের ভোটারদের নিয়ে ৪ নম্বর ওয়ার্ড গঠিত। এর মধ্যে ভাঙ্গরগাছা ২০১৯ সালে, তেলিগাড়ী ২০১৭ সালে ভাঙনে সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হয়। শিমুলতলা গ্রামেরও আংশিক নদীতে বিলীন হয়েছে। ওয়ার্ডটির ৫০০ জন সোনাতলা উপজেলার সুখানপুকুর এবং কলেজ স্টেশন এলাকায় বসতবাড়ি গড়ে তুলেছেন।
ইউনিয়নের চরদলিকা এবং হাটবাড়ী চরের বাসিন্দাদের নিয়ে ৬ নম্বর ওয়ার্ডটি গঠিত। ২০১৮ সাল থেকে ভাঙন শুরু হয়ে চরদলিকা চরটি বর্তমানে সম্পূর্ণ নদীগর্ভে চলে গেছে। গত ও চলতি বছর যমুনা নদীতে হাটবাড়ী চরেরও আংশিক নদীগর্ভে চলে গেছে। এসব এলাকার বাসিন্দারা এখন জামালপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় বসতভিটা গড়ে তুলেছেন।
এ ছাড়া ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মানিকদাইড় চরের আংশিক এলাকাবাসী জামালপুরের মাদারগঞ্জ এলাকায় বসতি গড়ে তুলেছেন। স্থানীয় চালুয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী জানান, ভোটকেন্দ্রের সীমানা পুনর্বিন্যাসের জন্য এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেছেন।
সারিয়াকান্দি উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, এ বিষয়ে এলাকাবাসীর আবেদনপত্র মোতাবেক বিষয়টির সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বগুড়ার সারিয়াকান্দির চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা বিভিন্ন সময় ভাঙনে যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এসব এলাকার বাসিন্দারা তাঁদের বাড়িঘর নিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। ফলে সাতটি ওয়ার্ডে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ভোটার এলাকা পুনর্বিন্যাসের আবেদন জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যরা বলছেন, বাইরের এলাকা থেকে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসতে চান না। নিজ এলাকার বাইরে গিয়ে প্রচার চালাতে হবে।
ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডটি ফাজিলপুর গ্রামের ভোটারদের নিয়ে গঠিত। এ গ্রামটি ২০১৬ সালে নদীভাঙনে সম্পূর্ণ বিলীন হয়। ওয়ার্ডটির মোট ভোটার ৫৫০ জন। নদীভাঙনের শিকার ভোটারেরা এখন গাইবান্ধা জেলার সাঁঘাটা, গাইবান্ধা সদর ও জুমারবাড়ীতে থাকেন।
এলাকাটির ইউপি সদস্য আব্দুল হাই বলেন, ‘আসছে ইউপি নির্বাচনের প্রচার আমার বাইরের জেলায় চালাতে হবে, সেখানেই মাইকিং করে ভোটপ্রার্থনা করতে হবে।’
চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের ভোটার মজিবর মইমুদ্দিন বেপারির স্ত্রী বাছিরন বেগম বর্তমানে গাইবান্ধা জেলার সাঁঘাটার কাটুরি গ্রামে বাস করছেন। নানা কাজে এখনো চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নে যেতে হয় তাঁকে। তিনি বলেন, ‘এতদূর থেকে ভোট দিতে যাওয়াটাও ঝামেলা মনে করছি। নতুন করে ভোটার এলাকা নির্ধারণ আমাদের প্রাণের দাবি।’
২ নম্বর ওয়ার্ডটি বওলাডাঙ্গা গ্রামের ভোটারদের নিয়ে গঠিত। ২০১৭ সালে যমুনাগর্ভে সম্পূর্ণ বিলীন হয় গ্রামটি। সেখানকার ভোটাররা শেরপুরের নয়মাইল, পানিতলা ও দাড়িদহ এলাকায় বাড়িঘর করেছেন।
ইউনিয়নের আউচারপাড়া, চর চালুয়াবাড়ী ও সুজালীপাড়ার ভোটারদের নিয়ে গঠিত হয়েছে ৩ নম্বর ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ১০০ জন। এঁদের মধ্যে ৭০০ জন পার্শ্ববর্তী সোনাতলা উপজেলায় এবং শেরপুর পানিতলায় বসতবাড়ি গড়ে তুলেছেন।
শিমুলতলা, ভাঙ্গরগাছা ও তেলিগাড়ী গ্রামের ভোটারদের নিয়ে ৪ নম্বর ওয়ার্ড গঠিত। এর মধ্যে ভাঙ্গরগাছা ২০১৯ সালে, তেলিগাড়ী ২০১৭ সালে ভাঙনে সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হয়। শিমুলতলা গ্রামেরও আংশিক নদীতে বিলীন হয়েছে। ওয়ার্ডটির ৫০০ জন সোনাতলা উপজেলার সুখানপুকুর এবং কলেজ স্টেশন এলাকায় বসতবাড়ি গড়ে তুলেছেন।
ইউনিয়নের চরদলিকা এবং হাটবাড়ী চরের বাসিন্দাদের নিয়ে ৬ নম্বর ওয়ার্ডটি গঠিত। ২০১৮ সাল থেকে ভাঙন শুরু হয়ে চরদলিকা চরটি বর্তমানে সম্পূর্ণ নদীগর্ভে চলে গেছে। গত ও চলতি বছর যমুনা নদীতে হাটবাড়ী চরেরও আংশিক নদীগর্ভে চলে গেছে। এসব এলাকার বাসিন্দারা এখন জামালপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় বসতভিটা গড়ে তুলেছেন।
এ ছাড়া ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মানিকদাইড় চরের আংশিক এলাকাবাসী জামালপুরের মাদারগঞ্জ এলাকায় বসতি গড়ে তুলেছেন। স্থানীয় চালুয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী জানান, ভোটকেন্দ্রের সীমানা পুনর্বিন্যাসের জন্য এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেছেন।
সারিয়াকান্দি উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, এ বিষয়ে এলাকাবাসীর আবেদনপত্র মোতাবেক বিষয়টির সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪