Ajker Patrika

আটক-হামলা-বাধায় পণ্ড বিএনপির কর্মসূচি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১৩: ৪৪
আটক-হামলা-বাধায় পণ্ড বিএনপির কর্মসূচি

বিএনপি-জামায়াতের যুগপৎ আন্দোলনে কেন্দ্রঘোষিত ১০ দফা কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার সারা দেশে গণমিছিলের আয়োজন করা হয়। তবে কয়েক জেলায় পুলিশের বাধার মুখে কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়। দল দুটির অভিযোগ, তাদের অনেক নেতা-কর্মীকে অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে। তা ছাড়া তাদের দলীয় কার্যালয় ও অনেক নেতা-কর্মীর বাড়িঘর ভাঙচুরেরও অভিযোগ করা হয়েছে।

তিনিধিদের পাঠানো খবর 
বাগেরহাট: বাগেরহাটে বিএনপি-জামায়াতের অন্তত ২১ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে বিএনপির ৩ জন এবং জামায়াতের ১৮ নেতা-কর্মী রয়েছেন। গতকাল সকালে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত গণমিছিল বানচাল করতেই এসব নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা।

এ ছাড়া বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিমের বাড়ি, শহরের সরুইয়ের দলীয় কার্যালয় এবং শ্রমিক দলের সাবেক জেলা সভাপতি সরদার লিয়াকত হোসেনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সকালে শতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এই হামলা চালান বলে বলে অভিযোগ বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিমের। এসব হামলা-ভাঙচুর এবং পুলিশের আটকের ফলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করতে পারেনি বলে দাবি বিএনপির।

ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আলিমুজ্জামান বলেন, এসআই সঞ্জয় বাদী হয়ে একটি নাশকতা মামলা করেছেন। এই মামলায় কাটাখালীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ২১ জনকে আটক করা হয়েছে।

বাগেরহাট মডেল থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘হামলা-ভাঙচুরের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি।’

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের গণমিছিল পণ্ড করে দেওয়া হয়েছে। মিছিল থেকে কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাবিবুর রহমানসহ জামায়াত-শিবিরের ১৬ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ মো. ফখরুল আলম খান বলেন, জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা সকালে নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে পুলিশ ১৬ নেতা-কর্মীকে আটক করে। তাঁদের কাছ থেকে পাঁচটি ককটেল উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে এসআই দোলায়ার হোসেন বাদী হয়ে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে ১৯৭৮ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩), ২৫(ডি)সহ বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৪ ও ৬ ধারায় থানায় মামলা করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

মাগুরা: মাগুরায় গণমিছিল ও সমাবেশের অনুমতি দেয়নি জেলা প্রশাসন। সমাবেশের প্রস্তুতি নিলে পুলিশ ছয় নেতাকে পুরোনো মামলায় গ্রেপ্তার করে।

বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, গত শুক্রবার ও গতকাল আটক দলের ছয় নেতাকে ২৮ আগস্টের এক মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাঁরা হলেন মাগুরা সদর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ রফিকুল ইসলাম তুষার, পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজান, জেলা যুবদলের সহসাধারণ সম্পাদক জিহাদ হোসেন টিক্কা, যুবদল নেতা মো. বিল্লাল হোসেন। মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান বলেন, যাঁরা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মামলা রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফসহ পাঁচ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বিকেলে শহরের কোর্ট মোড় এলাকা থেকে গণমিছিলের প্রস্তুতিকালে তাঁদের আটক করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত