Ajker Patrika

বৃষ্টি হলে পানি জমে গর্তে পথচারীদের ভোগান্তি

নাঈম ইসলাম, ধামরাই
বৃষ্টি হলে পানি জমে গর্তে পথচারীদের ভোগান্তি

ঢাকার ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের জয়পুরা-শৈলান একটি ব্যস্ততম আঞ্চলিক সড়ক। এ সড়ক দিয়ে তৈরি পোশাক কারখানার কর্মীসহ প্রতিদিন হাজারো মানুষ যাতায়াত করেন। তবে সড়কটিতে বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে থাকে। ফলে চলাচলে ভোগান্তি বেড়েছে পথচারীদের।

গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, ধামরাই উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদ বাজারের (কাউন্সিল বাজার) দিয়ে সড়কটি জয়পুরা বাসস্ট্যান্ডে চলে গেছে। কয়েকটি গ্রামের মানুষ এই সড়ক দিয়েই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ওঠেন। ব্যস্ততম এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে ছোট-বড় গর্ত। তবে সবচেয়ে বেশি বেহাল সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদ বাজারের অংশে, যেখানে গর্তে সব সময় পানি জমে থাকে।

আশপাশের বিভিন্ন ইটভাটায় মাটি নেওয়ার জন্য এই সড়ক ব্যবহার করা হয়। অতিরিক্ত ওজন নিয়ে মাটির ট্রাক চলাচল করায় এই অবস্থা বলে অভিযোগ বাজারের দোকানিদের। তাঁরা জানান, ইট তৈরির সময় সারা রাত ট্রাক চলে। তখন ট্রাক থেকে মাটি পড়ে অবস্থা আরও খারাপ হয় সড়কটির। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তাড়াতাড়ি সড়কটি সংস্কার করা হোক।

এই সড়কে নিয়মিত অটোরিকশা চালান সেলিম হোসেন। তিনি বলেন, এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্ত রয়েছে। তবে বাজারেই সবচেয়ে বেশি সমস্যা। সব সময় পানি জমে থাকে। রিকশা নিয়ে চলার সময় মাঝেমধ্যে কাদাপানি শরীরে ছিটে আসে। এতে রিকশায় থাকা যাত্রীরা গালাগাল করেন।

সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদ বাজার কমিটির সভাপতি প্রার্থী হযরত আলী বলেন, ‘আমার দোকানের সামনেই সড়কে এই পানি জমে থাকে। সাবেক চেয়ারম্যানের সময় থেকেই দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থায় রয়েছে। এখন ইউনিয়ন পরিষদে আমরা নতুন চেয়ারম্যান পেয়েছি। আমার বিশ্বাস, অতি শিগগির তিনি সড়কটি চলাচলের উপযোগী করে তুলবেন।’

সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন বলেন, ‘রাস্তাটি এলজিআরডির। রাস্তার দুই পাশে মার্কেট থাকার কারণে পানিনিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই।  সরকারি কাজ করতে অনেক সময়ের ব্যাপার। ভোগান্তি দূর করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের তহবিল থেকেই দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করে দেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত