নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রতিনিয়ত বিষাক্ত হচ্ছে ঢাকার বাতাস। গত আট বছরের মধ্যে চলতি বছরের শুরুতে ঢাকার বায়ু ছিল সবচেয়ে দূষিত। গবেষণা তথ্য বলছে, বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়েছে গড়ে ১০ থেকে ২০ শতাংশ।
ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক বায়ু নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘আইকিউ এয়ার’সহ বিভিন্ন সূচকে দেখা যায়, বছরের শুরুতে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে বায়ুদূষণের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ১০ শহরের মধ্যে ছিল ঢাকা।
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) গবেষণা বলছে, গত ৮ বছরে সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ হয়েছে চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত ছিল জানুয়ারি মাসে। ২০২২ সালের তুলনায় এ বছরের প্রথম দুই মাসে বায়ুদূষণ বেড়েছে ৮ শতাংশ। ২০২২ সালে ঢাকার গড় বায়ুমান ছিল ২১৪ একিউআই, তবে ২০২৩ সালে তা দাঁড়িয়েছে ২৩১।
গতকাল শুক্রবার বিকেল চারটায় একিউআই র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকায় বায়ুর মান ছিল ২৪৭ একিউআই; যা সবচেয়ে অস্বাস্থ্যকর অবস্থার নির্দেশ করে। একই সময়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল থাইল্যান্ডের চাং মাই ১৮৭, মুম্বাই ১৭৭ একিউআই।
অন্যদিকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বাতাসের মান ছিল ২১৫। আর ওই দিন সবচেয়ে দূষিত বায়ু ছিল রাজশাহীতে, ২৮০।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ মান ভালো বায়ু ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি, সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর, ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর, এরপর সবচেয়ে অস্বাস্থ্যকর থাকে ২০০ এর ওপরে আর ৩০০ হচ্ছে দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা।
ক্যাপস পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আট বছরের মধ্যে ২০২৩ সালে প্রথম দুই মাসের মধ্যে জানুয়ারি মাস সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণের মাস হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।’
কামরুজ্জামান মজুমদার আরও বলেন, জানুয়ারি মাসের ৩১ দিনের মধ্যে ২১ দিনই খুবই অস্বাস্থ্যকর ও ১০ দিন ছিল দুর্যোগপূর্ণ। এই সময়ে বায়ুর মান সূচকে ৩০০ পার করেছে। ফেব্রুয়ারিতে গত আট বছরের মধ্যে বায়ু দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দূষিত ছিল। ফেব্রুয়ারির ২৮ দিনের মধ্যে অস্বাস্থ্যকর বায়ু ছিল ৯ দিন, খুবই অস্বাস্থ্যকর ছিল ১৫ দিন আর দুর্যোগপূর্ণ ছিল ৩ দিন। দূষণের এলাকায় পানি ছিটানোর পরামর্শ দেন এই অধ্যাপক। বলেন, যেসব এলাকায় পানি দেওয়া হচ্ছে, সেখানে কিছু সময়ের জন্য দূষণের মান কম থাকছে।
কামরুজ্জামান মজুমদার জানান, প্রায় ৫৮ শতাংশ বায়ুদূষণ হয় ইটভাটা থেকে। কিন্তু ভাটার দূষণকে ছাড়িয়ে গেছে নির্মাণ এবং গাড়ির কালো ধোঁয়া। সড়ক নির্মাণ ও মেগা প্রজেক্টের কারণে প্রায় ৩০ শতাংশ বায়ুদূষণ হচ্ছে। ইটভাটা থেকে এখন ৩০ শতাংশ, যানবাহন থেকে ১৫ এবং বর্জ্য পোড়ানো থেকে ৯ শতাংশ দূষণ হয়। বর্জ্য পোড়ানো ঢাকার বায়ুদূষণের বড় একটি ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালে ঢাকা মহানগরীতে ধুলাবালুতে বায়ুদূষণ প্রতিরোধে সকাল-বিকেল রাস্তায় পানি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ঢাকা শহরে যারা বায়ুদূষণের কারণ সৃষ্টি করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সপ্তাহে দুবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
নির্দেশনা বাস্তবায়নের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পরিবেশ, জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সার্কেল) মো. খায়রুল বাকের বলেন, ‘আমাদের পানি ছিটানোর কার্যক্রম চালু আছে।’
প্রতিনিয়ত বিষাক্ত হচ্ছে ঢাকার বাতাস। গত আট বছরের মধ্যে চলতি বছরের শুরুতে ঢাকার বায়ু ছিল সবচেয়ে দূষিত। গবেষণা তথ্য বলছে, বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়েছে গড়ে ১০ থেকে ২০ শতাংশ।
ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক বায়ু নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘আইকিউ এয়ার’সহ বিভিন্ন সূচকে দেখা যায়, বছরের শুরুতে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে বায়ুদূষণের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ১০ শহরের মধ্যে ছিল ঢাকা।
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) গবেষণা বলছে, গত ৮ বছরে সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ হয়েছে চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত ছিল জানুয়ারি মাসে। ২০২২ সালের তুলনায় এ বছরের প্রথম দুই মাসে বায়ুদূষণ বেড়েছে ৮ শতাংশ। ২০২২ সালে ঢাকার গড় বায়ুমান ছিল ২১৪ একিউআই, তবে ২০২৩ সালে তা দাঁড়িয়েছে ২৩১।
গতকাল শুক্রবার বিকেল চারটায় একিউআই র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকায় বায়ুর মান ছিল ২৪৭ একিউআই; যা সবচেয়ে অস্বাস্থ্যকর অবস্থার নির্দেশ করে। একই সময়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল থাইল্যান্ডের চাং মাই ১৮৭, মুম্বাই ১৭৭ একিউআই।
অন্যদিকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বাতাসের মান ছিল ২১৫। আর ওই দিন সবচেয়ে দূষিত বায়ু ছিল রাজশাহীতে, ২৮০।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ মান ভালো বায়ু ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি, সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর, ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর, এরপর সবচেয়ে অস্বাস্থ্যকর থাকে ২০০ এর ওপরে আর ৩০০ হচ্ছে দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা।
ক্যাপস পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আট বছরের মধ্যে ২০২৩ সালে প্রথম দুই মাসের মধ্যে জানুয়ারি মাস সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণের মাস হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।’
কামরুজ্জামান মজুমদার আরও বলেন, জানুয়ারি মাসের ৩১ দিনের মধ্যে ২১ দিনই খুবই অস্বাস্থ্যকর ও ১০ দিন ছিল দুর্যোগপূর্ণ। এই সময়ে বায়ুর মান সূচকে ৩০০ পার করেছে। ফেব্রুয়ারিতে গত আট বছরের মধ্যে বায়ু দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দূষিত ছিল। ফেব্রুয়ারির ২৮ দিনের মধ্যে অস্বাস্থ্যকর বায়ু ছিল ৯ দিন, খুবই অস্বাস্থ্যকর ছিল ১৫ দিন আর দুর্যোগপূর্ণ ছিল ৩ দিন। দূষণের এলাকায় পানি ছিটানোর পরামর্শ দেন এই অধ্যাপক। বলেন, যেসব এলাকায় পানি দেওয়া হচ্ছে, সেখানে কিছু সময়ের জন্য দূষণের মান কম থাকছে।
কামরুজ্জামান মজুমদার জানান, প্রায় ৫৮ শতাংশ বায়ুদূষণ হয় ইটভাটা থেকে। কিন্তু ভাটার দূষণকে ছাড়িয়ে গেছে নির্মাণ এবং গাড়ির কালো ধোঁয়া। সড়ক নির্মাণ ও মেগা প্রজেক্টের কারণে প্রায় ৩০ শতাংশ বায়ুদূষণ হচ্ছে। ইটভাটা থেকে এখন ৩০ শতাংশ, যানবাহন থেকে ১৫ এবং বর্জ্য পোড়ানো থেকে ৯ শতাংশ দূষণ হয়। বর্জ্য পোড়ানো ঢাকার বায়ুদূষণের বড় একটি ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালে ঢাকা মহানগরীতে ধুলাবালুতে বায়ুদূষণ প্রতিরোধে সকাল-বিকেল রাস্তায় পানি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ঢাকা শহরে যারা বায়ুদূষণের কারণ সৃষ্টি করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সপ্তাহে দুবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
নির্দেশনা বাস্তবায়নের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পরিবেশ, জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সার্কেল) মো. খায়রুল বাকের বলেন, ‘আমাদের পানি ছিটানোর কার্যক্রম চালু আছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪