Ajker Patrika

আলুবীজ-সারে বাড়তি খরচ

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২১, ১৫: ০৭
আলুবীজ-সারে বাড়তি খরচ

রোপণ মৌসুমের শুরুতেই জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের কৃষকদের উচ্চ ফলনশীল আলুবীজ ও ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) সার কিনতে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। ২০০-৩০০ টাকা বেশি দামে প্রতি বস্তা আলুবীজ ও টিএসপি সার কিনতে হচ্ছে তাঁদের।

আবার এসব কৃষিপণ্য কেনার পর রসিদও দেওয়া হচ্ছে না তাঁদের। ন্যায্যমূল্যে না পেয়েও প্রয়োজনের জন্যই এসব কৃষিপণ্য বেশি দাম দিয়ে কিনতে তাঁরা বাধ্য হচ্ছেন।

ক্ষেতলাল উপজেলায় এ বছর ৯ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে আলু রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। যেখানে উচ্চ ফলনশীল বীজ আলুর চাহিদা ১৩ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন।

কৃষি বিভাগ জানায়, উপজেলায় এ পর্যন্ত ৩ হাজার হেক্টর জমিতে কৃষকেরা আলু রোপণ করেছেন। যেখানে সরকারি বিএডিসি এবং ব্র্যাক ও এসিআইসহ অন্যান্য বেসরকারি কোম্পানির আলুবীজের বরাদ্দ ৮ হাজার মেট্রিক টন প্রায়।

ব্র্যাক অনুমোদিত প্রথম শ্রেণির আলুবীজ ডিলার ক্ষেতলালের চৌমুহনী বাজারের শাহজামান তালুকদার বলেন, গত বছর ব্র্যাকের আলুবীজ রোপণ করে উৎপাদন বেশি হওয়ায় কৃষকেরা লাভবান হয়েছেন। এ জন্য ব্র্যাকের আলুবীজে আগ্রহ বেশি কৃষকদের। খুচরা ব্যবসায়ীরা বাজারে এ বীজ ২০০-৩০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনিকভাবে বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানান।

কৃষকেরা জানান, ব্র্যাকের অ্যাস্টোরিক্স জাতের এ গ্রেড ৪০ কেজির এক বস্তা আলুবীজের দাম ১ হাজার ৭২০ টাকা। বি গ্রেডের দাম ১ হাজার ৬৪০ টাকা। আর ডায়মন্ড জাতের এ গ্রেড আলু ১ হাজার ৫৬০ টাকা এবং বি গ্রেডের দাম ১ হাজার ৪৪০ টাকা। কিন্তু স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে ব্র্যাকের প্রতি বস্তা আলুবীজ নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত ২০০-৩০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে সরকার নির্ধারিত ৫০ কেজির এক বস্তা টিএসপি সারের দাম এক হাজার ১০০ টাকা হলেও কৃষকেরা তা কিনছেন ৩০০-৪০০ টাকা বেশি দিয়ে।

ক্ষেতলালের বেলগাড়ি গ্রামের কৃষক কফির উদ্দিন বলেন, ইটাখোলা বাজার থেকে সার কেনার পর রসিদ চেয়েও তিনি পাননি।

ভাশিলা গ্রামের কৃষক আহম্মেদ আলী বলেন, ব্র্যাকের ৪০ কেজির এক বস্তা আলুবীজের দাম চাওয়া হচ্ছে ২ হাজার ২০০ টাকা।

বেশি দামে টিএসপি সার বিক্রির কথা স্বীকার করে ক্ষেতলালের বটতলী বাজারের বিসিআইসির অনুমোদিত সার ব্যবসায়ী দুলাল মিঞা সরদার বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে সারের দাম কিছুটা বেশি। এ মাসের বরাদ্দ পাওয়ার পর সব ঠিক হয়ে যাবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহেদুর রহমান বলেন, সারসংকট কৃষকদের মাধ্যমে হচ্ছে। কারণ টিএসপি সার কৃষি গবেষণার রেট অনুযায়ী বিঘাপ্রতি ৩০ কেজি দিতে হয়। সেখানে এখানকার কৃষক ৭০-৭৫ কেজি সার প্রয়োগ করেন। চলতি মাসসহ তিন মাসের জন্য যে পরিমাণ সার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা ডেলিভারি হলে বাজার ঠিক হয়ে যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত