Ajker Patrika

অবশেষে বৃষ্টি, কৃষকের স্বস্তি

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২২, ১৩: ৫৫
অবশেষে বৃষ্টি, কৃষকের স্বস্তি

বৃষ্টিপাত না হওয়ায় জমিতে আমনের চারা রোপণ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন কৃষক। অনেকে সেচযন্ত্র চালু করে আমন রোপণ শুরু করেন। কৃষি অফিস থেকেও সেচযন্ত্র চালু করতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রংপুর, দিনাজপুরসহ কিছু অঞ্চলে বৃষ্টির দেখা মেলে। এতে কৃষকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মো. খালেদুর রহমান বলেন, জেলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ শতাংশ জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছে। বর্তমানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ভালো হওয়ায় ৮-১০ দিনের মধ্যে অধিকাংশ ধানের চারা রোপণ শেষ হবে। তিনি আরও বলেন, আমন মৌসুম পুরোটাই প্রকৃতিনির্ভর। এ বছর কম বৃষ্টিপাতের কারণে অনেক কৃষক সম্পূরক সেচের মাধ্যমে জমিতে চারা লাগিয়েছেন। স্বভাবতই তাঁদের খরচ কিছুটা বেশি হবে। তবে তাঁরা পরবর্তী ফসল লাগানোর ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর জেলার আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৬০ হাজার ৮২৪ হেক্টর। আর জেলায় গত শনিবার পর্যন্ত ধানের চারা রোপণ হয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৫০ শতাংশ। এর মধ্যে আবার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সেচের মাধ্যমে রোপণ করা হয়েছে। গত ২৮ জুলাই পর্যন্ত আমন ধানের জমিতে সম্পূরক সেচ দেওয়া হয়েছে ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে। গত বছর আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৬০ হাজার ৩২৫ হেক্টর, আর আবাদ হয়েছিল ২ লাখ ৬০ হাজার ৮২৫ হেক্টর। এ ছাড়া এ বছর হাইব্রিড ১০ হাজার ২২৭ হেক্টর, উফশী ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯৫ হেক্টর, আর ২ হাজার ৪০২ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের আমন লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

সরেজমিন দেখা যায়, মেঘলা আকাশ আর বর্ষণ কৃষকের মনে স্বস্তি এনে দিয়েছে। তাঁরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন জমি তৈরি, চাষাবাদ আর জমিতে চারা রোপণের কাজে। কৃষকেরা জানান, তাঁরা অনেকেই বৃষ্টির অপেক্ষায় দেরি করেও কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা না পেয়ে মেশিনের সাহায্যে পানি দিয়ে জমিতে চারা লাগিয়েছেন। আবার অনেকে বৃষ্টির পর জমিতে চারা রোপণ করছেন। দেরিতে বৃষ্টি হওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সবাই একযোগে চারা লাগানোর কারণে শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে। শ্রমিকের পাশাপাশি অনেকে নিজেরাই লেগে গেছেন কাজে।

তাঁরা আরও জানান, আমন চাষ পুরোপুরি বৃষ্টিনির্ভর হলেও এবার যে পরিস্থিতি, তাতে পরবর্তী সময় আবারও সেচের প্রয়োজন হতে পারে। আর এভাবে তাঁদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। খরচ অনুপাতে দাম পাবেন কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে তাঁদের।

সদর উপজেলার কিষান বাজার এলাকার কৃষক আবদুল কাদের বলেন, চলতি মৌসুমে তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। বৃষ্টিপাত দেরিতে হওয়ায় কিছুটা সমস্যা হয়েছে। আর কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ফলনও বেশ ভালো হবে।

এদিকে, দিনাজপুর জেলা আবহাওয়া অফিসের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে রংপুর বিভাগের ওপর একটি বৃষ্টির বলয় বিরাজমান হয়। যার ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় দিনাজপুরে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা ৮২ মিলিমিটার। ৩ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই রংপুর বিভাগের প্রায় সব জেলায় কম-বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে এ বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত