Ajker Patrika

সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২২, ১৪: ২০
সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত

সুনামগঞ্জে গতকাল সোমবার ভোর থেকে থেমে থেমে হচ্ছে বৃষ্টিপাত। ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতেও হচ্ছে অস্বাভাবিক বৃষ্টি। ফলে জেলার সুরমা নদীসহ শাখা নদীর পানি বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুরমা নদীর পানি বেড়েছে ১৪২ সেন্টিমিটার। এ অবস্থায় হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা।

এদিকে গতকাল পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে নতুন করে সতর্কবার্তা দিয়েছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং অন্যান্য বৈশ্বিক আবহাওয়া সংস্থার প্রাপ্ত তথ্যের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বাংলাদেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চলতি এপ্রিল মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ৩ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং এর আশপাশে ভারতের আসাম ও মেঘালয় প্রদেশে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, ৩ থেকে ৯ এপ্রিল নাগাদ বৃষ্টির ফলে উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদী পানি বেড়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে। তবে বিপৎসীমা অতিক্রম করে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা নেই। গত তিন দিনে ভারতের মেঘালয়ে ৬০০ মিলিমিটারের ওপরে বৃষ্টি হয়েছে।

২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় সুনামগঞ্জের শতভাগ ফসল পানিতে তলিয়ে যায়। বাঁধ ভেঙে ফসলহানির ঘটনা শুরু হয় এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই। ওই বছরের মতো চলতি বছরের এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টি ও নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় হাওরাঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে শঙ্কা কাজ করছে।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় নদীতে পানি বাড়ায় খরচার হাওরের ১ নম্বর পিআইসির হরিমনের ভাঙা, ৩ নম্বর পিআইসির বেকা বাঁধ, হালির হাওরের ১৭ নম্বর পিআইসির কালা গাঙের ক্লোজার, খালেকের খাড়া, আঙ্গারুলী হাওরের আবুয়া ক্লোজারসহ কয়েকটি বাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে।

খরচার হাওরপাড়ের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার রাধানগরের কৃষক জুয়েল আহমদ বলেন, ‘নদীর পানির বাড়ায় আমাদের বেড়েছে দুশ্চিন্তা। যেভাবে পানি বাড়তাছে, বাঁধ না ভাঙলেও বাঁধ উপচাইয়া পানি যদি হাওরে ঢুকে—তাইলে আমরা নিঃস্ব হইয়া যাইমু।’

সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বললেন, চৈত্র মাসের এই সময়ে এত পানি সুনামগঞ্জের কৃষকেরা গেল চার বছরে দেখেননি। অস্বাভাবিকভাবে নদীর পানি বাড়ছে। নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম না করলেও কাছাকাছি থাকবে।

জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়ায় আমরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। বাঁধের পাশে সবাইকে থাকার জন্য আহ্বান জানাই। দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত