আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা
গাইবান্ধা শহরের পুলবন্দি পূর্বপাড়া এলাকার আবু সাঈদ একটি বেসরকারি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় তিনি সরকারি বেতন-ভাতা পান না। স্কুল থেকে যে টাকা আয় হয়, তা স্কুলের কাজেই ব্যয় হয়ে যায়। ফলে ছোট্ট গাইবান্ধা শহরে তাঁকে প্রাইভেট পড়িয়ে সংসার চালানোর মতো কঠিন কাজে নামতে হয়। তাঁর স্ত্রী শাহনাজ বেগম গৃহিণী। আবু সাঈদ ও শাহনাজ দম্পতির দুই ছেলে। মোট চার সদস্যের সংসার তাঁদের। এ পরিবারটিরই বড় ছেলে মো. শাহরিয়ার হোসাইন।
পরিবারকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতে শাহরিয়ার ২০১৬ সালে স্থানীয় পত্রিকায় কম্পোজারের চাকরি নেন। মাস শেষে যা আয় হতো, তা দিয়ে নিজের খরচ চলত কেবল। পরিবার চলত মূলত বাবার টিউশনির টাকায়। কিন্তু করোনাকালে বাবার সে টিউশনিও বন্ধ হয়ে যায়। শাহরিয়ার পত্রিকায় কাজের পাশাপাশি ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ শিখেছিলেন, শখ করে। বাবার আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সেই শখের বিদ্যাকে কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ শুরু করেন শাহরিয়ার। ২০১৯ সালে স্কাই হোস্ট বিডি নামের একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেন তিনি। বর্তমানে স্কাই হোস্ট বিডি নামের এই প্রতিষ্ঠান উত্তরাঞ্চলে ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে আইটি সেবা নিশ্চিত করছেন তিনি।
এখন শাহরিয়ার হোসাইন ঘরে বসে আয় করছেন ডলার! এ টাকায় চলছে ছোট ভাইয়ের লেখাপড়ার খরচ, পরিবার এবং নিজের লেখাপড়া। ছোট ভাই আবু সালেহ স্থানীয় একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
তথ্যপ্রযুক্তির প্রতি ছোটবেলা থেকেই আলাদা একটা ভালোবাসা ছিল শাহরিয়ারের। সব সময় গুগল ও ইউটিউবে নতুন নতুন জিনিস দেখে শেখার চেষ্টা করতেন তিনি। সেই চেষ্টাই শাহরিয়ারকে সফল করে তুলেছে। প্রযুক্তি শুধু তাঁর নেশা নয়, এখন পেশাও হয়ে গেছে। স্কাই হোস্ট বিডি নামের নিজের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশে ডোমেইন হোস্টিং সেবা, ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল অ্যাপ তৈরি, বাল্ক এসএমএস সার্ভিস দিয়ে আসছেন। স্বল্প মূল্যে এসব সেবার পাশাপাশি যেকোনো প্রতিষ্ঠানের আইটি-বিষয়ক সমস্যা সমাধানের কাজ করে যাচ্ছে তাঁর প্রতিষ্ঠান।
শাহরিয়ার ইতিমধ্যে সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, সুইডেন, কাতার, পর্তুগাল, লন্ডন, সৌদি আরব, জার্মানি, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টের কাজ পেয়েছেন। এসব কাজের বিনিময়ে ঘরে বসে উপার্জন করছেন ডলার। তাঁর অধীনে স্থানীয় বেশ কয়েকজন যুবক কাজ করছেন। তাঁরাও এখন স্বাবলম্বী।
শাহরিয়ার জানিয়েছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে আইটি সেক্টর বড় ভূমিকা রাখতে পারে। অনেক তরুণ চাকরি না পেয়ে হতাশায় ভুগছেন। অথচ যে কেউ চাইলে আইটিতে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। শাহরিয়ার হোসাইন এখন রংপুরে একটি বেসরকারি পলিটেকনিক্যাল কলেজে কম্পিউটার টেকনোলজি বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি নিজেকে সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলেছেন।
গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইদুল ইসলাম বলেন, ‘শাহরিয়ার আমার স্কুলের ছাত্র। পড়াশোনায় ভালো ছিল। ছোটবেলা থেকেই শাহরিয়ারের কম্পিউটারে কাজ করার প্রতি বেশ মনোযোগ ছিল। সে সফলও হয়েছে।’
গাইবান্ধা শহরের পুলবন্দি পূর্বপাড়া এলাকার আবু সাঈদ একটি বেসরকারি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় তিনি সরকারি বেতন-ভাতা পান না। স্কুল থেকে যে টাকা আয় হয়, তা স্কুলের কাজেই ব্যয় হয়ে যায়। ফলে ছোট্ট গাইবান্ধা শহরে তাঁকে প্রাইভেট পড়িয়ে সংসার চালানোর মতো কঠিন কাজে নামতে হয়। তাঁর স্ত্রী শাহনাজ বেগম গৃহিণী। আবু সাঈদ ও শাহনাজ দম্পতির দুই ছেলে। মোট চার সদস্যের সংসার তাঁদের। এ পরিবারটিরই বড় ছেলে মো. শাহরিয়ার হোসাইন।
পরিবারকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতে শাহরিয়ার ২০১৬ সালে স্থানীয় পত্রিকায় কম্পোজারের চাকরি নেন। মাস শেষে যা আয় হতো, তা দিয়ে নিজের খরচ চলত কেবল। পরিবার চলত মূলত বাবার টিউশনির টাকায়। কিন্তু করোনাকালে বাবার সে টিউশনিও বন্ধ হয়ে যায়। শাহরিয়ার পত্রিকায় কাজের পাশাপাশি ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ শিখেছিলেন, শখ করে। বাবার আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সেই শখের বিদ্যাকে কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ শুরু করেন শাহরিয়ার। ২০১৯ সালে স্কাই হোস্ট বিডি নামের একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেন তিনি। বর্তমানে স্কাই হোস্ট বিডি নামের এই প্রতিষ্ঠান উত্তরাঞ্চলে ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে আইটি সেবা নিশ্চিত করছেন তিনি।
এখন শাহরিয়ার হোসাইন ঘরে বসে আয় করছেন ডলার! এ টাকায় চলছে ছোট ভাইয়ের লেখাপড়ার খরচ, পরিবার এবং নিজের লেখাপড়া। ছোট ভাই আবু সালেহ স্থানীয় একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
তথ্যপ্রযুক্তির প্রতি ছোটবেলা থেকেই আলাদা একটা ভালোবাসা ছিল শাহরিয়ারের। সব সময় গুগল ও ইউটিউবে নতুন নতুন জিনিস দেখে শেখার চেষ্টা করতেন তিনি। সেই চেষ্টাই শাহরিয়ারকে সফল করে তুলেছে। প্রযুক্তি শুধু তাঁর নেশা নয়, এখন পেশাও হয়ে গেছে। স্কাই হোস্ট বিডি নামের নিজের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশে ডোমেইন হোস্টিং সেবা, ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল অ্যাপ তৈরি, বাল্ক এসএমএস সার্ভিস দিয়ে আসছেন। স্বল্প মূল্যে এসব সেবার পাশাপাশি যেকোনো প্রতিষ্ঠানের আইটি-বিষয়ক সমস্যা সমাধানের কাজ করে যাচ্ছে তাঁর প্রতিষ্ঠান।
শাহরিয়ার ইতিমধ্যে সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, সুইডেন, কাতার, পর্তুগাল, লন্ডন, সৌদি আরব, জার্মানি, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টের কাজ পেয়েছেন। এসব কাজের বিনিময়ে ঘরে বসে উপার্জন করছেন ডলার। তাঁর অধীনে স্থানীয় বেশ কয়েকজন যুবক কাজ করছেন। তাঁরাও এখন স্বাবলম্বী।
শাহরিয়ার জানিয়েছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে আইটি সেক্টর বড় ভূমিকা রাখতে পারে। অনেক তরুণ চাকরি না পেয়ে হতাশায় ভুগছেন। অথচ যে কেউ চাইলে আইটিতে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। শাহরিয়ার হোসাইন এখন রংপুরে একটি বেসরকারি পলিটেকনিক্যাল কলেজে কম্পিউটার টেকনোলজি বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি নিজেকে সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলেছেন।
গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইদুল ইসলাম বলেন, ‘শাহরিয়ার আমার স্কুলের ছাত্র। পড়াশোনায় ভালো ছিল। ছোটবেলা থেকেই শাহরিয়ারের কম্পিউটারে কাজ করার প্রতি বেশ মনোযোগ ছিল। সে সফলও হয়েছে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪