কথাটি নতুন নয়, বহুবার এ বাক্যটি বহু উপলক্ষে ব্যবহৃত হয়েছে। সরকারের মালিকানাধীন কোনো কিছু ব্যবহারে নয়ছয় হলে বলা হয়ে থাকে, ‘সরকার কা মাল, দরিয়া মে ঢাল,’ অর্থাৎ সরকারি জিনিস নদীতে বা পানিতে ফেলে দাও।
প্রকৃতপক্ষে সরকারের মালিকানা যেসব জিনিসের, সেগুলো জনগণেরই সম্পদ। দেশের মালিক তো জনগণ। জনগণের পক্ষ থেকে সরকার এগুলোর দেখভাল করে মাত্র। কিন্তু জনগণের মধ্যে এই মালিকানার অধিকারবোধ না থাকায় সবকিছুরই মালিক বানিয়ে দেওয়া হয় সরকারকে। আর সরকারি মালিকানা মানেই ওটা যাচ্ছেতাইভাবে ব্যবহার বা অপব্যবহার হতে পারে!
কথাটি আবার মনে পড়ল আজকের পত্রিকায় রোববার প্রকাশিত একটি খবর দেখে। ‘পারকি সৈকতে ভাসছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের গাড়ি’ শিরোনামের খবরটি থেকে জানা যাচ্ছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পটিয়া অফিসের ১২ কর্মকর্তা দুটি গাড়ি (ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-১৩৩৩ ও ঢাকা ল-৭৮) নিয়ে ভ্রমণের জন্য পারকি সমুদ্রসৈকতে যান। সৈকতে নামার পর জিপ গাড়িটি (ঢাকা-ল ৭৮) বালুতে আটকে যায়। পরে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় গাড়িটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার না করায় পানিতে ভাসছে সরকারি এই গাড়ি। গাড়ির সামনে ‘জরুরি তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকাজে নিয়োজিত’—বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের স্টিকার লাগানো থাকলেও এটা এখন স্পষ্ট যে আসলে সমুদ্রসৈকতে বেড়ানো ছাড়া ওই ১২ জনের আর কোনো জরুরি কাজ ছিল না। সৈকতের চরে গাড়ি নামানো নিষেধ হলেও ওই ভ্রমণবিলাসীরা এর তোয়াক্কা করেননি।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, গাড়ির যাত্রীদের দেখে মদ্যপ মনে হয়েছে। অন্যদিকে, কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন বলেছেন, ‘পারকি সমুদ্রসৈকতের চরে গাড়ি আটকে যাওয়ার ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’
কী দেখা হচ্ছে, তা সম্ভবত আর জানা যাবে না। বছর তিনেক আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, সরকারের কর্মকর্তাদের মন মানসিকতায় একটি পরিবর্তন এসেছে। এখন আর সরকারের মাল দরিয়ায় ঢালার মতো অবস্থা নেই।
তিনি এটাও বলেছিলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর থেকে এ পর্যন্ত আমি যেটা লক্ষ করেছি, সবক্ষেত্রে আমাদের যাঁরা প্রশাসনে আছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে আছেন অথবা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীতে আছেন, সবার ভেতরে কিন্তু এই পরিবর্তনটা এসেছে। সবাই কিন্তু আমাদের দেশের কাজগুলো, যেগুলো জাতির জন্য, যেগুলো মঙ্গলের জন্য, জনগণের জন্য, সেই কাজগুলোকে ওউন করেছেন; অর্থাৎ আপন বলে গ্রহণ বা দায়িত্ব বলে গ্রহণ করেই তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।’
কিন্তু জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের গাড়ি সৈকতে ভাসতে দেখার পরও কি বলা যাবে, সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের সবাই দেশে সেবামূলক প্রশাসন গড়ে তোলার দায়িত্বটি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করছেন?
সরকারি চাকরিজীবীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে না পারলে যে লাউ সেই কদুর অবস্থা চলতেই থাকবে।
কথাটি নতুন নয়, বহুবার এ বাক্যটি বহু উপলক্ষে ব্যবহৃত হয়েছে। সরকারের মালিকানাধীন কোনো কিছু ব্যবহারে নয়ছয় হলে বলা হয়ে থাকে, ‘সরকার কা মাল, দরিয়া মে ঢাল,’ অর্থাৎ সরকারি জিনিস নদীতে বা পানিতে ফেলে দাও।
প্রকৃতপক্ষে সরকারের মালিকানা যেসব জিনিসের, সেগুলো জনগণেরই সম্পদ। দেশের মালিক তো জনগণ। জনগণের পক্ষ থেকে সরকার এগুলোর দেখভাল করে মাত্র। কিন্তু জনগণের মধ্যে এই মালিকানার অধিকারবোধ না থাকায় সবকিছুরই মালিক বানিয়ে দেওয়া হয় সরকারকে। আর সরকারি মালিকানা মানেই ওটা যাচ্ছেতাইভাবে ব্যবহার বা অপব্যবহার হতে পারে!
কথাটি আবার মনে পড়ল আজকের পত্রিকায় রোববার প্রকাশিত একটি খবর দেখে। ‘পারকি সৈকতে ভাসছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের গাড়ি’ শিরোনামের খবরটি থেকে জানা যাচ্ছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পটিয়া অফিসের ১২ কর্মকর্তা দুটি গাড়ি (ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-১৩৩৩ ও ঢাকা ল-৭৮) নিয়ে ভ্রমণের জন্য পারকি সমুদ্রসৈকতে যান। সৈকতে নামার পর জিপ গাড়িটি (ঢাকা-ল ৭৮) বালুতে আটকে যায়। পরে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় গাড়িটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার না করায় পানিতে ভাসছে সরকারি এই গাড়ি। গাড়ির সামনে ‘জরুরি তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকাজে নিয়োজিত’—বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের স্টিকার লাগানো থাকলেও এটা এখন স্পষ্ট যে আসলে সমুদ্রসৈকতে বেড়ানো ছাড়া ওই ১২ জনের আর কোনো জরুরি কাজ ছিল না। সৈকতের চরে গাড়ি নামানো নিষেধ হলেও ওই ভ্রমণবিলাসীরা এর তোয়াক্কা করেননি।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, গাড়ির যাত্রীদের দেখে মদ্যপ মনে হয়েছে। অন্যদিকে, কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন বলেছেন, ‘পারকি সমুদ্রসৈকতের চরে গাড়ি আটকে যাওয়ার ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’
কী দেখা হচ্ছে, তা সম্ভবত আর জানা যাবে না। বছর তিনেক আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, সরকারের কর্মকর্তাদের মন মানসিকতায় একটি পরিবর্তন এসেছে। এখন আর সরকারের মাল দরিয়ায় ঢালার মতো অবস্থা নেই।
তিনি এটাও বলেছিলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর থেকে এ পর্যন্ত আমি যেটা লক্ষ করেছি, সবক্ষেত্রে আমাদের যাঁরা প্রশাসনে আছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে আছেন অথবা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীতে আছেন, সবার ভেতরে কিন্তু এই পরিবর্তনটা এসেছে। সবাই কিন্তু আমাদের দেশের কাজগুলো, যেগুলো জাতির জন্য, যেগুলো মঙ্গলের জন্য, জনগণের জন্য, সেই কাজগুলোকে ওউন করেছেন; অর্থাৎ আপন বলে গ্রহণ বা দায়িত্ব বলে গ্রহণ করেই তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।’
কিন্তু জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের গাড়ি সৈকতে ভাসতে দেখার পরও কি বলা যাবে, সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের সবাই দেশে সেবামূলক প্রশাসন গড়ে তোলার দায়িত্বটি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করছেন?
সরকারি চাকরিজীবীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে না পারলে যে লাউ সেই কদুর অবস্থা চলতেই থাকবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪