মিসু সাহা নিক্কন, রামগতি (লক্ষ্মীপুর)
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরাঞ্চলে গড়ে উঠেছে পরিবেশবান্ধব নান্দনিক এক মসজিদ। মসজিদটি বৈদ্যুতিক বাতি ছাড়াই প্রাকৃতিক আলোয় সব সময় আলোকিত থাকে। বর্ষা মৌসুমে মেলে বৃষ্টির ছোঁয়া। গত শীত মৌসুমে মুসল্লিরা উপভোগ করেছেন কুয়াশার শীতলতা। পূর্ণিমা রাতে চাঁদের আলো মুগ্ধতা ছড়ায় মসজিদের অন্দরে অন্দরে; মনে হয়, এ এক অপরূপ সৃষ্টি।
নজরকাড়া নকশায় নির্মিত মসজিদটি রামগতির চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের শেখের কিল্লা এলাকায়। মসজিদটির নাম আস-সালাম জামে মসজিদ ও ঈদগাহ সোসাইটি। নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীর মসজিদটি দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন উৎসুক মানুষ।
দ্বিতল এ মসজিদে কোনো আলাদা জানালা নেই। মসজিদটির নকশাই এমন শৈল্পিক যে চারদিক থেকে কোনো বাধা ছাড়াই আলো-বাতাস প্রবেশ করে ভেতরে। তবে মুসল্লিদের প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য দুটি দরজা রয়েছে।
মসজিদের ভেতরে বসেই মুসল্লিরা উপভোগ করতে পারেন রোদ-বৃষ্টি-কুয়াশা। তবে এখানে রোদের তাপে কাউকে পুড়তে হয় না, বৃষ্টিতেও কাউকে ভিজতে হয় না। গ্রীষ্মে মসজিদ শীতল রাখার জন্য ভেতরে রয়েছে শীতল পাথরসহ পানি সংরক্ষণের চারটি জলাধার।
আস-সালাম মসজিদের ছাদ প্রচলিত মসজিদের ছাদের মতো নয়; এটি প্রকৃতিবান্ধব নান্দনিক নকশায় তৈরি। মসজিদের বাইরে থেকে নজর বোলালে মনে হয়—পুরো দেয়াল ইটের তৈরি। মূলত ইট দেখা গেলেও ভেতরে রয়েছে রড, সিমেন্ট ও ইটের মিশ্রণে আরসিসির ঢালাই।
পুরো মসজিদে একসঙ্গে ৪০০ জন মুসল্লি জামাতে নামাজ আদায় করতে পারেন। জানা গেছে, আস-সালাম জামে মসজিদ ও ঈদগাহ সোসাইটিটি স্থানীয় রহিমা মমতাজ ও সাইফ সালাহউদ্দিন ট্রাস্টের উদ্যোগে একান্তই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ আর জনহিতকর কাজের অংশ হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছে।
ট্রাস্ট সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে এই মসজিদ নির্মাণকাজ শুরু হয়। মসজিদটির নকশা তৈরিতে বাংলাদেশি একটি স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান এবং সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন বিদেশি স্থপতি। বিরতিহীন কাজের পর ২০২১ সালের শেষের দিকে মসজিদটি মুসল্লিদের ইবাদতের জন্য খুলে দেওয়া হয়। প্রায় চার হাজার বর্গফুটের দোতলা এ মসজিদ নির্মাণে ব্যয়ভার বহন করেছে রহিমা মমতাজ ও সাইফ সালাহউদ্দিন ট্রাস্ট।
এদিকে নান্দনিক মসজিদ এবং আধুনিক শিক্ষা কমপ্লেক্স নির্মাণ করলেও প্রতিষ্ঠাতা নিজেকে প্রচারের আড়ালে রাখতেই পছন্দ করেন। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রহিমা মমতাজ ও সাইফ সালাহউদ্দিন ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী। তিনি তাঁর বাবা-মায়ের নামেই ট্রাস্টটি গঠন করেন। এর মাধ্যমে তিনি জনহিতকর কাজ পরিচালিত করে আসছেন। এ মসজিদটি তারই একটি অংশ মাত্র। এ ছাড়া এখানে আন্তর্জাতিক মানের একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা, একটি গার্লস স্কুল এবং একটি কলেজ নির্মাণ করা হচ্ছে।
ট্রাস্ট সূত্রে জানা যায়, মসজিদ নির্মাণ ছিল প্রথম উদ্যোগ। দ্বিতীয় উদ্যোগে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এখন গার্লস স্কুলের কাজ চলছে। ২০২৩ সালের মধ্যে তা চালু হবে। পরের ২-৩ বছরের মধ্যে একটি কলেজও চালু করা হবে। আরবি ও ইংরেজি শিক্ষার সমন্বিত সিলেবাসে পরিচালিত মাদ্রাসাটি ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে চালু হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরাঞ্চলে গড়ে উঠেছে পরিবেশবান্ধব নান্দনিক এক মসজিদ। মসজিদটি বৈদ্যুতিক বাতি ছাড়াই প্রাকৃতিক আলোয় সব সময় আলোকিত থাকে। বর্ষা মৌসুমে মেলে বৃষ্টির ছোঁয়া। গত শীত মৌসুমে মুসল্লিরা উপভোগ করেছেন কুয়াশার শীতলতা। পূর্ণিমা রাতে চাঁদের আলো মুগ্ধতা ছড়ায় মসজিদের অন্দরে অন্দরে; মনে হয়, এ এক অপরূপ সৃষ্টি।
নজরকাড়া নকশায় নির্মিত মসজিদটি রামগতির চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের শেখের কিল্লা এলাকায়। মসজিদটির নাম আস-সালাম জামে মসজিদ ও ঈদগাহ সোসাইটি। নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীর মসজিদটি দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন উৎসুক মানুষ।
দ্বিতল এ মসজিদে কোনো আলাদা জানালা নেই। মসজিদটির নকশাই এমন শৈল্পিক যে চারদিক থেকে কোনো বাধা ছাড়াই আলো-বাতাস প্রবেশ করে ভেতরে। তবে মুসল্লিদের প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য দুটি দরজা রয়েছে।
মসজিদের ভেতরে বসেই মুসল্লিরা উপভোগ করতে পারেন রোদ-বৃষ্টি-কুয়াশা। তবে এখানে রোদের তাপে কাউকে পুড়তে হয় না, বৃষ্টিতেও কাউকে ভিজতে হয় না। গ্রীষ্মে মসজিদ শীতল রাখার জন্য ভেতরে রয়েছে শীতল পাথরসহ পানি সংরক্ষণের চারটি জলাধার।
আস-সালাম মসজিদের ছাদ প্রচলিত মসজিদের ছাদের মতো নয়; এটি প্রকৃতিবান্ধব নান্দনিক নকশায় তৈরি। মসজিদের বাইরে থেকে নজর বোলালে মনে হয়—পুরো দেয়াল ইটের তৈরি। মূলত ইট দেখা গেলেও ভেতরে রয়েছে রড, সিমেন্ট ও ইটের মিশ্রণে আরসিসির ঢালাই।
পুরো মসজিদে একসঙ্গে ৪০০ জন মুসল্লি জামাতে নামাজ আদায় করতে পারেন। জানা গেছে, আস-সালাম জামে মসজিদ ও ঈদগাহ সোসাইটিটি স্থানীয় রহিমা মমতাজ ও সাইফ সালাহউদ্দিন ট্রাস্টের উদ্যোগে একান্তই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ আর জনহিতকর কাজের অংশ হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছে।
ট্রাস্ট সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে এই মসজিদ নির্মাণকাজ শুরু হয়। মসজিদটির নকশা তৈরিতে বাংলাদেশি একটি স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান এবং সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন বিদেশি স্থপতি। বিরতিহীন কাজের পর ২০২১ সালের শেষের দিকে মসজিদটি মুসল্লিদের ইবাদতের জন্য খুলে দেওয়া হয়। প্রায় চার হাজার বর্গফুটের দোতলা এ মসজিদ নির্মাণে ব্যয়ভার বহন করেছে রহিমা মমতাজ ও সাইফ সালাহউদ্দিন ট্রাস্ট।
এদিকে নান্দনিক মসজিদ এবং আধুনিক শিক্ষা কমপ্লেক্স নির্মাণ করলেও প্রতিষ্ঠাতা নিজেকে প্রচারের আড়ালে রাখতেই পছন্দ করেন। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রহিমা মমতাজ ও সাইফ সালাহউদ্দিন ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী। তিনি তাঁর বাবা-মায়ের নামেই ট্রাস্টটি গঠন করেন। এর মাধ্যমে তিনি জনহিতকর কাজ পরিচালিত করে আসছেন। এ মসজিদটি তারই একটি অংশ মাত্র। এ ছাড়া এখানে আন্তর্জাতিক মানের একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা, একটি গার্লস স্কুল এবং একটি কলেজ নির্মাণ করা হচ্ছে।
ট্রাস্ট সূত্রে জানা যায়, মসজিদ নির্মাণ ছিল প্রথম উদ্যোগ। দ্বিতীয় উদ্যোগে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এখন গার্লস স্কুলের কাজ চলছে। ২০২৩ সালের মধ্যে তা চালু হবে। পরের ২-৩ বছরের মধ্যে একটি কলেজও চালু করা হবে। আরবি ও ইংরেজি শিক্ষার সমন্বিত সিলেবাসে পরিচালিত মাদ্রাসাটি ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে চালু হয়েছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪