ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় যমুনা নদীর বামতীর রক্ষা প্রকল্প বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কে তীরের বাসিন্দারা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ শুরু করা হয়েছে। আগের দিন বুধবার দুপুরে তীর রক্ষা বাঁধে ভাঙন শুরু হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে বলা হয়েছে, যমুনার বামতীর রক্ষা প্রকল্প বাঁধের ৩০ মিটার ড্যামেজ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অংশে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কের কিছু নেই। বাঁধ রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, যমুনার ভাঙন প্রতিরোধে জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ফুটানীবাজার থেকে সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা পর্যন্ত তিনটি পয়েন্টে ৪৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬ দশমিক ৫৫ কিলোমিটার যমুনার বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ২০১০ সালে শুরু হয়ে ২০১৭ সালে বাঁধ নির্মাণ শেষ হয়।
এর মধ্যে ইসলামপুরের কুলকান্দী হার্ড পয়েন্ট থেকে গুঠাইল হার্ড পয়েন্টের আড়াই কিলোমিটারের জন্য ৯০ কোটি টাকার ব্যয়ে যমুনার বাম তীররক্ষা প্রকল্প নামে ১টি তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ২০১৮ সালে বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করে ২০২০ সালের জুন মাসে শেষ করা হয়।
বাঁধ এলাকা বাসিন্দারা বলেন, বাঁধ নির্মাণ করায় পার্থশী, বেলগাছা, চিনাডুলী ও কুলকান্দী ইউনিয়নসহ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বাঁধের কাজ নিম্নমানের হওয়ায় নির্মাণের এক বছরেই বাঁধে সিসি ব্লক ধসে পড়ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কুলকান্দী হার্ড পয়েন্টে মিয়াপাড়া পাইলিংঘাট এলাকায় বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে বাঁধের অন্তত ২৫ থেকে ৩০ মিটার অংশ যমুনায় ধসে গেছে। বাঁধের সিসি ব্লক ধসে পড়ছে। হুমকির মুখে পড়েছে কুলকান্দী বাজার, শামছুন্নাহার উচ্চবিদ্যালয়, দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চারটি মসজিদ, বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। ধস ঠেকাতে জামালপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ শুরু করা হয়েছে।
এর আগে গত ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে কুলকান্দী হার্ড পয়েন্ট থেকে গুঠাইল হার্ড পয়েন্টের মাঝামাঝি পুরাতন পাইলিংঘাট এলাকায় বাঁধের অন্তত ৯০ মিটার অংশ যমুনার গর্ভে ধসে যায়। বাঁধের সিসি ব্লক ধসে পড়ে। ধস ঠেকাতে জামালপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ করে।
স্থানীয় বাসিন্দা লাভলু সরদার বলেন, ‘গত বুধবার বিকাল থেকে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যমুনায় পানি বাড়ার কারণে পানির চাপে বাঁধে ভাঙন দেখা দিতে পারে। ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে বাঁধ এলাকায় ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হবে।’
বাঁধ এলাকার আল-আমীন, আফজাল হোসেন, সুজন ও মিজানসহ অনেকেই বলেন, ‘নিম্নমানের কাজ হওয়ায় নির্মাণের এক বছরেই বাঁধ ধসে পড়ছে।
কুলকান্দী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক বাবু জানান, ‘’যমুনার পানি বৃদ্ধি হওয়ায় পানির প্রবল চাপ সৃষ্টি হয়। এতে বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মু. তানভীর হাসান রুমান বলেন, ‘বাঁধে ধস দেখার বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। বাঁধের ধস ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হবে।’
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ বলেন, ‘যমুনার বাম তীর রক্ষা প্রকল্প বাঁধের ৩০ মিটার ড্যামেজ হয়েছে। আমি বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেছি। বাঁধের ধস ঠেকাতে ক্ষতিগ্রস্ত অংশে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ শুরু করা হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কের কিছু নেই। আমরা বাঁধ রক্ষায় তৎপর রয়েছি। সার্ভে করে বাঁধ রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় যমুনা নদীর বামতীর রক্ষা প্রকল্প বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কে তীরের বাসিন্দারা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ শুরু করা হয়েছে। আগের দিন বুধবার দুপুরে তীর রক্ষা বাঁধে ভাঙন শুরু হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে বলা হয়েছে, যমুনার বামতীর রক্ষা প্রকল্প বাঁধের ৩০ মিটার ড্যামেজ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অংশে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কের কিছু নেই। বাঁধ রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, যমুনার ভাঙন প্রতিরোধে জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ফুটানীবাজার থেকে সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা পর্যন্ত তিনটি পয়েন্টে ৪৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬ দশমিক ৫৫ কিলোমিটার যমুনার বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ২০১০ সালে শুরু হয়ে ২০১৭ সালে বাঁধ নির্মাণ শেষ হয়।
এর মধ্যে ইসলামপুরের কুলকান্দী হার্ড পয়েন্ট থেকে গুঠাইল হার্ড পয়েন্টের আড়াই কিলোমিটারের জন্য ৯০ কোটি টাকার ব্যয়ে যমুনার বাম তীররক্ষা প্রকল্প নামে ১টি তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ২০১৮ সালে বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করে ২০২০ সালের জুন মাসে শেষ করা হয়।
বাঁধ এলাকা বাসিন্দারা বলেন, বাঁধ নির্মাণ করায় পার্থশী, বেলগাছা, চিনাডুলী ও কুলকান্দী ইউনিয়নসহ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বাঁধের কাজ নিম্নমানের হওয়ায় নির্মাণের এক বছরেই বাঁধে সিসি ব্লক ধসে পড়ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কুলকান্দী হার্ড পয়েন্টে মিয়াপাড়া পাইলিংঘাট এলাকায় বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে বাঁধের অন্তত ২৫ থেকে ৩০ মিটার অংশ যমুনায় ধসে গেছে। বাঁধের সিসি ব্লক ধসে পড়ছে। হুমকির মুখে পড়েছে কুলকান্দী বাজার, শামছুন্নাহার উচ্চবিদ্যালয়, দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চারটি মসজিদ, বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। ধস ঠেকাতে জামালপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ শুরু করা হয়েছে।
এর আগে গত ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে কুলকান্দী হার্ড পয়েন্ট থেকে গুঠাইল হার্ড পয়েন্টের মাঝামাঝি পুরাতন পাইলিংঘাট এলাকায় বাঁধের অন্তত ৯০ মিটার অংশ যমুনার গর্ভে ধসে যায়। বাঁধের সিসি ব্লক ধসে পড়ে। ধস ঠেকাতে জামালপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ করে।
স্থানীয় বাসিন্দা লাভলু সরদার বলেন, ‘গত বুধবার বিকাল থেকে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যমুনায় পানি বাড়ার কারণে পানির চাপে বাঁধে ভাঙন দেখা দিতে পারে। ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে বাঁধ এলাকায় ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হবে।’
বাঁধ এলাকার আল-আমীন, আফজাল হোসেন, সুজন ও মিজানসহ অনেকেই বলেন, ‘নিম্নমানের কাজ হওয়ায় নির্মাণের এক বছরেই বাঁধ ধসে পড়ছে।
কুলকান্দী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক বাবু জানান, ‘’যমুনার পানি বৃদ্ধি হওয়ায় পানির প্রবল চাপ সৃষ্টি হয়। এতে বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মু. তানভীর হাসান রুমান বলেন, ‘বাঁধে ধস দেখার বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। বাঁধের ধস ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হবে।’
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ বলেন, ‘যমুনার বাম তীর রক্ষা প্রকল্প বাঁধের ৩০ মিটার ড্যামেজ হয়েছে। আমি বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেছি। বাঁধের ধস ঠেকাতে ক্ষতিগ্রস্ত অংশে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ শুরু করা হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কের কিছু নেই। আমরা বাঁধ রক্ষায় তৎপর রয়েছি। সার্ভে করে বাঁধ রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪