সম্পাদকীয়
ধরুন, আপনার আছে একটা গাড়ি। নাহ্! ধরতেই যদি বলা হয়, তাহলে ধরে নিন, আপনার আছে একটা এয়ারবাস। সরকারই দিয়েছে ব্যবহার করার জন্য। এই এয়ারবাসটা দেখে আপনার আশপাশের মানুষ আপনার দিকে হাঁ হয়ে তাকিয়ে বলে, ‘দেখেছেন! কত সুখী মানুষ!’ আর আপনিও মুচকি মুচকি হাসেন। কারণ, আপনি জানেন, এটা সত্যিই আপনার অহংকার!
সবাই অপেক্ষা করে থাকে, কখন আপনার এই উড়োজাহাজ উড়বে। আপনিও ভাবতে থাকেন, একদিন সবাইকে অবাক করে দিয়ে উড়ে যাবেন আকাশে।
সরকার জানে, এটা আপনার কাজে লাগবে। একদিন ওড়ার সময় হলো। আপনি চড়ে বসলেন এয়ারবাসে। আশপাশের সবাই উৎসুক চোখে তাকিয়ে আছে আপনার দিকে। কিন্তু একি হলো! ইঞ্জিনই তো ঘোরে না। কী ব্যাপার! এতক্ষণে প্রশ্নটা মাথায় আসে। এয়ারবাস তো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তেল, মানে জেট ফুয়েল তো কেউ বরাদ্দ দেয়নি। তাহলে উপায়?
উপায় একটাই। সেই এয়ারবাসে বসে আঙুল চোষা। বড় দুঃখে কথাগুলো বলতে হলো। রংপুরের সাতটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জেনারেটর রয়েছে আপনার ‘এয়ারবাস’টার মতো। সেই জেনারেটরগুলোর জন্য তেল বরাদ্দ নেই। ফলে কী হয়? ফলে জেনারেটর চলে না, ওই আপনার এয়ারবাসটার মতোই। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যখন অপারেশন চলে, তখন হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে গেলে বোঝা যায় জেনারেটরের মাহাত্ম্য। জেনারেটর বাবাজি তখন থাকেন মৌন। তাঁর সংস্পর্শে কোনো আলো জ্বলে ওঠে না।
পাখা ঘোরে না। যার শরীরে অস্ত্রোপচার হচ্ছে, তার কতটা বিড়ম্বনা হচ্ছে, সে কথা কে বোঝে? সবাই তো একরকম মেনেই নিয়েছে, জেনারেটরটা মাকাল ফল। ওটা দিয়ে কোনো উপকার হবে না। কারণ, দুই বছর আগেই জেনারেটরের জন্য তেলের বরাদ্দ বন্ধ হয়ে গেছে। আর তেলের বরাদ্দ বন্ধ হলে এটাও তো আপনার এয়ারবাসটার মতোই নট নড়নচড়ন অবস্থায়ই থাকবে।
আজকের পত্রিকায় বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি সংবাদে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর দুর্দশার যে ছবি ফুটে উঠেছে, তা খুবই মর্মান্তিক। মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য যে কমপ্লেক্স, সেই কমপ্লেক্সগুলো অর্ধমৃত অবস্থায় টিকে আছে। গরমে হাঁসফাঁস করা মানুষ কি সত্যিই এখানে সেবা পায়? বিপদে তো শুধু রোগীরাই পড়ে না, চিকিৎসক-নার্স-হাসপাতালের কর্মীদেরও তো একই অব্যবস্থাপনায় ভুগতে হয়।
কর্তৃপক্ষের কাছে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, কয় টাকা লাগে জেনারেটরের জন্য তেলের ব্যবস্থা করতে, তাহলে কী জবাব দেবে তারা? বিদ্যুতের আকালে জেনারেটরের ওপর নির্ভর করা যাবে না, এ কেমন কথা? আর কে না জানে, প্রচণ্ড দাবদাহের সময় কিংবা তাপপ্রবাহ বইতে থাকলে বিদ্যুৎ শুধু আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকে? এবং সত্যি হলো, সে সময় বেশির ভাগ সময়ই বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন থাকে এলাকা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কি এই সমস্যা কাটানোর জন্য কিছু করতে পারে না? আর হ্যাঁ, অপ্রাসঙ্গিকভাবে হলেও বলতে হচ্ছে, নিজের আখের গুছিয়ে নেওয়ার জন্য তো অন্য ধরনের তেলের ব্যবহার তো বাড়ছেই। তেলের সত্যিকারের প্রয়োজন মেটাতে এত কার্পণ্য কেন?
ধরুন, আপনার আছে একটা গাড়ি। নাহ্! ধরতেই যদি বলা হয়, তাহলে ধরে নিন, আপনার আছে একটা এয়ারবাস। সরকারই দিয়েছে ব্যবহার করার জন্য। এই এয়ারবাসটা দেখে আপনার আশপাশের মানুষ আপনার দিকে হাঁ হয়ে তাকিয়ে বলে, ‘দেখেছেন! কত সুখী মানুষ!’ আর আপনিও মুচকি মুচকি হাসেন। কারণ, আপনি জানেন, এটা সত্যিই আপনার অহংকার!
সবাই অপেক্ষা করে থাকে, কখন আপনার এই উড়োজাহাজ উড়বে। আপনিও ভাবতে থাকেন, একদিন সবাইকে অবাক করে দিয়ে উড়ে যাবেন আকাশে।
সরকার জানে, এটা আপনার কাজে লাগবে। একদিন ওড়ার সময় হলো। আপনি চড়ে বসলেন এয়ারবাসে। আশপাশের সবাই উৎসুক চোখে তাকিয়ে আছে আপনার দিকে। কিন্তু একি হলো! ইঞ্জিনই তো ঘোরে না। কী ব্যাপার! এতক্ষণে প্রশ্নটা মাথায় আসে। এয়ারবাস তো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তেল, মানে জেট ফুয়েল তো কেউ বরাদ্দ দেয়নি। তাহলে উপায়?
উপায় একটাই। সেই এয়ারবাসে বসে আঙুল চোষা। বড় দুঃখে কথাগুলো বলতে হলো। রংপুরের সাতটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জেনারেটর রয়েছে আপনার ‘এয়ারবাস’টার মতো। সেই জেনারেটরগুলোর জন্য তেল বরাদ্দ নেই। ফলে কী হয়? ফলে জেনারেটর চলে না, ওই আপনার এয়ারবাসটার মতোই। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যখন অপারেশন চলে, তখন হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে গেলে বোঝা যায় জেনারেটরের মাহাত্ম্য। জেনারেটর বাবাজি তখন থাকেন মৌন। তাঁর সংস্পর্শে কোনো আলো জ্বলে ওঠে না।
পাখা ঘোরে না। যার শরীরে অস্ত্রোপচার হচ্ছে, তার কতটা বিড়ম্বনা হচ্ছে, সে কথা কে বোঝে? সবাই তো একরকম মেনেই নিয়েছে, জেনারেটরটা মাকাল ফল। ওটা দিয়ে কোনো উপকার হবে না। কারণ, দুই বছর আগেই জেনারেটরের জন্য তেলের বরাদ্দ বন্ধ হয়ে গেছে। আর তেলের বরাদ্দ বন্ধ হলে এটাও তো আপনার এয়ারবাসটার মতোই নট নড়নচড়ন অবস্থায়ই থাকবে।
আজকের পত্রিকায় বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি সংবাদে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর দুর্দশার যে ছবি ফুটে উঠেছে, তা খুবই মর্মান্তিক। মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য যে কমপ্লেক্স, সেই কমপ্লেক্সগুলো অর্ধমৃত অবস্থায় টিকে আছে। গরমে হাঁসফাঁস করা মানুষ কি সত্যিই এখানে সেবা পায়? বিপদে তো শুধু রোগীরাই পড়ে না, চিকিৎসক-নার্স-হাসপাতালের কর্মীদেরও তো একই অব্যবস্থাপনায় ভুগতে হয়।
কর্তৃপক্ষের কাছে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, কয় টাকা লাগে জেনারেটরের জন্য তেলের ব্যবস্থা করতে, তাহলে কী জবাব দেবে তারা? বিদ্যুতের আকালে জেনারেটরের ওপর নির্ভর করা যাবে না, এ কেমন কথা? আর কে না জানে, প্রচণ্ড দাবদাহের সময় কিংবা তাপপ্রবাহ বইতে থাকলে বিদ্যুৎ শুধু আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকে? এবং সত্যি হলো, সে সময় বেশির ভাগ সময়ই বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন থাকে এলাকা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কি এই সমস্যা কাটানোর জন্য কিছু করতে পারে না? আর হ্যাঁ, অপ্রাসঙ্গিকভাবে হলেও বলতে হচ্ছে, নিজের আখের গুছিয়ে নেওয়ার জন্য তো অন্য ধরনের তেলের ব্যবহার তো বাড়ছেই। তেলের সত্যিকারের প্রয়োজন মেটাতে এত কার্পণ্য কেন?
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪